ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদের নামে আদায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা গেল কোথায়?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের মসজিদের জন্য ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও কোনো ধরনের রশিদ দেওয়া হয়না সেবা গ্রহীতাদের। গত এক বছরে অন্তত সাত লাখ টাকা আদায় করা হলেও মসজিদ কমিটি পেয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সেবাগ্রহীতারা জানান, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ নেওয়ার সময় ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ওই টাকা মসজিদের জন্য নেওয়া হয় বলে জানান রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মচারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাত হাজার ৪৩৭টি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। প্রতিটি দলিলে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী মসজিদ তহবিলে ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা জমা হওয়ার কথা। কিন্তু ওই ফান্ডে এ সময়ে জমা হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

উপজেলার বামুন্দি গ্রামের শাহা আলম জানান, দলিলে আঙুলের ছাপ দেওয়ার আগেই টাকার বিষয়টি জানিয়ে দেন সেখানকার কর্মচারীরা। পরে তাদের ১০০ টাকা দেই কিন্তু কোনো রশিদ পাইনি। দেবীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দলিলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় না।

মসজিদ ফান্ডে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কত টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে ঈমাম ইলিয়াস হোসেন জানান, জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্র অফিস থেকে ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। এর আগে মসজিদের রশিদে টাকা নেওয়া হতো এ সাব-রেজিস্ট্রার আসার পর রশিদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই আমরাও আর গুরুত্ব দেই না।

তবে মসজিদের নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সাব-রেজিস্টার মাহফুজ রানা বলেন, এখানে মসজিদের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। আগে মসজিদের রশিদে টাকা নেওয়া হতো। আমি আসার পর থেকে মসজিদের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয়না। তবে ১০০ টাকা নেওয়া হয় সুইপার ও অফিসের আয়ার বেতন এবং টয়লেট পরিষ্কারের সরঞ্জাম (হারপিক, সাবান) কেনার জন্য।

এ বিষয়ে জেলা রেজিস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, মসজিদের নামে টাকা তুলে নিজেদের খরচ চালাচ্ছেন এরকম অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র- ঢাকা পোস্ট

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মসজিদের নামে আদায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা গেল কোথায়?

আপলোড টাইম : ১০:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের মসজিদের জন্য ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও কোনো ধরনের রশিদ দেওয়া হয়না সেবা গ্রহীতাদের। গত এক বছরে অন্তত সাত লাখ টাকা আদায় করা হলেও মসজিদ কমিটি পেয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সেবাগ্রহীতারা জানান, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ নেওয়ার সময় ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ওই টাকা মসজিদের জন্য নেওয়া হয় বলে জানান রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মচারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাত হাজার ৪৩৭টি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। প্রতিটি দলিলে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী মসজিদ তহবিলে ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা জমা হওয়ার কথা। কিন্তু ওই ফান্ডে এ সময়ে জমা হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

উপজেলার বামুন্দি গ্রামের শাহা আলম জানান, দলিলে আঙুলের ছাপ দেওয়ার আগেই টাকার বিষয়টি জানিয়ে দেন সেখানকার কর্মচারীরা। পরে তাদের ১০০ টাকা দেই কিন্তু কোনো রশিদ পাইনি। দেবীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দলিলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় না।

মসজিদ ফান্ডে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কত টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে ঈমাম ইলিয়াস হোসেন জানান, জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্র অফিস থেকে ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। এর আগে মসজিদের রশিদে টাকা নেওয়া হতো এ সাব-রেজিস্ট্রার আসার পর রশিদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই আমরাও আর গুরুত্ব দেই না।

তবে মসজিদের নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সাব-রেজিস্টার মাহফুজ রানা বলেন, এখানে মসজিদের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। আগে মসজিদের রশিদে টাকা নেওয়া হতো। আমি আসার পর থেকে মসজিদের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয়না। তবে ১০০ টাকা নেওয়া হয় সুইপার ও অফিসের আয়ার বেতন এবং টয়লেট পরিষ্কারের সরঞ্জাম (হারপিক, সাবান) কেনার জন্য।

এ বিষয়ে জেলা রেজিস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, মসজিদের নামে টাকা তুলে নিজেদের খরচ চালাচ্ছেন এরকম অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র- ঢাকা পোস্ট