আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত মামালা চলমান অবস্থায় বিবাদি মারা যাওয়ায় মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ পেতে হয়রানীর স্বীকার হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী। মামলা চলমান জমি দখল করার জন্যই মৃত্যু নিবন্ধন এবং ওয়ারিশ সনদ না দিতে পৌর মেয়রের সঙ্গে আতাত করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টায় গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মোতালেব হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকোর্ট ডিভিশনে সিভিল রিভিশন মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নম্বর ৩৫২৭/২০১২। চলতি বছরে ২৫/০৫/২২০২১ইং তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। উক্ত মামলায় আমার বাবা মোজাহার মোল্লা বাদী থাকলেও তার মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে আমি বাদী এবং চাচাতো ভাই মোতালেব হোসেন বিবাদী ছিলেন। মামলা নিষ্পত্তি বা চলমান রাখতে বিবাদীর মৃত্যুর ফলে তার ওয়ারিশ সনদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গাংনী পৌরসভায় ঘুরে ঘুরেও সনদ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবাদী মৃত্যুবরণ করায় তার ওয়ারিশগন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীর সঙ্গে মিলিত হয়ে জমি দখলের পায়তারা করছেন। বার বার পৌর মেয়রের কাছে গেলেও তিনি আমাদের সনদ দিবেন না বলে জানিয়ে দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ওয়ারিশ সনদ পেতে গাংনী পৌরসভায় লিখিত আবেদন করলেও পৌরসভা আবেদন গ্রহন করবে না বলে জানিয়েছে। এমতাবস্থায় মামলার জটিলতা তৈরি করে জমি দখল করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এই মামলা চলমান রাখতে বা মামলা নিষ্পত্তি করতে মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিবাদী ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সনদ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী বলেন, ‘সিরাজুল ইসলাম মোতালেবের ওয়ারিশ নয়। মোতালেব হোসেনের ওয়ারিশরা বলেছে তারা নিজে না আসলে অন্য কাউকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া যাবে না। তাই সিরাজুলকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া সম্ভব হয়নি।