ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নৌকার ৬৯ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের টিকারী বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার (১৫ডিসেম্বর) রাতে ফুরসন্দি ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র¿ চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ শিকদারের নির্বাচনী প্রচারণার সময় লক্ষীপুর গ্রামের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতেই টিকারী বাজারে পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর শহিদুল ইসলাম শিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফুরসিন্দ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মাহমুদুল হক পলাশ মুন্সির (৩০) মৃত্যু হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পলাশ মুন্সি আবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিকদারে সমর্থক ছিলেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নাড়িকেলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনার পর নাড়িকেলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আহত তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৫/১৭। মামলায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আসাদ শিকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার হাবিবুল নামে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ফুরসন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নৌকা ও বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। ফুরসুন্দি ইউনিয়নের টিকারী বাজার, লক্ষীপুর ও ফুরসুন্দি গ্রামে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, দুই প্রার্থী একই গোষ্ঠীর এবং সম্পর্কে তারা মামা ভাগ্নে। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) আবুল খায়ের জানান, বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নৌকার ৬৯ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের টিকারী বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার (১৫ডিসেম্বর) রাতে ফুরসন্দি ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র¿ চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ শিকদারের নির্বাচনী প্রচারণার সময় লক্ষীপুর গ্রামের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতেই টিকারী বাজারে পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর শহিদুল ইসলাম শিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফুরসিন্দ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মাহমুদুল হক পলাশ মুন্সির (৩০) মৃত্যু হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পলাশ মুন্সি আবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিকদারে সমর্থক ছিলেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নাড়িকেলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনার পর নাড়িকেলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আহত তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৫/১৭। মামলায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আসাদ শিকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার হাবিবুল নামে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ফুরসন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নৌকা ও বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। ফুরসুন্দি ইউনিয়নের টিকারী বাজার, লক্ষীপুর ও ফুরসুন্দি গ্রামে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, দুই প্রার্থী একই গোষ্ঠীর এবং সম্পর্কে তারা মামা ভাগ্নে। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) আবুল খায়ের জানান, বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।