ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ‘মুজিব কুঠির’-এর উদ্বোধন

গাংনী অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বর্ণিল ও অর্থবহ করে তুলতে এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন গাংনীর সাব-রেজিস্ট্রার। মুজিব কুঠির তৈরি করলেন এবার। এখানে প্রখর সূর্যের খরতাপে ছায়া, বৃষ্টিতে আশ্রয় পাবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা। আবাল বৃদ্ধ বণিতা এখানে অপেক্ষা করার জন্য বসার জায়গা পাবেন। এখন আর বাইরে দাঁড়িয়ে, এলোমেলো ঘুরোঘুরি করে অপেক্ষমান সময়ে বেকায়দায় পড়তে হবে না। দলিল দাখিল করা মাত্রই একটি সিরিয়াল বা ক্রমিক নম্বর পড়বে এবং অপেক্ষমান তালিকা তৈরি হবে। প্রত্যেকেই তার ক্রম জেনে মুজিব কুটিরে বসে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ক্রম নম্বর দেখতে পারবেন এবং সময় কাটাতে পারবেন।

কুটিরটি কেন ‘মুজিব কুটির’ নামকরণ করা হলো, এই প্রশ্নের জবাবে সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা বলেন, ‘আমার বাবাকে একজন বঙ্গবন্ধুভক্ত মানুষ হিসেবে দেখে দেখে বড় হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে যত জেনেছি, পড়েছি; ততই ভালোবেসেছি, শ্রদ্ধায় ততই মস্তক অবনত হয়েছে তার প্রতি। তার ত্যাগ ও সংগ্রামে আজ আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি নেই, কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ সূচক কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল ছোটবেলা থেকেই।’

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার উপহার ১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১(২) তে সরকারি কর্মচারীদের সকল সময়ে জনগণের সেবাই সচেষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। সে পথেই হেটেছি; চেষ্টা করেছি জনসেবাকে বহুমাত্রিক রূপ দিতে। এই মুজিব কুটিরে যত সেবা প্রার্থী আসবে, প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে; একই সাথে ছায়া, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি ও বসার সুন্দর জায়গা পাবে। কুটিরটি কার্যালয় প্রাঙ্গণের ফুলের বাগানের এক কোণে অবস্থিত হওয়ায় এটি দৃষ্টিনন্দন হবার পাশাপাশি আরামপ্রদ। ফুলবাগানটিও ধাপে ধাপে সাজিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

৩৭তম বিসিএস থেকে আসা মো. মাহফুজ রানার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে গাংনীতেই প্রথম। নবীন এই কর্মকর্তা যোগদানের পর কার্যালয় ভবনের বেহাল দশা সংস্কার, মহিলা কর্মচারীদের জন্য নামাজের ঘর বরাদ্দ, সুদৃশ্য নোটিশ বোর্ডে সিটিজেন চার্টার ও বৈধ লেখকের তালিকা প্রকাশ, ডিজিটাল সিরিয়াল সিস্টেম চালু সহ নানাবিধ পদক্ষেপ ছিল চোখে পড়ার মতো। মুজিববর্ষে জনবান্ধব নিবন্ধনের যে স্লোগান রয়েছে, তা বাস্তবায়নে তিনি মহাপরিদর্শক নিবন্ধনের দিকনির্দেশনা মেনে চলছেন বলে জানান মাহফুজ রানা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এই কুটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা হলো এবং গাংনীবাসীকে উপহার দেওয়া হলো।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে ‘মুজিব কুঠির’-এর উদ্বোধন

আপলোড টাইম : ১০:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বর্ণিল ও অর্থবহ করে তুলতে এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন গাংনীর সাব-রেজিস্ট্রার। মুজিব কুঠির তৈরি করলেন এবার। এখানে প্রখর সূর্যের খরতাপে ছায়া, বৃষ্টিতে আশ্রয় পাবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা। আবাল বৃদ্ধ বণিতা এখানে অপেক্ষা করার জন্য বসার জায়গা পাবেন। এখন আর বাইরে দাঁড়িয়ে, এলোমেলো ঘুরোঘুরি করে অপেক্ষমান সময়ে বেকায়দায় পড়তে হবে না। দলিল দাখিল করা মাত্রই একটি সিরিয়াল বা ক্রমিক নম্বর পড়বে এবং অপেক্ষমান তালিকা তৈরি হবে। প্রত্যেকেই তার ক্রম জেনে মুজিব কুটিরে বসে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ক্রম নম্বর দেখতে পারবেন এবং সময় কাটাতে পারবেন।

কুটিরটি কেন ‘মুজিব কুটির’ নামকরণ করা হলো, এই প্রশ্নের জবাবে সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা বলেন, ‘আমার বাবাকে একজন বঙ্গবন্ধুভক্ত মানুষ হিসেবে দেখে দেখে বড় হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে যত জেনেছি, পড়েছি; ততই ভালোবেসেছি, শ্রদ্ধায় ততই মস্তক অবনত হয়েছে তার প্রতি। তার ত্যাগ ও সংগ্রামে আজ আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি নেই, কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ সূচক কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল ছোটবেলা থেকেই।’

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার উপহার ১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১(২) তে সরকারি কর্মচারীদের সকল সময়ে জনগণের সেবাই সচেষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। সে পথেই হেটেছি; চেষ্টা করেছি জনসেবাকে বহুমাত্রিক রূপ দিতে। এই মুজিব কুটিরে যত সেবা প্রার্থী আসবে, প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে; একই সাথে ছায়া, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি ও বসার সুন্দর জায়গা পাবে। কুটিরটি কার্যালয় প্রাঙ্গণের ফুলের বাগানের এক কোণে অবস্থিত হওয়ায় এটি দৃষ্টিনন্দন হবার পাশাপাশি আরামপ্রদ। ফুলবাগানটিও ধাপে ধাপে সাজিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

৩৭তম বিসিএস থেকে আসা মো. মাহফুজ রানার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে গাংনীতেই প্রথম। নবীন এই কর্মকর্তা যোগদানের পর কার্যালয় ভবনের বেহাল দশা সংস্কার, মহিলা কর্মচারীদের জন্য নামাজের ঘর বরাদ্দ, সুদৃশ্য নোটিশ বোর্ডে সিটিজেন চার্টার ও বৈধ লেখকের তালিকা প্রকাশ, ডিজিটাল সিরিয়াল সিস্টেম চালু সহ নানাবিধ পদক্ষেপ ছিল চোখে পড়ার মতো। মুজিববর্ষে জনবান্ধব নিবন্ধনের যে স্লোগান রয়েছে, তা বাস্তবায়নে তিনি মহাপরিদর্শক নিবন্ধনের দিকনির্দেশনা মেনে চলছেন বলে জানান মাহফুজ রানা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এই কুটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা হলো এবং গাংনীবাসীকে উপহার দেওয়া হলো।’