ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে অব্যবস্থাপনা!

প্রতিবেদক মেহেরপুর:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃংখলার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি। গতকাল শনিবার মেহেরপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবনে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূাচ শুরু করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল প্রথম দিন সদর উপজেলার ১২ টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এ টিকা প্রদান করা হয়। আর এই ২ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র দুটি কক্ষে ৩ টি বুথে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাত্র তিনটি বুথে ধীর গতিতে টিকা প্রদানের কারণে টিকা কার্যক্রম একবারেই এগোচ্ছিলো না। এ কারণে দূরবর্র্তী গ্রাম থেকে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরতে হয়েছে নানান ভোগান্তিতে। দুুপুর দুইটার দিকে টিকাকেন্দ্র যেয়ে দেখা যায় কোন কোন শিক্ষার্থী ক্ষুধা পিপাসায় কাতর হয়ে রয়েছে।

টিকা নিতে আসা লাবনী খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে মেয়েদের কোন নিরাপত্তা নেই। টিকা দিতে দোতালায় উঠার সময় ছেলে মেয়ে কে এক সাথে ঠাসা ঠাসি করে উঠতে হচ্ছে। এসময় কিছু ছেলে আমাদের উত্যক্ত করছে। কেউ কেউ গায়ে ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছে।’

কুলসুম আরা নমের অপর এক শিক্ষার্থী বলে, এখানে কোন সমস্যা হলে অভিযোগ দেবার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আমাদের শিক্ষকরাও আমাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হারিয়ে গেছে।’

ফয়সাল মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘২ হাজার ছেলে-মেয়ের জন্য একটি মাত্র সিড়ি। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বসার মতো কোন জায়গা নেই। নেই কোন প্রাথমিক চিকিৎসার ক্যাম্প।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেহেরপুরে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘মাত্র তিনটি বুথে ২ হাজার শিক্ষাথীকে একদিনে টিকা প্রদান করা দুরুহ ব্যাপার। তাছাড়া এখানে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। কলেজের বেশ কিছু উঠতি যুবকরা মেয়েদের বিরক্ত করছে। আমাদের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

মেহেরপুর সিভিল সার্জেন ডা. জওয়াহেরুল আনম সিদ্দিকী বলেন, আজকে ১২টা বিদ্যালয়ের ২ হাজার শিক্ষীর্থীর টিকা দেবার কথা। এজন্য ছেলেদের ৩টা ও মেয়েদের জন্য ২টাসহ মোট ৫টা বুথ করা হয়েছে। কিন্তু আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চলে আসায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়কে অনেক অনুরোধ করে মাত্র ২টি রুমের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আবার স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের সহযোগিতা করছে না। তারা এখানও আসলে কিছু সমস্যা কমতো। তবে আগামী দিনে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়নের ব্যবস্থা করে সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।’

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে অব্যবস্থাপনা!

আপলোড টাইম : ০৩:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

মেহেরপুরে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃংখলার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি। গতকাল শনিবার মেহেরপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবনে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূাচ শুরু করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল প্রথম দিন সদর উপজেলার ১২ টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এ টিকা প্রদান করা হয়। আর এই ২ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র দুটি কক্ষে ৩ টি বুথে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাত্র তিনটি বুথে ধীর গতিতে টিকা প্রদানের কারণে টিকা কার্যক্রম একবারেই এগোচ্ছিলো না। এ কারণে দূরবর্র্তী গ্রাম থেকে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরতে হয়েছে নানান ভোগান্তিতে। দুুপুর দুইটার দিকে টিকাকেন্দ্র যেয়ে দেখা যায় কোন কোন শিক্ষার্থী ক্ষুধা পিপাসায় কাতর হয়ে রয়েছে।

টিকা নিতে আসা লাবনী খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে মেয়েদের কোন নিরাপত্তা নেই। টিকা দিতে দোতালায় উঠার সময় ছেলে মেয়ে কে এক সাথে ঠাসা ঠাসি করে উঠতে হচ্ছে। এসময় কিছু ছেলে আমাদের উত্যক্ত করছে। কেউ কেউ গায়ে ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছে।’

কুলসুম আরা নমের অপর এক শিক্ষার্থী বলে, এখানে কোন সমস্যা হলে অভিযোগ দেবার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আমাদের শিক্ষকরাও আমাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হারিয়ে গেছে।’

ফয়সাল মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘২ হাজার ছেলে-মেয়ের জন্য একটি মাত্র সিড়ি। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বসার মতো কোন জায়গা নেই। নেই কোন প্রাথমিক চিকিৎসার ক্যাম্প।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেহেরপুরে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘মাত্র তিনটি বুথে ২ হাজার শিক্ষাথীকে একদিনে টিকা প্রদান করা দুরুহ ব্যাপার। তাছাড়া এখানে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। কলেজের বেশ কিছু উঠতি যুবকরা মেয়েদের বিরক্ত করছে। আমাদের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

মেহেরপুর সিভিল সার্জেন ডা. জওয়াহেরুল আনম সিদ্দিকী বলেন, আজকে ১২টা বিদ্যালয়ের ২ হাজার শিক্ষীর্থীর টিকা দেবার কথা। এজন্য ছেলেদের ৩টা ও মেয়েদের জন্য ২টাসহ মোট ৫টা বুথ করা হয়েছে। কিন্তু আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চলে আসায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়কে অনেক অনুরোধ করে মাত্র ২টি রুমের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আবার স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের সহযোগিতা করছে না। তারা এখানও আসলে কিছু সমস্যা কমতো। তবে আগামী দিনে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়নের ব্যবস্থা করে সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।’