ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ট্রলি চাপায় জজ কোর্টের পেশকার নিহত

গাংনী অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চেংগাড়া বাসস্ট্যান্ডে ইট বোঝাই ট্রলি চাপায় জজ কোর্টের পেশকার মোমিনুল হক (৩৩) নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মোমিনুল হক মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মরজুল হকের ছেলে। মোমিনুল হক দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে মেহেরপুর জজ কোর্টে চাকরিতে যোগদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, মোমিনুল হক বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর জজ কোর্টে যাচ্ছিলেন। চেংগাড়া নামকস্থানে মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তায় পড়ে গেলে ইটভর্তি একটি ট্রলি তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত মোমিনুল হককে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শায়লা আহমেদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জন (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোমিনুল হককে চাপা দেওয়া ইট বোঝাই ট্রলিটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ সাপেক্ষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রাত ৮টায় গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রাম্য কবরস্থানের সামনে তাঁর নামাজে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়। তাঁর নামাজে জানাজায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, গাংনী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, নিহতের ছোট ভাই সোহাগ প্রমুখ।

এদিকে, এর আগে এদিন দুপুরে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন নাহার ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি বিশ্বাস গাংনীতে আসেন ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন ও শান্তনা দেন এবং গাংনী থানাতে নিহত মোমিনুল হকের লাশ দেখেন। তাঁর দাফন অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মরজুল হকের ছেলে দুই ছেলের মধ্যে মোমিনুল হক বড়। তাঁর ছোট ভাই সোহাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। কয়েক বছর আগে মোমিনুল হক গাংনীর উত্তরপাড়া বিয়ে করেন। সংসার জীবনে তিনি ছিলেন এক সন্তানের জনক। মোমিনুল হকের মৃত্যুতে মেহেরপুর ও গাংনী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে ট্রলি চাপায় জজ কোর্টের পেশকার নিহত

আপলোড টাইম : ০৮:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চেংগাড়া বাসস্ট্যান্ডে ইট বোঝাই ট্রলি চাপায় জজ কোর্টের পেশকার মোমিনুল হক (৩৩) নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মোমিনুল হক মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মরজুল হকের ছেলে। মোমিনুল হক দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে মেহেরপুর জজ কোর্টে চাকরিতে যোগদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, মোমিনুল হক বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর জজ কোর্টে যাচ্ছিলেন। চেংগাড়া নামকস্থানে মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তায় পড়ে গেলে ইটভর্তি একটি ট্রলি তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত মোমিনুল হককে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শায়লা আহমেদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জন (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোমিনুল হককে চাপা দেওয়া ইট বোঝাই ট্রলিটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ সাপেক্ষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রাত ৮টায় গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রাম্য কবরস্থানের সামনে তাঁর নামাজে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়। তাঁর নামাজে জানাজায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, গাংনী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, নিহতের ছোট ভাই সোহাগ প্রমুখ।

এদিকে, এর আগে এদিন দুপুরে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন নাহার ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি বিশ্বাস গাংনীতে আসেন ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন ও শান্তনা দেন এবং গাংনী থানাতে নিহত মোমিনুল হকের লাশ দেখেন। তাঁর দাফন অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মরজুল হকের ছেলে দুই ছেলের মধ্যে মোমিনুল হক বড়। তাঁর ছোট ভাই সোহাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। কয়েক বছর আগে মোমিনুল হক গাংনীর উত্তরপাড়া বিয়ে করেন। সংসার জীবনে তিনি ছিলেন এক সন্তানের জনক। মোমিনুল হকের মৃত্যুতে মেহেরপুর ও গাংনী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।