ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা

সোহাগ মন্ডল, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৬:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

শীতের আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলেই বেশি টাকা আয় করা যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের মুজিবনগরের চাষিরা। কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতকালীন সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সেই চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। তবে এবার মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগাম সবজি চাষে কৃষকরা মন প্রাণ সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে। যদিও পেঁয়াজ চাষ বেশি করে থাকেন মুজিবনগরের চাষিরা। কিন্তু এবার আগাম শীতের সবজি বাঁধাকপি চাষে বেশি ঝুঁকেছিল চাষিরা, সফলভাবে বাঁধা কপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় ৮৮০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে শিম ১২০ হেক্টর, মুলা ২০ হেক্টর, বেগুন ৯০ হেক্টর, ফুল কপি ৭৫ হেক্টর, বাঁধা কপি ১৩০ হেক্টর, পালংশাক ৩৫ হেক্টর লাউ ১০ এবং পেঁয়াজ ৪০০ হেক্টর জমিতে বীজ বপন ও শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ করা হয়েছে। সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন।

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। শোভা পাচ্ছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের একাধিক সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাক-সবজির ভালো উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাক-সবজির চাষ করেছে। আগাম জাতের শাক-সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তবে এবছর পেঁয়াজ চাষে গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছে। তেমন কোনো রোগবালাই নেই। থাকলেও আমরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দিয়ে কৃষককে সহযোগিতা করে থাকি। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা

আপলোড টাইম : ০৬:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

শীতের আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলেই বেশি টাকা আয় করা যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের মুজিবনগরের চাষিরা। কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতকালীন সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সেই চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। তবে এবার মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগাম সবজি চাষে কৃষকরা মন প্রাণ সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে। যদিও পেঁয়াজ চাষ বেশি করে থাকেন মুজিবনগরের চাষিরা। কিন্তু এবার আগাম শীতের সবজি বাঁধাকপি চাষে বেশি ঝুঁকেছিল চাষিরা, সফলভাবে বাঁধা কপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় ৮৮০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে শিম ১২০ হেক্টর, মুলা ২০ হেক্টর, বেগুন ৯০ হেক্টর, ফুল কপি ৭৫ হেক্টর, বাঁধা কপি ১৩০ হেক্টর, পালংশাক ৩৫ হেক্টর লাউ ১০ এবং পেঁয়াজ ৪০০ হেক্টর জমিতে বীজ বপন ও শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ করা হয়েছে। সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন।

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। শোভা পাচ্ছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের একাধিক সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাক-সবজির ভালো উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাক-সবজির চাষ করেছে। আগাম জাতের শাক-সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তবে এবছর পেঁয়াজ চাষে গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছে। তেমন কোনো রোগবালাই নেই। থাকলেও আমরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দিয়ে কৃষককে সহযোগিতা করে থাকি। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।