ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে যানবাহন চলাচল বন্ধ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সব ধরনের যানবাহনের ভাড়া বেড়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস শ্রমিকরা এই দাম বৃদ্ধির পেছনে তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। তাঁরা এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকাল থেকে জেলার সকল রুটে বাস-ট্রাকসহ জ্বালানি তেলবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওলিয়ার রহমান ও জেলা বাস-মিনিবাস পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু জানান, ভাড়া বৃদ্ধিার কারণে যাত্রীদের সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনি তেলের দাম বৃদ্ধিতেও আমাদের সমস্যা। দেশের ইতিহাসে একবারে ১৫ টাকা কখনও বৃদ্ধি হয়নি। এটা তেল ব্যবাসয়ী সিন্ডিকেটের কারণেই হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।

এদিকে যাত্রীরা জানান, ‘ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের খুবই সমস্যা হবে। বাস-থ্রিহুইলার সব কিছুতেই ৫ থেকে ১৫ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতি উল্লেখ করা হয়- আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরে ১৪ দফায় পানি, ৭ দফায় গ্যাস, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ, একাধিকবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও ব্যাপক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। অথচ সরকার একদিকে উন্নয়নের বাজনা বাজাচ্ছে, আবার একই সাথে জীবন-জীবিকার সকল প্রয়োজনীয় বিষয়কে রাষ্ট্রীয়, দলীয় ও ব্যবসায়ীদের অবাধ লুটপাট ও লাগামহীন বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিণত করে চলেছে। কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থরক্ষাকারী রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে মানবিকতা, জনজাীবনের প্রয়োজন শুধু মুখেরই কথা, মূল লক্ষ্য হচ্ছে লুটপাট ও মুনাফা। দুর্যোগ মহামারিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে করোনা মহামারিতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ার সাথে সাথে লুটপাটকারীদের অর্থবিত্ত বৈভব বেড়ে যাওয়ায় দেশে ২০২০ সালেই ১০ হাজার ৫১ জন নতুন কোটিপতির সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে যানবাহন চলাচল বন্ধ

আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সব ধরনের যানবাহনের ভাড়া বেড়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস শ্রমিকরা এই দাম বৃদ্ধির পেছনে তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। তাঁরা এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকাল থেকে জেলার সকল রুটে বাস-ট্রাকসহ জ্বালানি তেলবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওলিয়ার রহমান ও জেলা বাস-মিনিবাস পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু জানান, ভাড়া বৃদ্ধিার কারণে যাত্রীদের সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনি তেলের দাম বৃদ্ধিতেও আমাদের সমস্যা। দেশের ইতিহাসে একবারে ১৫ টাকা কখনও বৃদ্ধি হয়নি। এটা তেল ব্যবাসয়ী সিন্ডিকেটের কারণেই হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।

এদিকে যাত্রীরা জানান, ‘ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের খুবই সমস্যা হবে। বাস-থ্রিহুইলার সব কিছুতেই ৫ থেকে ১৫ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতি উল্লেখ করা হয়- আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরে ১৪ দফায় পানি, ৭ দফায় গ্যাস, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ, একাধিকবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও ব্যাপক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। অথচ সরকার একদিকে উন্নয়নের বাজনা বাজাচ্ছে, আবার একই সাথে জীবন-জীবিকার সকল প্রয়োজনীয় বিষয়কে রাষ্ট্রীয়, দলীয় ও ব্যবসায়ীদের অবাধ লুটপাট ও লাগামহীন বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিণত করে চলেছে। কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থরক্ষাকারী রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে মানবিকতা, জনজাীবনের প্রয়োজন শুধু মুখেরই কথা, মূল লক্ষ্য হচ্ছে লুটপাট ও মুনাফা। দুর্যোগ মহামারিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে করোনা মহামারিতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ার সাথে সাথে লুটপাটকারীদের অর্থবিত্ত বৈভব বেড়ে যাওয়ায় দেশে ২০২০ সালেই ১০ হাজার ৫১ জন নতুন কোটিপতির সৃষ্টি হয়েছে।