ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইউপি নির্বাচন নিয়ে গৃহ বিবাদ তুঙ্গে

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আ.লীগের তৃণমূলে বিভেদ আর অনৈক্যের গৃহ বিবাদ এখন তুঙ্গে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঘরের আগুনে পুড়ছে মহেশপুর উপজেলা আ.লীগ। ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে এখন অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেসামাল দলটির নেতাকর্মীরা। পছন্দের প্রার্থী নৌকার টিকেট না পাওয়ায় মহেশপুরের ১২টি ইউনিয়নে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য কোনো কোনো ইউনিয়নে বিবাদ মিটে গেছে বলে জানানো হলেও বেশির ভাগ ইউনিয়নে দলাদলি প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে সেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এমন পরিস্থিতি নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের মনোবল চাঙ্গা ও বিভেদ দূর করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর ধারাবাহিকতায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় মহেশপুর উপজেলায় ১৪ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও মীর সুলতানুজ্জামান লিটন এ তথ্য জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আ.লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ১১ ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ায় ১৪ জনকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃতরা হলেন, ১ নং এসবিকে ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফান হাসান চৌধুরী, ফতেপুর ইউনিয়নের প্রার্থী গোলাম হায়দার নান্টু ও শরিফুল ইসলাম ভোলন, পান্তাপাড়া ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলাম, স্বরুপপুরের অ্যাড. হুমায়ন কবির, শ্যামকুড় ইউনিয়নের মো. জামিরুল ইসলাম, কাজিরবেড় ইউনিয়নের ইয়ার নবি, নেপা ইউনিয়নের নাজমুল আলম মনু, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল মালেক মন্ডল, ইমদাদুল হক ও নাজমুল হুদা জিন্টু, নাটিমা ইউনিয়নের আ. লতিফ ও আজাদুর রহমান, আজমপুর ইউনিয়নের আজিজুর রহমান মন্টু ও শরিফুল ইসলাম এবং মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিদুল ইসলাম।

এব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, আ.লীগ বার বার বিদ্রোহী ভোট করতে নিষেধ করেছে। আমরাও এই উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসে যেতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু অনেকেই আমাদের অনুরোধে সাড়া দেননি। যার কারণে আ.লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইউপি নির্বাচন নিয়ে গৃহ বিবাদ তুঙ্গে

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আ.লীগের তৃণমূলে বিভেদ আর অনৈক্যের গৃহ বিবাদ এখন তুঙ্গে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঘরের আগুনে পুড়ছে মহেশপুর উপজেলা আ.লীগ। ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে এখন অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেসামাল দলটির নেতাকর্মীরা। পছন্দের প্রার্থী নৌকার টিকেট না পাওয়ায় মহেশপুরের ১২টি ইউনিয়নে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য কোনো কোনো ইউনিয়নে বিবাদ মিটে গেছে বলে জানানো হলেও বেশির ভাগ ইউনিয়নে দলাদলি প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে সেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এমন পরিস্থিতি নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের মনোবল চাঙ্গা ও বিভেদ দূর করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর ধারাবাহিকতায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় মহেশপুর উপজেলায় ১৪ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও মীর সুলতানুজ্জামান লিটন এ তথ্য জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আ.লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ১১ ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ায় ১৪ জনকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃতরা হলেন, ১ নং এসবিকে ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফান হাসান চৌধুরী, ফতেপুর ইউনিয়নের প্রার্থী গোলাম হায়দার নান্টু ও শরিফুল ইসলাম ভোলন, পান্তাপাড়া ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলাম, স্বরুপপুরের অ্যাড. হুমায়ন কবির, শ্যামকুড় ইউনিয়নের মো. জামিরুল ইসলাম, কাজিরবেড় ইউনিয়নের ইয়ার নবি, নেপা ইউনিয়নের নাজমুল আলম মনু, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল মালেক মন্ডল, ইমদাদুল হক ও নাজমুল হুদা জিন্টু, নাটিমা ইউনিয়নের আ. লতিফ ও আজাদুর রহমান, আজমপুর ইউনিয়নের আজিজুর রহমান মন্টু ও শরিফুল ইসলাম এবং মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিদুল ইসলাম।

এব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, আ.লীগ বার বার বিদ্রোহী ভোট করতে নিষেধ করেছে। আমরাও এই উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসে যেতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু অনেকেই আমাদের অনুরোধে সাড়া দেননি। যার কারণে আ.লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।