ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই!

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জয়নাল আবেদীন নামে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়েছে। তিনি বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় কামরুল নামের সাবেক চেয়ারম্যানের এক সহযোগীকেও মারধর করা হয়েছে। জয়নাল আবেদীন কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের দুঃখী মাহমুদের ছেলে ও ৯ নম্বর বারবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
আহত জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর বারাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলাম। তিনি অভিযোগ করেন, কালীগঞ্জ উপজেলা গেটের সামনে পৌঁছালে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সুমন, সোহাগ, শাহারুল, আরিফসহ কয়েকজন যুবক তাঁকে গতিরোধ করেন। এরপরই বেদম মারধর শুরু করেন। এসময় তাঁরা পকেটে থাকা ১৪ হাজার টাকা, মনোনয়নপত্রসহ সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বারাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি বিকেলে নিজের মনোয়নপত্র জমা দিয়ে চলে এসেছি। গ্যাঞ্জাম হবে বলে কোনো শো-ডাউন পর্যন্ত করিনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ তিনি বলেন, ‘জয়নাল আবেদীন আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা।’ কথার বলার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপিরা তাকে মারতে পারে। আমার সঙ্গে জয়নালের দেখায় হয়নি।’ কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান জানান, এখনো এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই!

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জয়নাল আবেদীন নামে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়েছে। তিনি বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় কামরুল নামের সাবেক চেয়ারম্যানের এক সহযোগীকেও মারধর করা হয়েছে। জয়নাল আবেদীন কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের দুঃখী মাহমুদের ছেলে ও ৯ নম্বর বারবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
আহত জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর বারাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলাম। তিনি অভিযোগ করেন, কালীগঞ্জ উপজেলা গেটের সামনে পৌঁছালে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সুমন, সোহাগ, শাহারুল, আরিফসহ কয়েকজন যুবক তাঁকে গতিরোধ করেন। এরপরই বেদম মারধর শুরু করেন। এসময় তাঁরা পকেটে থাকা ১৪ হাজার টাকা, মনোনয়নপত্রসহ সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বারাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি বিকেলে নিজের মনোয়নপত্র জমা দিয়ে চলে এসেছি। গ্যাঞ্জাম হবে বলে কোনো শো-ডাউন পর্যন্ত করিনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ তিনি বলেন, ‘জয়নাল আবেদীন আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা।’ কথার বলার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপিরা তাকে মারতে পারে। আমার সঙ্গে জয়নালের দেখায় হয়নি।’ কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান জানান, এখনো এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।