ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে ফেয়ার নির্বাচন চুয়াডাঙ্গাতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যাপ্ত পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার থাকবে। আমি এবং এসপি সাহেবও থাকব। প্রত্যেক কেন্দ্রে ফুল টাইম ইউএনওরা থাকবে। আমি আশাবাদী ৬৪ জেলার মধ্যে সবথেকে ভালো এবং ফেয়ার নির্বাচন চুয়াডাঙ্গাতে হবে। আমাদের সব ধরনের প্রিপারেশন আছে, সব ধরনের তথ্য আমরা কালেক্ট করেছি। কে কি করছে, না করছে, সেটাও আমাদের নজরে আছে। আপনারা সকলেই নজরদারির মধ্যে আছেন। আমরা আশা করব, আর মাত্র কয়েকদিন আছে। ১৫ তারিখ রাত ১২টার পর থেকেই আপনারা প্রচারণা করতে পারবেন না। আমাদের মোবাইল কোর্ট চলবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আচরণবিধির ওপরও মোবাইল কোর্ট নজর রাখছে। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর। ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ও ফোর্স নিয়োজিত থাকবে এবং নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচন পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ। সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনএসআই-এর উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ইস্রাফিল। প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু, আরেফিন আলম রনজু, সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সাহান ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী সামসাদ রানু। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, চার সদস্য পদে ১৬ জন প্রার্থী এবং দুই সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু মোটরসাইকেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু ঘোড়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমএ ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুইজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত ৫৬৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় ১১৯ ভোট, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২১১ ভোট, দামুড়হুদা উপজেলায় ১১৮ ভোট এবং জীবননগর উপজেলায় ১১৭ ভোট রয়েছেন। চারটি ভোট কেন্দ্র হলো- চুয়াডাঙ্গা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ও জীবননগর থানা পাইলট মডেল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে ফেয়ার নির্বাচন চুয়াডাঙ্গাতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যাপ্ত পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার থাকবে। আমি এবং এসপি সাহেবও থাকব। প্রত্যেক কেন্দ্রে ফুল টাইম ইউএনওরা থাকবে। আমি আশাবাদী ৬৪ জেলার মধ্যে সবথেকে ভালো এবং ফেয়ার নির্বাচন চুয়াডাঙ্গাতে হবে। আমাদের সব ধরনের প্রিপারেশন আছে, সব ধরনের তথ্য আমরা কালেক্ট করেছি। কে কি করছে, না করছে, সেটাও আমাদের নজরে আছে। আপনারা সকলেই নজরদারির মধ্যে আছেন। আমরা আশা করব, আর মাত্র কয়েকদিন আছে। ১৫ তারিখ রাত ১২টার পর থেকেই আপনারা প্রচারণা করতে পারবেন না। আমাদের মোবাইল কোর্ট চলবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আচরণবিধির ওপরও মোবাইল কোর্ট নজর রাখছে। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর। ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ও ফোর্স নিয়োজিত থাকবে এবং নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচন পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ। সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনএসআই-এর উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ইস্রাফিল। প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু, আরেফিন আলম রনজু, সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সাহান ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী সামসাদ রানু। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, চার সদস্য পদে ১৬ জন প্রার্থী এবং দুই সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু মোটরসাইকেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু ঘোড়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমএ ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুইজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত ৫৬৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় ১১৯ ভোট, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২১১ ভোট, দামুড়হুদা উপজেলায় ১১৮ ভোট এবং জীবননগর উপজেলায় ১১৭ ভোট রয়েছেন। চারটি ভোট কেন্দ্র হলো- চুয়াডাঙ্গা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ও জীবননগর থানা পাইলট মডেল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।