অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে : ওসি সাইফুল ইসলাম

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানকে (২২) হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মাসুদ রানা (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি মেস থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশের দাবি, শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আল-ইমরানকে যে দুজন প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে, তাঁদের একজন হলো এই মাসুদ রানা। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। আসামি মাসুদ রানা স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় আল-ইমরানের পিতা গোবিন্দপুর মণ্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও ৪-৫ জন অজ্ঞানামা ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীরা হলেন- দুর্লভপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৫), নওদাবন্ডবিল বকাপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সাকিব (২৩), ডাউকি গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে সাকিব (২৪), গোবিন্দপুর ঈদগাহপাড়ার মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল হক বাবু (৩৫), নওদাবন্ডবিল বকাপাড়ার আনার আলীর ছেলে তারেক মনোয়ার হ্নদয় (২২) এরং গোবিন্দপুর গ্রামের মো. ফিরোজ (২২)।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল-ইমরান খুনের ঘটনায় তার পিতা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ৪-৫জন অজ্ঞানামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামিরা যত শক্তিশালীই হোক, আর যে দলেরই হোক, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মাঠপাড়ায় দূর্বৃত্তরা আল-ইমরানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় লাশ এলাকায় পৌঁছালে দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আল-ইমরানের খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাফিসহ দলীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অংশ নেন।