ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

হারিয়ে যাচ্ছে মাটিতে বসে চুল-দাঁড়ি কাটা নরসুন্দর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

আনিছ বিশ্বাস:
চুল-দাঁড়ি কাটার কারণে যুগের পর যুগ ধরে নরসুন্দরদের কদর ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। চুল-দাঁড়ি কেটে মানুষকে সুন্দর করাটাই একমাত্র কাজ বলে তাদেরকে নরসুন্দর বলা হয়। আধুনিক সভ্যতায় গড়ে উঠেছে আধুনিক ও উচ্চমানের সেলুন। এই সেলুনের কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন হাট-বাজারে কিংবা শহরের বিভিন্ন স্থানে সেই সব সেলুনগুলোর দিকেই। তারপরেও আধুনিক ও স্মার্ট যুগে এসেও এখনো উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাট ও বাজার কিংবা গ্রামগঞ্জের জলচৌকিতে বা ফিড়ের ওপর সাজানো পিঁড়িতে বসে চুল ও দাঁড়ি কাঁটেন নরসুন্দরেরা।

আইলহাঁস ইউনিয়নের ঘোলদাঁড়ি বাজারে মাটিতে বসে চুল ও দাঁড়ি কাটানোর চিরচেনা দৃশ্যটি চোখে পড়ে যায়। পিঁড়িতে বসে অল্প খরচে এখনো তাদের কাছে অনেকেই চুল ও দাঁড়ি কাটান। ঘোলদাঁড়ি গ্রামের কাত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫)। বংশ পরিক্রমায় নরসুন্দর হয়েছেন। দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে এ পেশায় আছেন।

কাত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আক্ষেপ করে জানান, ‘বর্তমানে যে পরিবর্তন এসেছে, চুল-দাঁড়ি কাটার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতিও পরিবর্তন হয়েছে। সেসব সেলুনে এখন আর শান দেওয়া ক্ষুর দেখাই যায় না। তার বদলে এসেছে ব্লেড লাগানো ক্ষুর। এখন এসেছে চুল কাটানো মেশিন, শেভিং ক্রিম, লোশন, চুলের কলপ। আমরা যখন বাপ-দাদার কাছে কাজ শিখে নিজেরাই কাজ শুরু করি, তখন এগুলো আমাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত।’ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা এই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে জানান এই নরসুন্দর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হারিয়ে যাচ্ছে মাটিতে বসে চুল-দাঁড়ি কাটা নরসুন্দর

আপলোড টাইম : ০৩:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

আনিছ বিশ্বাস:
চুল-দাঁড়ি কাটার কারণে যুগের পর যুগ ধরে নরসুন্দরদের কদর ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। চুল-দাঁড়ি কেটে মানুষকে সুন্দর করাটাই একমাত্র কাজ বলে তাদেরকে নরসুন্দর বলা হয়। আধুনিক সভ্যতায় গড়ে উঠেছে আধুনিক ও উচ্চমানের সেলুন। এই সেলুনের কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন হাট-বাজারে কিংবা শহরের বিভিন্ন স্থানে সেই সব সেলুনগুলোর দিকেই। তারপরেও আধুনিক ও স্মার্ট যুগে এসেও এখনো উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাট ও বাজার কিংবা গ্রামগঞ্জের জলচৌকিতে বা ফিড়ের ওপর সাজানো পিঁড়িতে বসে চুল ও দাঁড়ি কাঁটেন নরসুন্দরেরা।

আইলহাঁস ইউনিয়নের ঘোলদাঁড়ি বাজারে মাটিতে বসে চুল ও দাঁড়ি কাটানোর চিরচেনা দৃশ্যটি চোখে পড়ে যায়। পিঁড়িতে বসে অল্প খরচে এখনো তাদের কাছে অনেকেই চুল ও দাঁড়ি কাটান। ঘোলদাঁড়ি গ্রামের কাত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫)। বংশ পরিক্রমায় নরসুন্দর হয়েছেন। দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে এ পেশায় আছেন।

কাত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আক্ষেপ করে জানান, ‘বর্তমানে যে পরিবর্তন এসেছে, চুল-দাঁড়ি কাটার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতিও পরিবর্তন হয়েছে। সেসব সেলুনে এখন আর শান দেওয়া ক্ষুর দেখাই যায় না। তার বদলে এসেছে ব্লেড লাগানো ক্ষুর। এখন এসেছে চুল কাটানো মেশিন, শেভিং ক্রিম, লোশন, চুলের কলপ। আমরা যখন বাপ-দাদার কাছে কাজ শিখে নিজেরাই কাজ শুরু করি, তখন এগুলো আমাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত।’ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা এই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে জানান এই নরসুন্দর।