ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

হারানো মোবাইল উদ্ধার করায় তার কাজ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: ‘জানতাম কর্মজীবনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই শিক্ষাজীবনে আইসিটির ওপর বেশ কয়েকটি কোর্স করেছিলাম। এসব কোর্স এখন আমাকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন, বিকাশ ও ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতরণার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করছে। চুরি হওয়া মোবাইল ও প্রতরণার টাকা উদ্ধার করে তৃপ্তি পাই আমি।’ চুরি হওয়া মোবাইল ও প্রতারণার টাকা উদ্ধারে একের পর এক সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন।

জানা গেছে, জীবননগর থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন যোগ দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০০টি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া টাকা উদ্ধার করেছেন। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এখন থানায় বেশ কয়েকটি প্রতারণা ও মোবাইল চুরির মামলা রয়েছে। তিনটি উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন হস্তান্তর করতে বাকি আছে। আরও লজিস্টিক সহযোগিতা পেলে কাজ করতে সহজ হবে। সহজেই প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা যাবে।’ কোনো অভিযানে সমস্যায় পড়েছেন কি না জানতে চাইলে এসআই সাজ্জাদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যদের এবং ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে ফেসবুক প্রতারকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। এই অভিযানে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার সহযোগিতা করেছিলেন।’ তিনি প্রতারণা থেকে বাঁচতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘আমার ওয়ান প্লাস টুয়েন্টি প্রো মোবাইল ফোনটি রাজশাহী থেকে চুরি হয়েছিল। জীবননগর থানা-পুলিশ ফোনটি নওগাঁ থেকে উদ্ধার করে আমার কাছে হস্তান্তর করে। এর মাঝে আমি আরও একটি ফোন কিনেছিলাম। সেটি জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন চুরি হয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছিলাম। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ফোনটি অন করার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা যাবে। আমি আনন্দিত দুটি ফোনই ফিরে পেয়েছি।’

ভুল নম্বররে যাওয়া টাকা ফেরত পেয়ে জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা মোছা. আনোয়ারা নাসরিন বলেন, ‘বিকাশে ৭ হাজার ৫ শ টাকা পাঠাতে গিয়ে নম্বর ভুল হয়েছিল। টাকা ফেরত চাইলে ময়মনসিংহ সদর থানার বাসিন্দা সুমন চন্দ্র নাথ তালবাহানা শুরু করেন। তাই এ বিষয়ে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এসআই সাজ্জাদ টাকা উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দিয়েছিন। পুলিশ যে জনগণের সেবক, এটা প্রমাণিত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক এসআই সাজ্জাদের বিষয়ে বলেন, ‘সাজ্জাদ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি সব আইসিটি মামলায় সফল হয়েছেন। আমরা তাঁকে কাজে পূর্ণ সগযোগিতা করি।’ কারও মোবাইল ফোন চুরি হলে বা প্রতারণার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন ওসি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হারানো মোবাইল উদ্ধার করায় তার কাজ!

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: ‘জানতাম কর্মজীবনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই শিক্ষাজীবনে আইসিটির ওপর বেশ কয়েকটি কোর্স করেছিলাম। এসব কোর্স এখন আমাকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন, বিকাশ ও ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতরণার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করছে। চুরি হওয়া মোবাইল ও প্রতরণার টাকা উদ্ধার করে তৃপ্তি পাই আমি।’ চুরি হওয়া মোবাইল ও প্রতারণার টাকা উদ্ধারে একের পর এক সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন।

জানা গেছে, জীবননগর থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন যোগ দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০০টি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া টাকা উদ্ধার করেছেন। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এখন থানায় বেশ কয়েকটি প্রতারণা ও মোবাইল চুরির মামলা রয়েছে। তিনটি উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন হস্তান্তর করতে বাকি আছে। আরও লজিস্টিক সহযোগিতা পেলে কাজ করতে সহজ হবে। সহজেই প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা যাবে।’ কোনো অভিযানে সমস্যায় পড়েছেন কি না জানতে চাইলে এসআই সাজ্জাদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যদের এবং ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে ফেসবুক প্রতারকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। এই অভিযানে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার সহযোগিতা করেছিলেন।’ তিনি প্রতারণা থেকে বাঁচতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘আমার ওয়ান প্লাস টুয়েন্টি প্রো মোবাইল ফোনটি রাজশাহী থেকে চুরি হয়েছিল। জীবননগর থানা-পুলিশ ফোনটি নওগাঁ থেকে উদ্ধার করে আমার কাছে হস্তান্তর করে। এর মাঝে আমি আরও একটি ফোন কিনেছিলাম। সেটি জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন চুরি হয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছিলাম। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ফোনটি অন করার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা যাবে। আমি আনন্দিত দুটি ফোনই ফিরে পেয়েছি।’

ভুল নম্বররে যাওয়া টাকা ফেরত পেয়ে জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা মোছা. আনোয়ারা নাসরিন বলেন, ‘বিকাশে ৭ হাজার ৫ শ টাকা পাঠাতে গিয়ে নম্বর ভুল হয়েছিল। টাকা ফেরত চাইলে ময়মনসিংহ সদর থানার বাসিন্দা সুমন চন্দ্র নাথ তালবাহানা শুরু করেন। তাই এ বিষয়ে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এসআই সাজ্জাদ টাকা উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দিয়েছিন। পুলিশ যে জনগণের সেবক, এটা প্রমাণিত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক এসআই সাজ্জাদের বিষয়ে বলেন, ‘সাজ্জাদ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি সব আইসিটি মামলায় সফল হয়েছেন। আমরা তাঁকে কাজে পূর্ণ সগযোগিতা করি।’ কারও মোবাইল ফোন চুরি হলে বা প্রতারণার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন ওসি।