ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা

বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজারের বেশি রোগী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি কমেছে। হাড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধুমাত্র সদর হাসপাতালেই গত এক সপ্তাহে ২ হাজারের বেশি মানুষ শীতজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফসল রক্ষায় বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার। সকাল ৯টায় ছিল বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং দৃষ্টিসীমা ৯০০ মিটার।

গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শীতের কারণে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অলস সময় পার করছেন। সড়কেও খুব একটা মানুষের চলাচল নেই। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে তীব্র শীত ও কুয়াশার চাদর ভেদ করে মাঠে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের তালহা জুবায়ের বলেন, ‘এই শীতে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল। কম্বলের মধ্যে থেকেই বের হতে মন চাই না।’ শহরের ভ্যানচালক আমান আলী বলেন, ‘কিচ্ছু করার নেই। খাতি গেলি ভ্যান চালাতি হবি। বাড়ি বইসে থাকলি তো কেউ পয়সা দেবে না। তাই কষ্ট হলিও বেরুতি হয়েচে। আমাদের কষ্ট দেখার লোক নেই।’ পুরোনো কাপড় বিক্রতা সেলিম উদ্দীন বলেন, শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। মানুষজন গরম কাপড় কিনতে আসছেন।

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। গত ৭ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ২ হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে থেকেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়ায় ভর্তি থাকা এক শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে কিছু দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছে। আজ আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। কিন্তু হাসপাতালে বেড না থাকায় আপাতত মেঝেতে আছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান বলেন, ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না হওয়ার কারণে মেঝেতে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, গত ৭ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় দুই হাজার রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে। সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়ার জন্যই আমরা বলছি। এছাড়া বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. রকিবুল হাসান বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও বলেন, দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা

বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজারের বেশি রোগী

আপলোড টাইম : ০৩:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি কমেছে। হাড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধুমাত্র সদর হাসপাতালেই গত এক সপ্তাহে ২ হাজারের বেশি মানুষ শীতজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফসল রক্ষায় বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার। সকাল ৯টায় ছিল বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং দৃষ্টিসীমা ৯০০ মিটার।

গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শীতের কারণে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অলস সময় পার করছেন। সড়কেও খুব একটা মানুষের চলাচল নেই। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে তীব্র শীত ও কুয়াশার চাদর ভেদ করে মাঠে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের তালহা জুবায়ের বলেন, ‘এই শীতে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল। কম্বলের মধ্যে থেকেই বের হতে মন চাই না।’ শহরের ভ্যানচালক আমান আলী বলেন, ‘কিচ্ছু করার নেই। খাতি গেলি ভ্যান চালাতি হবি। বাড়ি বইসে থাকলি তো কেউ পয়সা দেবে না। তাই কষ্ট হলিও বেরুতি হয়েচে। আমাদের কষ্ট দেখার লোক নেই।’ পুরোনো কাপড় বিক্রতা সেলিম উদ্দীন বলেন, শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। মানুষজন গরম কাপড় কিনতে আসছেন।

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। গত ৭ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ২ হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে থেকেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়ায় ভর্তি থাকা এক শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে কিছু দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছে। আজ আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। কিন্তু হাসপাতালে বেড না থাকায় আপাতত মেঝেতে আছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান বলেন, ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না হওয়ার কারণে মেঝেতে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, গত ৭ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় দুই হাজার রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে। সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়ার জন্যই আমরা বলছি। এছাড়া বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. রকিবুল হাসান বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও বলেন, দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।