ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

হাঁসের বাঁচ্চা মরে যাওয়াই পুত্রবধূকে কোপালো শ্বশুর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা যদুপুরে হাসের বাঁচ্চা মারা যাওয়ায় রেনু খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর ফারুকের বিরুদ্ধে। আহত রেনুকে পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত রেনু খাতুন দর্শনা যদুপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার ফরহাদ আলীর স্ত্রী।

আহত রেনু খাতুন বলেন, ‘আমার শাশুড়ীর মৃত্যুর পর সাংসারিক দায়িত্ব আমার কাধে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি রান্না করছিলাম। দুপুরে একটি হাসের বাঁচ্চা অসুস্থ হয়ে মারা যায়। আমার শ্বশুর বাড়ি ফিরে হাসের বাঁচ্চার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে। হাসের বাঁচ্চার কেন মৃত্যু হলো জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। সেই সময় আমার শ্বশুর রান্নাঘর থেকে বটি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরিন জ্যোতি বলেন, রেনু খাতুনের ২ হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের জখম চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থানগুলোতে ২০-২৫টা সেলাই প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, হাসের বাঁচ্চার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুত্রবধূকে কুপিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হাঁসের বাঁচ্চা মরে যাওয়াই পুত্রবধূকে কোপালো শ্বশুর

আপলোড টাইম : ০৫:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা যদুপুরে হাসের বাঁচ্চা মারা যাওয়ায় রেনু খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর ফারুকের বিরুদ্ধে। আহত রেনুকে পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত রেনু খাতুন দর্শনা যদুপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার ফরহাদ আলীর স্ত্রী।

আহত রেনু খাতুন বলেন, ‘আমার শাশুড়ীর মৃত্যুর পর সাংসারিক দায়িত্ব আমার কাধে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি রান্না করছিলাম। দুপুরে একটি হাসের বাঁচ্চা অসুস্থ হয়ে মারা যায়। আমার শ্বশুর বাড়ি ফিরে হাসের বাঁচ্চার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে। হাসের বাঁচ্চার কেন মৃত্যু হলো জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। সেই সময় আমার শ্বশুর রান্নাঘর থেকে বটি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরিন জ্যোতি বলেন, রেনু খাতুনের ২ হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের জখম চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থানগুলোতে ২০-২৫টা সেলাই প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, হাসের বাঁচ্চার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুত্রবধূকে কুপিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।