ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

হলফনামার তথ্য, কে কত সম্পদের মালিক?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীই স্নাতক উত্তীর্ণ। তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনই পেশায় ব্যবসায়ী। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া আয় ও সম্পদের বিবরণসহ ৮টি তথ্য জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।

হলফনামার তথ্যে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু বি. কম পাশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম দাওরায়ে হাদিস পাশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু বিএ পাশ। মাহফুজুর রহমান মনজুর আয়ের উৎস ব্যবসা। আরেফিন আলম রঞ্জুর আয়ের উৎস হিসেবে ঠিকাদারী ব্যবসা এবং অনান্য উল্লেখ করেছেন। আব্দুস সামাদ বেসরকারি চাকরির তথ্য উল্লেখ করছেন। তিন প্রার্থীর মধ্যে আরেফিন আলম রঞ্জু ও আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা ছিল না। তিন প্রার্থীরই বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। মাহফুজুর রহমান মনজুর বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা থাকলেও তাতে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে খালাস পেয়েছেন।

হলফনামায় দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা। তিনি প্রতিবছর ব্যবসা থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কাছে নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৭৩ হাজার ৫১১ টাকা, ব্যবসায়ে নিজ নামে বিনিয়োগ ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৯ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৭৮০ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কৃষি জমি রয়েছে দশমিক ১২ একর। নিজ নামে একতলা একটি বাড়ি ও স্ত্রীর নামে দুইতলা একটি বাড়ি। তবে ব্যাংক থেকে ৭৫ লাখ টাকার একটি সিসি লোন নেওয়ার তথ্য উল্লেখ আছে। ব্যবহৃত হিসেবে টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, তিনটা খাট, চেয়ার, টেবিল, শোকেজ ইত্যাদি আসবাবপত্র ও স্ত্রীর ৫ ভরি স্বর্ণ।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জুর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫২১ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে প্রতি বছর তিনি আয় করেন ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫২১ টাকা এবং অনান্য থেকে ৫ লাখ টাকা। নগদ টাকা আছে ১ লাখ। নিজ নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৩ টাকা। অনান্য ব্যবসায়ে নিজ নামে বিনিয়োগ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৬ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা। নিজ নামে ৫ ভরি স্বর্ণ ও স্ত্রীর নামে ৯ ভরি। নিজ নামে একটি জিপ গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও ব্যবহৃদ আসবাবপত্র টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, চেয়ার টেবিল, শোকেজ ইত্যাদির তথ্য দেওয়া আছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে চারতলা পাকা বাড়ির তথ্য আছে।

অপর প্রার্থী আব্দুস সালাম বেসরকারি চাকরি ও কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। তার কাছে নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃদ আসবাব হিসেবে টেলিভিশন, ফ্রিজ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদির তথ্য আছে। স্থাবর ৬ বিঘা কৃষিজমি, অকৃষি জমি দশমিক ৪ একর ও দুইতলা একটি পাকা বাড়ির তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হলফনামার তথ্য, কে কত সম্পদের মালিক?

আপলোড টাইম : ০৭:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীই স্নাতক উত্তীর্ণ। তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনই পেশায় ব্যবসায়ী। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া আয় ও সম্পদের বিবরণসহ ৮টি তথ্য জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।

হলফনামার তথ্যে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু বি. কম পাশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম দাওরায়ে হাদিস পাশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু বিএ পাশ। মাহফুজুর রহমান মনজুর আয়ের উৎস ব্যবসা। আরেফিন আলম রঞ্জুর আয়ের উৎস হিসেবে ঠিকাদারী ব্যবসা এবং অনান্য উল্লেখ করেছেন। আব্দুস সামাদ বেসরকারি চাকরির তথ্য উল্লেখ করছেন। তিন প্রার্থীর মধ্যে আরেফিন আলম রঞ্জু ও আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা ছিল না। তিন প্রার্থীরই বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। মাহফুজুর রহমান মনজুর বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা থাকলেও তাতে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে খালাস পেয়েছেন।

হলফনামায় দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা। তিনি প্রতিবছর ব্যবসা থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কাছে নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৭৩ হাজার ৫১১ টাকা, ব্যবসায়ে নিজ নামে বিনিয়োগ ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৯ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৭৮০ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কৃষি জমি রয়েছে দশমিক ১২ একর। নিজ নামে একতলা একটি বাড়ি ও স্ত্রীর নামে দুইতলা একটি বাড়ি। তবে ব্যাংক থেকে ৭৫ লাখ টাকার একটি সিসি লোন নেওয়ার তথ্য উল্লেখ আছে। ব্যবহৃত হিসেবে টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, তিনটা খাট, চেয়ার, টেবিল, শোকেজ ইত্যাদি আসবাবপত্র ও স্ত্রীর ৫ ভরি স্বর্ণ।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জুর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫২১ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে প্রতি বছর তিনি আয় করেন ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫২১ টাকা এবং অনান্য থেকে ৫ লাখ টাকা। নগদ টাকা আছে ১ লাখ। নিজ নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৩ টাকা। অনান্য ব্যবসায়ে নিজ নামে বিনিয়োগ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৬ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা। নিজ নামে ৫ ভরি স্বর্ণ ও স্ত্রীর নামে ৯ ভরি। নিজ নামে একটি জিপ গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও ব্যবহৃদ আসবাবপত্র টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, চেয়ার টেবিল, শোকেজ ইত্যাদির তথ্য দেওয়া আছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে চারতলা পাকা বাড়ির তথ্য আছে।

অপর প্রার্থী আব্দুস সালাম বেসরকারি চাকরি ও কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। তার কাছে নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃদ আসবাব হিসেবে টেলিভিশন, ফ্রিজ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদির তথ্য আছে। স্থাবর ৬ বিঘা কৃষিজমি, অকৃষি জমি দশমিক ৪ একর ও দুইতলা একটি পাকা বাড়ির তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।