সোনালী ব্যাংক পিএলসি চুয়াডাঙ্গা শাখার ব্যাংকার-গ্রাহকদের মিলনমেলা ও বার্ষিক ভোজ
- আপলোড টাইম : ১০:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদক:
সোনালী ব্যাংক পিএলসি চুয়াডাঙ্গা প্রধান শাখার উদ্যোগে ব্যাংকটির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এবং গ্রাহকদের মিলনমেলা ও বার্ষিক ভোজ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবনের তৃতীয় তলায় জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশেষ এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। সোনালী ব্যাংক পিএলসি চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সিপাল কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা।
ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান সেবাদানকারীদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, ব্যাংকিং খাতের অভিজ্ঞজন নতুন-পুরাতন কর্মকর্তাদের ঐকান্তিক চেষ্টায় সোনালী ব্যাংক সকলের ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকটি নিয়ে সুখকর ও সুখকর নয়, দুটি অভিজ্ঞতায় আছে। তবে চুয়াডাঙ্গার অভিজ্ঞতা সুখকর। গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাংকের প্রতি আপনারা আস্থা রাখবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, সোনালী ব্যাংকের সাথে ছোট বেলা থেকেই হৃদ্যতা। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজনীয় অনেক সেবা পাচ্ছেন। সোনালী ব্যাংকের বর্তমান শাখা প্রধান সহকারী মহাব্যবস্থাপক বশির আহমেদের নেতৃত্বে এই শাখায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। কর্মীদের বন্ধন ও ‘হ্যালো মানডে, জানতে চাই’ নামের সাপ্তাহিক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। আজকের এই দিনে শুভকামনা গ্রাহক সেবার মান্নোয়ন ও সহজীকরণ বিষয়ে অন্যান্য ব্যাংকগুলো আপনাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করুক সেটাই প্রত্যাশা।
বিশেষ অতিথি ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, যদি শিক্ষিত জনবল থাকে, সেই প্রতিষ্ঠানে, সেই দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। তবে কথার সাথে কাজের মিল থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বীকৃতি ভালো উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিজিএম মো. নাজমুল হক টিম চুয়াডাঙ্গাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অতিথিদের বক্তব্য আমাদেরকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে। এখানে গ্রাহকের আমানত সঠিকখাতে বিনিয়োগে আমরা কাজ করে চলেছি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কৃষিসহ উন্নয়নমূলকখাতে আশাব্যাঞ্জক বিনিয়োগ বেড়েছে।
ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা প্রধান শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক আমির হোসেন ও সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল মজিদ, যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ, ব্যাংকের অবসরাপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নুরুল ইসলাম, আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস খোকন ও গ্রাহক প্রতিনিধি তৌহিদ হোসেন।
সকালে আমিনুল ইসলামের পবিত্র কুরআন তিলওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন কিশোর দ্বীপ সেন। ব্যাংকের প্রয়াত দুই কর্মী আনসার আলী ও রমজান আলীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব করা হয়। এবং ফজলে রাব্বীর পরিবেশনায় পূঁথি পাঠ পরিবেশিত হয়।
এদিকে ব্যাংকের এই শাখাকে এগিয়ে নিতে কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে স্বীকৃতিমূলক পুরস্কার দেওয়া হয়। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ জন কর্মকর্তাকে মাসের সেরা কর্মকর্তারা হলেন- যথাক্রমে হাবিবুর রহমান, মাহিদুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম, নাঈমা জাহান, মেহেদী হাসান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, চন্দনা ইয়াসমিন, কিশোর দ্বীপ সেন, রুবেল হোসেন, আবুল বাশার, বদিউজ্জামান ও মাহফুজুর রহমান। এছাড়া বছর সেরা কর্মী হিসেবে সেরা উপস্থিতি আবুল কাশেম ও রেজাউর রহমান, সেরা পজিটিভ ব্যাংকার হাবিবুর রহমান, বেস্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড জাহিদুল হাসান, বর্ষসেরা পারফরমার আখতারুজ্জামান ও বর্ষসেরা শুদ্ধাচারী সামসুল ইসলাম।