ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সরোজগঞ্জে রাতের আধারে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

এ ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে : কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭৮ নম্বর বোয়ালিয়া মৌজার শাহাপুর ও ভুলটিয়া ব্লকের বিভাগীয় সীড স্টোর ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় কাম বাসবভন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে এ দৃশ্য দেখে সেখানে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি দুপুরের দিকে অবহিত করলে পরে ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগপত্রের লেখার মধ্যে কিছুটা অসঙ্গতি পরিলক্ষিতে হলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতি অভিযোগপত্র সংশোধনের জন্য বলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের নির্দেশে কৃষি অফিসের ভবনটি রাতের আঁধারে ভাঙা হয়েছে। স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে কারও মুখ খোলার সাহস নেই।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর জানান, বুধবার সকালে তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পারেন রাতের বেলা কে বা কারা সরোজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বিভাগীয় সীড অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস কাম বাসভবন স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে তিনি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। এছাড়া এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে লিখিত ওই অভিযোগপত্রে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি বলেও এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর আরও বলেন, ‘ভাঙচুরের ফলে সরকারি এই কার্যালয়ের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হতে পারে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ ঠিকঠাকভাবে লেখা হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। সংশোধিত কপি পেলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি জানান, ‘আল্লাহর রহমতে ঘটনাটি রাতে ঘটেছে, ফলে প্রাণহাণি এড়ানো গেছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ওই ভবনের জমি সাবেক কুতুবপুর চেয়ারম্যান কৃষি বিভাগকে দান করেছিলেন। কৃষি বিভাগ যদি দানকৃত জমি সঠিকভাবে ব্যবহার না করে, তাহলে জমির মালিকানা অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ আবার ফিরে পাবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সরোজগঞ্জে রাতের আধারে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

আপলোড টাইম : ১২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

এ ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে : কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭৮ নম্বর বোয়ালিয়া মৌজার শাহাপুর ও ভুলটিয়া ব্লকের বিভাগীয় সীড স্টোর ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় কাম বাসবভন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে এ দৃশ্য দেখে সেখানে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি দুপুরের দিকে অবহিত করলে পরে ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগপত্রের লেখার মধ্যে কিছুটা অসঙ্গতি পরিলক্ষিতে হলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতি অভিযোগপত্র সংশোধনের জন্য বলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের নির্দেশে কৃষি অফিসের ভবনটি রাতের আঁধারে ভাঙা হয়েছে। স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে কারও মুখ খোলার সাহস নেই।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর জানান, বুধবার সকালে তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পারেন রাতের বেলা কে বা কারা সরোজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বিভাগীয় সীড অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস কাম বাসভবন স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে তিনি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। এছাড়া এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে লিখিত ওই অভিযোগপত্রে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি বলেও এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর আরও বলেন, ‘ভাঙচুরের ফলে সরকারি এই কার্যালয়ের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হতে পারে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ ঠিকঠাকভাবে লেখা হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। সংশোধিত কপি পেলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি জানান, ‘আল্লাহর রহমতে ঘটনাটি রাতে ঘটেছে, ফলে প্রাণহাণি এড়ানো গেছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ওই ভবনের জমি সাবেক কুতুবপুর চেয়ারম্যান কৃষি বিভাগকে দান করেছিলেন। কৃষি বিভাগ যদি দানকৃত জমি সঠিকভাবে ব্যবহার না করে, তাহলে জমির মালিকানা অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ আবার ফিরে পাবে।’