ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

শয়নকক্ষে মিলল বিআরটিএ’র পরিদর্শকের লাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র পরিদর্শক সাইফুল্লাহ বাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমাবার দুপুরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর কপোতাক্ষ শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ। সাইফুল্লাহ বাহার মানিকঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্বভাকুম গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, তিনি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতেন। গতকাল সোমবার তিনি অফিসে না গেলে এবং তাঁকে ফোনে না পেয়ে ডাকবাংলোতে খোঁজ নেওয়া হয়। এসময় জানালা দিয়ে তাঁর মরদেহ দেখা যায়। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিআরটিএ ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর দিলে পলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধর করে।

বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, গত রোববার অফিস চলাকালীন সময় সাইফুল্লাহ বাহার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপর থেকে তাঁর সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনেও পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তেন রিপোর্টের পরই জানা যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শয়নকক্ষে মিলল বিআরটিএ’র পরিদর্শকের লাশ

আপলোড টাইম : ১১:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র পরিদর্শক সাইফুল্লাহ বাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমাবার দুপুরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর কপোতাক্ষ শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ। সাইফুল্লাহ বাহার মানিকঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্বভাকুম গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, তিনি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতেন। গতকাল সোমবার তিনি অফিসে না গেলে এবং তাঁকে ফোনে না পেয়ে ডাকবাংলোতে খোঁজ নেওয়া হয়। এসময় জানালা দিয়ে তাঁর মরদেহ দেখা যায়। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিআরটিএ ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর দিলে পলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধর করে।

বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, গত রোববার অফিস চলাকালীন সময় সাইফুল্লাহ বাহার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপর থেকে তাঁর সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনেও পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তেন রিপোর্টের পরই জানা যাবে।