নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে চারজন ও সদস্য পদে ১৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের নিকট মনোনয়পত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চারজন প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ঠিকাদার আরেফিন আলম রঞ্জু ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ঠিকাদার আরেফিন আলম রঞ্জু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন, সিরাজুল ইসলাম আসমান, রাশিদুল আলম বাকি, মোস্তাফিজুর রহমান লালা, আসাদুজ্জামান কবীর প্রমুখ। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন খোকন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহান, বুড়োপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ, শ্রীকোল গ্রামের জহুরুল ইসলাম, নীলমণিগঞ্জ গ্রামের মাফলুকাতুর রহমান সাজু ও রেলপাড়ার মিরাজুল ইসলাম কাবা।

সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন- আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামের মনিরা খাতুন, এরশাদপুরের সামসাদ রানু, বোয়ালিয়া গ্রামের হাসিবুল খাতুন, বগাদী গ্রামের কাজল রেখা ও জাহাপুরের বিথী খাতুন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সদস্য পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন- আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ কৃষ্ণপুরের খলিলুর রহমান, খাসকররা গ্রামের এএইচএম মোয়াজ্জোম, বৈদ্যনাথপুরের মিজানুর রহমান, পোয়ামারী গ্রামের মজনুর রহমান, বলেশ্বরপুরের আলতাব হোসেন, এরশাদপুর গ্রামের জাফরউল্লাহ ও মধুপুর গ্রামের শ্রী তপন কুমার বিশ্বাস।

সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জীবননগরের সোন্দাহ গ্রামের নাহার বানু, দামুড়হুদা দৌলিয়ারপুরের আদরী খাতুন, পিরপুরকুল্লাহ ইয়াসমিন খাতুন, জীবননগরের কাশিপুরের কহিনুর বেগম ও জীবননগর কোর্টপাড়ার শিরিনা পারভিন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন- দশমী গ্রামের শফিউল কবির, সড়াবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও হরিশচন্দ্রপুরের নস্কর আলী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (জীবননগর উপজেলা) সদস্য পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জীবননগরের আলীপুরের মিতা খাতুন, হাসাদাহ গ্রামের কবির আহমেদ, গঙ্গাদাসপুরের মোসাবুল ইসলাম লিটন ও খয়েরহুদা গ্রামের মাহবুবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট/অনলাইনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করার শেষ দিন ছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৬৭ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন। নির্বাচনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুইজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট প্রদান করবেন।