ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
গনগনে রোদ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে স্থবিরতা

রেকর্ড ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

আরও দুদিন বাড়বে তাপমাত্রা, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১২৬ বার পড়া হয়েছে

oplus_2

৯ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় আবারও তাপমাত্রার পারদ ৪৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। এটি চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার বেলা তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ। এর আগে ৯ বছর পূর্বে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল।
এদিকে, একদিনের বিরতির পর গতকাল আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত শুক্র ও শনিবার পরপর দুদিন এ জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। গত রোববার তাপমাত্রা সামান্য কমে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও গতকাল তাপমাত্রা আরও ১ দশমিক ২ ডিগ্রি বেড়ে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আরও দুদিন তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে পারে। আগামী ৪ মে’র পর এ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা একসপ্তাহ স্থায়ী থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা সহনশীল হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২১ মে সবচেয়ে এই জেলায় বেশি তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এরপর গত ৯ বছরের এ রেকর্ড আর ভাঙেনি। জেলায় ২০১৫ সালের ২২ মে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

oplus_2

এদিকে, ৯ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে চরম অস্বস্তি নেমে এসেছে। কয়েকদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষের জনজীবন। দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে শহরে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, কোর্ট রোড, রেল স্টেশন রোড থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে অতি তীব্র দাবদাহে অনেকটা জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি কমার পাশাপাশি যানবাহনের উপস্থিতিও কমেছে। রাস্তায় কিছু ইজিবাইক, রিকশা ও পাখিভ্যান চলতে দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। এসময় সড়কে মোটরসাইকেল চালকদের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেকটায় কম ছিল।

শহরের কোর্ট মোড় পেয়ারাতলায় বসে ছিলেন রিকশাচালক শুকুর আলী। সকাল ৯টা পর্যন্ত রাস্তায় ভালোই মানুষজন ছিল। সে সময় কয়েকটি ভাড়াও হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমও বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও কমেছে। ১২টার পর রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই গরমে মানুষ বাইরে কম বের হলেও পেটের দায়ে আমাদের মতো মানুষের বের হতেই হয়।’

oplus_2

এদিকে, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকায় এপ্রিল মাসজুড়ে হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আত্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ধারণক্ষমতার কয়েকগুন বেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগকে বেগ পেতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) উম্মে ফারহানা বলেন, গরমে মেডিসিন, ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর হার বেড়েছে। খুব জটিল সমস্যা না হলে রোগীদের বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে মুঠোফোনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বোরো ধান নিয়ে কৃষকেরা মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে বিপাকে পড়েছেন। সেই সঙ্গে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ায় বাগান মালিকেরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। আম বাগান মালিক ও ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পৌর এলাকার বুজররুকগড়গড়ি এলাকার আবদুল কুদ্দুস মহলদার বলেন, এমনিতেই গাছে এবার আম-লিচুর ফলন কম হয়েছে। তার ওপর খরার কারণে ঝরে পড়ায় বাগানমালিক ও চাষিদের চরম লোকসান গুনতে হবে।

oplus_2

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটে কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন। বাকি ধানগুলো দানা পর্যায়ে আছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান মাঠ থেকে সংগ্রহ শেষ হবে। তিনি বলেন, গরমে সবজিখেত চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিরিক্ত সেচ দিতে গিয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ইতোমধ্যে জেলার চারটি ইউএনও’র মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও মুখে খাওয়ার স্যালাইন (ওআরএস) বিতরণ শুরু করা হয়েছে। সদর পৌর এলাকায় কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাঁদের শিগগিরই স্থানীয়ভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার শুকনা খাবার প্যাকেট চাওয়া হয়েছে। হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গনগনে রোদ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে স্থবিরতা

রেকর্ড ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

আরও দুদিন বাড়বে তাপমাত্রা, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপলোড টাইম : ০৩:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

৯ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় আবারও তাপমাত্রার পারদ ৪৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। এটি চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার বেলা তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ। এর আগে ৯ বছর পূর্বে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল।
এদিকে, একদিনের বিরতির পর গতকাল আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত শুক্র ও শনিবার পরপর দুদিন এ জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। গত রোববার তাপমাত্রা সামান্য কমে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও গতকাল তাপমাত্রা আরও ১ দশমিক ২ ডিগ্রি বেড়ে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আরও দুদিন তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে পারে। আগামী ৪ মে’র পর এ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা একসপ্তাহ স্থায়ী থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা সহনশীল হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২১ মে সবচেয়ে এই জেলায় বেশি তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এরপর গত ৯ বছরের এ রেকর্ড আর ভাঙেনি। জেলায় ২০১৫ সালের ২২ মে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

oplus_2

এদিকে, ৯ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে চরম অস্বস্তি নেমে এসেছে। কয়েকদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষের জনজীবন। দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে শহরে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, কোর্ট রোড, রেল স্টেশন রোড থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে অতি তীব্র দাবদাহে অনেকটা জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি কমার পাশাপাশি যানবাহনের উপস্থিতিও কমেছে। রাস্তায় কিছু ইজিবাইক, রিকশা ও পাখিভ্যান চলতে দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। এসময় সড়কে মোটরসাইকেল চালকদের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেকটায় কম ছিল।

শহরের কোর্ট মোড় পেয়ারাতলায় বসে ছিলেন রিকশাচালক শুকুর আলী। সকাল ৯টা পর্যন্ত রাস্তায় ভালোই মানুষজন ছিল। সে সময় কয়েকটি ভাড়াও হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমও বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও কমেছে। ১২টার পর রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই গরমে মানুষ বাইরে কম বের হলেও পেটের দায়ে আমাদের মতো মানুষের বের হতেই হয়।’

oplus_2

এদিকে, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকায় এপ্রিল মাসজুড়ে হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আত্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ধারণক্ষমতার কয়েকগুন বেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগকে বেগ পেতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) উম্মে ফারহানা বলেন, গরমে মেডিসিন, ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর হার বেড়েছে। খুব জটিল সমস্যা না হলে রোগীদের বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে মুঠোফোনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বোরো ধান নিয়ে কৃষকেরা মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে বিপাকে পড়েছেন। সেই সঙ্গে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ায় বাগান মালিকেরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। আম বাগান মালিক ও ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পৌর এলাকার বুজররুকগড়গড়ি এলাকার আবদুল কুদ্দুস মহলদার বলেন, এমনিতেই গাছে এবার আম-লিচুর ফলন কম হয়েছে। তার ওপর খরার কারণে ঝরে পড়ায় বাগানমালিক ও চাষিদের চরম লোকসান গুনতে হবে।

oplus_2

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটে কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন। বাকি ধানগুলো দানা পর্যায়ে আছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান মাঠ থেকে সংগ্রহ শেষ হবে। তিনি বলেন, গরমে সবজিখেত চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিরিক্ত সেচ দিতে গিয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ইতোমধ্যে জেলার চারটি ইউএনও’র মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও মুখে খাওয়ার স্যালাইন (ওআরএস) বিতরণ শুরু করা হয়েছে। সদর পৌর এলাকায় কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাঁদের শিগগিরই স্থানীয়ভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার শুকনা খাবার প্যাকেট চাওয়া হয়েছে। হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণ করা হবে।