ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ সভায় অভিযোগ করে বিপাকে ইউপি সদস্য

প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন এক ইউপি সদস্য।

গত ২১ ডিসেম্বর সকালে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ সভায় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জমির উদ্দিন অভিযোগ করেন, মাধবখালী গ্রামের রাজনের চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের পথে পতিত হচ্ছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় হুমকির শিকার হচ্ছেন ওই ইউপি সদস্য। এ বিষয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির উদ্দিন।

ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বলেন, ‘মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় মাধবখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারি রাজনের নাম উঠে আসে। এরপর থেকে রাজন আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি প্রদান করছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় এক সময় বিএনপি করলেও এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বনে গেছেন। প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় আমি নিরাপত্তার স্বার্থে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছি।’

মাধবখালী ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মঙ্গল মীর বলেন, ‘মাধবখালী গ্রামের বাসিন্দা রাজন একজন মাদক বিক্রেতা এবং চোরাকারবারি। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। সে গত কয়েক মাস আগেও বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করলেই প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, নিজে মাদকের কারবার করলেও অন্যকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এসবের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে চায় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজন বলেন, ‘আমি কোনো মাদক বা চোরাকারবারি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমি বিজিবির হাতে আটক হয়েছি এটা সঠিক, কিন্তু কোনো অবৈধ মালামাল নিয়ে আটক হইনি।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ দিয়েছে কি না, তা আমার সঠিক মনে নেই। তবে যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ সভায় অভিযোগ করে বিপাকে ইউপি সদস্য

প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন এক ইউপি সদস্য।

গত ২১ ডিসেম্বর সকালে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ সভায় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জমির উদ্দিন অভিযোগ করেন, মাধবখালী গ্রামের রাজনের চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের পথে পতিত হচ্ছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় হুমকির শিকার হচ্ছেন ওই ইউপি সদস্য। এ বিষয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির উদ্দিন।

ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বলেন, ‘মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় মাধবখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারি রাজনের নাম উঠে আসে। এরপর থেকে রাজন আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি প্রদান করছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় এক সময় বিএনপি করলেও এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বনে গেছেন। প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় আমি নিরাপত্তার স্বার্থে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছি।’

মাধবখালী ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মঙ্গল মীর বলেন, ‘মাধবখালী গ্রামের বাসিন্দা রাজন একজন মাদক বিক্রেতা এবং চোরাকারবারি। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। সে গত কয়েক মাস আগেও বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করলেই প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, নিজে মাদকের কারবার করলেও অন্যকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এসবের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে চায় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজন বলেন, ‘আমি কোনো মাদক বা চোরাকারবারি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমি বিজিবির হাতে আটক হয়েছি এটা সঠিক, কিন্তু কোনো অবৈধ মালামাল নিয়ে আটক হইনি।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ দিয়েছে কি না, তা আমার সঠিক মনে নেই। তবে যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’