ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের জমি দখলের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লায় নবীন সংঘ ক্লাবের জমি ৪০ বছর যাবত দখলে রাখার অভিযোগ তুলেছে ক্লাবের সকল সদস্য ও স্থানীয়রা। ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের সভাপতি গোলজার হোসেন জানান, ৫নম্বর ভিমরুল্লা মৌজায় অবস্থিত জেলা কারাগারের দক্ষিনে মেইন রাস্তা সংলগ্ন এসএ ৩৯৩ দাগ স্থলে আরএস ৫০৪ দাগে ২০ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমির রেকর্ডিয় মালিক ছিলেন খন্দকার কামরুজ্জামান।

তিনি ১৯৮২ সালে উক্ত জমি ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের পক্ষে সেক্রেটারি বরাবর বিক্রয় করেন এবং জমি হস্তান্তর করে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু এলাকার মৃত গোলাম রসুলের চার ছেলে শফিকুর রহমান শহর আলী, গহর আলী, জাফর আলী ও তাজের আলী সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ক্লাবের জমিসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে আছে। তারা দখলকৃত জমির উপর পাকা বাড়ি, দোকান ও ইজিবাইক চার্জার স্ট্যান্ড নির্মাণ করেছে। স্থানীয়রা ক্লাবের জমি ফিরে পেতে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখলের বিষয়ে দখলকারীদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছে। একই সঙ্গে এলাকার শতাধিক মানুষ ক্লাবের দখলকৃত জমি ফিরে পেতে গণসাক্ষর করেছে।

স্থানীয়রা বলেন, গত মার্চ মাসে ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়রা দখকারীদের ডেকে ক্লাবের জমি ছেড়ে দিতে বলে। এসময় তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয় এবং জমি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি সুরাহার জন্য পৌর সার্ভেয়ার এবং দুই পক্ষের একজন করে আমিন আজ (গতকাল বুধবার) জমি পরিমাপ করেছে। মৃত গোলাম রসুলের চার ছেলে নবীন ক্লাবের জমিসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিও দখল করে রেখেছে। আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি স্থায়ীভাবে মীমাংসা করে দিক।

শফিকুর রহমান শহর আলী বলেন, ‘গোলজার আমার বিরুদ্ধে মানুষকে উষ্কানি দিচ্ছে। এখানে ক্লাবের কোনো জমি নেই। আমাদের জমিতেই বাড়ি ও দোকান তৈরি করেছি। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।’ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এখন মহামান্য আদালত রায় দেবেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের জমি দখলের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লায় নবীন সংঘ ক্লাবের জমি ৪০ বছর যাবত দখলে রাখার অভিযোগ তুলেছে ক্লাবের সকল সদস্য ও স্থানীয়রা। ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের সভাপতি গোলজার হোসেন জানান, ৫নম্বর ভিমরুল্লা মৌজায় অবস্থিত জেলা কারাগারের দক্ষিনে মেইন রাস্তা সংলগ্ন এসএ ৩৯৩ দাগ স্থলে আরএস ৫০৪ দাগে ২০ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমির রেকর্ডিয় মালিক ছিলেন খন্দকার কামরুজ্জামান।

তিনি ১৯৮২ সালে উক্ত জমি ভিমরুল্লা নবীন সংঘ ক্লাবের পক্ষে সেক্রেটারি বরাবর বিক্রয় করেন এবং জমি হস্তান্তর করে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু এলাকার মৃত গোলাম রসুলের চার ছেলে শফিকুর রহমান শহর আলী, গহর আলী, জাফর আলী ও তাজের আলী সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ক্লাবের জমিসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে আছে। তারা দখলকৃত জমির উপর পাকা বাড়ি, দোকান ও ইজিবাইক চার্জার স্ট্যান্ড নির্মাণ করেছে। স্থানীয়রা ক্লাবের জমি ফিরে পেতে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখলের বিষয়ে দখলকারীদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছে। একই সঙ্গে এলাকার শতাধিক মানুষ ক্লাবের দখলকৃত জমি ফিরে পেতে গণসাক্ষর করেছে।

স্থানীয়রা বলেন, গত মার্চ মাসে ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়রা দখকারীদের ডেকে ক্লাবের জমি ছেড়ে দিতে বলে। এসময় তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয় এবং জমি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি সুরাহার জন্য পৌর সার্ভেয়ার এবং দুই পক্ষের একজন করে আমিন আজ (গতকাল বুধবার) জমি পরিমাপ করেছে। মৃত গোলাম রসুলের চার ছেলে নবীন ক্লাবের জমিসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিও দখল করে রেখেছে। আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি স্থায়ীভাবে মীমাংসা করে দিক।

শফিকুর রহমান শহর আলী বলেন, ‘গোলজার আমার বিরুদ্ধে মানুষকে উষ্কানি দিচ্ছে। এখানে ক্লাবের কোনো জমি নেই। আমাদের জমিতেই বাড়ি ও দোকান তৈরি করেছি। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।’ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এখন মহামান্য আদালত রায় দেবেন।’