ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
দর্শনায় এনজিও অফিসে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনতাই চেষ্টা

বোমা রেখে পালালো দুর্বৃত্তরা, দিনভর উৎকণ্ঠা

যৌথবাহিনী সারাদিন অফিস ঘিরে রাখার পর রাতে বোমা নিষ্ক্রিয়

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

দর্শনায় একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিসে ঢুকে পিস্তল দেখিয়ে ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অফিসের লোকজনের চিৎকারে ওই দুর্বৃত্ত একটি বোমা সদৃশ বস্তু রেখে পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

বুরো বাংলাদেশ এনজিওর দর্শনা শাখার অ্যাকাউন্টস অফিসার ফেরদৌস বলেন, তিনি অফিসে কাজ করছিলেন। এসময় হেলমেট পরিহিত এক যুবক অফিসকক্ষে ঢুকে তার পায়ের নিকট একটি বোমা সদৃশ বস্তু রাখেন এবং কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে অফিসে যা কিছু আছে, সবকিছু তাকে দিয়ে দিতে। বাইরে তাদের আরও সদস্য আছে, যদি চিৎকার-চেঁচামেচি করেন তাহলে গুলি করে দিবে। পরে অ্যাকাউন্টস অফিসার জানালার কাছে গিয়ে চিৎকার করলে ওই দুর্বুত্ত বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে বাইরে থেকে বন্ধ দরজা খুলে দেয়।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ও র‍্যারের একটি দল। ঘটনার পর থেকে দিনভর এনজিও অফিস ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ওই এলাকার মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
রাত ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে র‌্যাব-৫ এর সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় দল এনজিও অফিসের ভেতর থেকে বোমাটি উদ্ধার করে। পরে সেটি দর্শনার কেরু ক্লাব মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত ১১টা ১২ মিনিটে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এসময় বিকট শব্দে পুরো মাঠ কেঁপে ওঠে। বোমা নিষ্ক্রিয়ের সময় পুরো মাঠ ও আশেপাশের রাস্তা দর্শনা থানা পুলিশ, র‌্যাব-৫, ৬ ও ১২, জেলা ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে রাখেন।

বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সূত্রে জানা যায়, এটি সময় নিয়ন্ত্রক আইডি বোমা। বোমাটির ঘড়ি আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। বোমাটি বিষ্ফোরিত হলে ১৫ থেকে ২০ গজের মধ্যে যে কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারতো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় এনজিও অফিসে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনতাই চেষ্টা

বোমা রেখে পালালো দুর্বৃত্তরা, দিনভর উৎকণ্ঠা

যৌথবাহিনী সারাদিন অফিস ঘিরে রাখার পর রাতে বোমা নিষ্ক্রিয়

আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিসে ঢুকে পিস্তল দেখিয়ে ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অফিসের লোকজনের চিৎকারে ওই দুর্বৃত্ত একটি বোমা সদৃশ বস্তু রেখে পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

বুরো বাংলাদেশ এনজিওর দর্শনা শাখার অ্যাকাউন্টস অফিসার ফেরদৌস বলেন, তিনি অফিসে কাজ করছিলেন। এসময় হেলমেট পরিহিত এক যুবক অফিসকক্ষে ঢুকে তার পায়ের নিকট একটি বোমা সদৃশ বস্তু রাখেন এবং কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে অফিসে যা কিছু আছে, সবকিছু তাকে দিয়ে দিতে। বাইরে তাদের আরও সদস্য আছে, যদি চিৎকার-চেঁচামেচি করেন তাহলে গুলি করে দিবে। পরে অ্যাকাউন্টস অফিসার জানালার কাছে গিয়ে চিৎকার করলে ওই দুর্বুত্ত বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে বাইরে থেকে বন্ধ দরজা খুলে দেয়।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ও র‍্যারের একটি দল। ঘটনার পর থেকে দিনভর এনজিও অফিস ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ওই এলাকার মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
রাত ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে র‌্যাব-৫ এর সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় দল এনজিও অফিসের ভেতর থেকে বোমাটি উদ্ধার করে। পরে সেটি দর্শনার কেরু ক্লাব মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত ১১টা ১২ মিনিটে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এসময় বিকট শব্দে পুরো মাঠ কেঁপে ওঠে। বোমা নিষ্ক্রিয়ের সময় পুরো মাঠ ও আশেপাশের রাস্তা দর্শনা থানা পুলিশ, র‌্যাব-৫, ৬ ও ১২, জেলা ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে রাখেন।

বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সূত্রে জানা যায়, এটি সময় নিয়ন্ত্রক আইডি বোমা। বোমাটির ঘড়ি আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। বোমাটি বিষ্ফোরিত হলে ১৫ থেকে ২০ গজের মধ্যে যে কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারতো।