ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বেড়েছে বিষধর সাপের উপদ্রুপ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

আকিমুল ইসলাম, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ও তিতুদহের প্রায় সব গ্রামেই বেড়েছে সাপের উপদ্রুপ। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাপ আতঙ্কে ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে দেখা মাত্রই ভয়ে লাঠি, ঝুপি, ইটের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে প্রতিদিন মারছে বিষধর গোখরাসহ অন্যান্য জাতের সাপ। তবে বেশি পরিমানে মারা পড়ছে কালো-সাদা সংমিশ্রণে ডোরাকাটা সাখাপাটি সাপ। গত ১০ দিনে দুই ইউনিয়নে অন্তত ৫০ থেকে ৬০টির অধিক সাপ মেরেছে স্থানীয়রা। তবে এর মধ্যে নির্বিষ দাঁড়াশ সাপও মেরেছে অনেক। বিগত কয়েক মাসের আবহাওয়া উষ্ণ থাকার পর বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে হালকা নিম্নচাপের কারণে মাঠে থাকা বিষধর সাপ ডাঙায় মানুষের বাড়ির খড়ির গাদা, মেটে বসতবাড়ির গর্তে, বাড়ির পাশে বেড়ার মধ্যেসহ ঝোপ বিশিষ্ট গাছে সাপ আস্তানা গেড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে বাইরে আসার কারণে সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে এবং গণপিটুনিতে মারা পড়ছে সাপগুলো। গত সপ্তাহে অনেক সাপ মারার ভিডিও যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে অনেকে। গত পাঁচদিনে গোবরগাড়া, খাড়াগোদা ও গতকাল গড়াইটুপিতে সাপ মারার দৃশ্য চোখে পড়েছে অনেকের।

এবিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শাহিন সরকার বলেন, সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়া গোখরা সাপের পাশাপাশি একটি দাঁড়াশ সাপ কয়েক একর জমির ফসল রক্ষা করে ইঁদুর খেয়ে। এতে মানুষ উপকৃত হয়। প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো সাপ। অকারণে সাপ মারা কোনো বাহাদুরি নয় বরং কাপুরুষত্ব। সাপ উদ্ধারকারীদের সহায়তা প্রদান ও সাপ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এ ক্ষেত্রে সাপ নিয়ে জনমনে এত ভয় পাবার কিছু নাই। বাংলা সিনেমাসহ নানা মাধ্যমে মানুষ জেনেছে, সাপ মানেই খুব ভয়ঙ্কর প্রাণী। ওঝা, কবিরাজরাও সাপকে ভয়ঙ্করভাবে উপস্থাপন করে থাকে। এ কারণে সাপ দেখলেই মানুষ মারতে আসে। অথচ দেশের অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। বিভিন্ন প্রজাতির সাপ সম্পর্কে সবাইকে পরিচিত করার মাধ্যমে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সচেতনতামূলক সেমিনার করে সাপ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে হবে। তবেই মানুষের মনের ভয় দূর করা সম্ভব হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বেড়েছে বিষধর সাপের উপদ্রুপ

আপলোড টাইম : ০৪:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২

আকিমুল ইসলাম, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ও তিতুদহের প্রায় সব গ্রামেই বেড়েছে সাপের উপদ্রুপ। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাপ আতঙ্কে ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে দেখা মাত্রই ভয়ে লাঠি, ঝুপি, ইটের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে প্রতিদিন মারছে বিষধর গোখরাসহ অন্যান্য জাতের সাপ। তবে বেশি পরিমানে মারা পড়ছে কালো-সাদা সংমিশ্রণে ডোরাকাটা সাখাপাটি সাপ। গত ১০ দিনে দুই ইউনিয়নে অন্তত ৫০ থেকে ৬০টির অধিক সাপ মেরেছে স্থানীয়রা। তবে এর মধ্যে নির্বিষ দাঁড়াশ সাপও মেরেছে অনেক। বিগত কয়েক মাসের আবহাওয়া উষ্ণ থাকার পর বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে হালকা নিম্নচাপের কারণে মাঠে থাকা বিষধর সাপ ডাঙায় মানুষের বাড়ির খড়ির গাদা, মেটে বসতবাড়ির গর্তে, বাড়ির পাশে বেড়ার মধ্যেসহ ঝোপ বিশিষ্ট গাছে সাপ আস্তানা গেড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে বাইরে আসার কারণে সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে এবং গণপিটুনিতে মারা পড়ছে সাপগুলো। গত সপ্তাহে অনেক সাপ মারার ভিডিও যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে অনেকে। গত পাঁচদিনে গোবরগাড়া, খাড়াগোদা ও গতকাল গড়াইটুপিতে সাপ মারার দৃশ্য চোখে পড়েছে অনেকের।

এবিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শাহিন সরকার বলেন, সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়া গোখরা সাপের পাশাপাশি একটি দাঁড়াশ সাপ কয়েক একর জমির ফসল রক্ষা করে ইঁদুর খেয়ে। এতে মানুষ উপকৃত হয়। প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো সাপ। অকারণে সাপ মারা কোনো বাহাদুরি নয় বরং কাপুরুষত্ব। সাপ উদ্ধারকারীদের সহায়তা প্রদান ও সাপ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এ ক্ষেত্রে সাপ নিয়ে জনমনে এত ভয় পাবার কিছু নাই। বাংলা সিনেমাসহ নানা মাধ্যমে মানুষ জেনেছে, সাপ মানেই খুব ভয়ঙ্কর প্রাণী। ওঝা, কবিরাজরাও সাপকে ভয়ঙ্করভাবে উপস্থাপন করে থাকে। এ কারণে সাপ দেখলেই মানুষ মারতে আসে। অথচ দেশের অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। বিভিন্ন প্রজাতির সাপ সম্পর্কে সবাইকে পরিচিত করার মাধ্যমে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সচেতনতামূলক সেমিনার করে সাপ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে হবে। তবেই মানুষের মনের ভয় দূর করা সম্ভব হবে।