ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বেদে পরিচয়ের আড়ালে চুরি করাই তাদের পেশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের রোগী সেজে রোগীদের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় দুই নারী চোরকে আটক করেছে পুলিশ। এরা শহরের মধ্যে নিজেদেরকে বেদে সম্প্রদায় বলেও পরিচয় দিয়ে থাকে। বেদে পরিচয় দিলেও তারা আসলে নারী চোরচক্র। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে। আটককৃত দুই নারী চোরচক্রের সদস্য হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানাধীন হাড়গিলা গ্রামের রাসেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২২) ও রুবিনা (২৭)। বর্তমনে তারা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় বসবাস করছিলেন।

জানা যায়, গতকাল সকালে নিজ ছেলের চিকিৎসার জন্য সদর হাপসাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামের আসমা খাতুন ও ফুলবাড়ি গ্রামের জামেলা বেগম। দুজনেই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট ক্রয়ের জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় ভিড়ের মধ্যে চোর চক্রের সদস্য নিপা খাতুন ও রুবিনা তাঁদের মধ্যে একজনের ব্যাগ থেকে ৬ হাজার ও অপরজনের ব্যাগ থেকে ১ হাজার টাকা চুরি করে। নিজেদের টাকা চুরি হয়েছে বুঝতে পেরে দুজনেই হাপসাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্তকর্তার কক্ষে চুরির অভিযোগ করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরচক্রের সদস্য নিপা খাতুন ও রুবিনাকে শনাক্ত করা হয়। এসময় হাপসাতালের দায়িত্বরত পুলিশ টিম নিপা খাতুন ও রুবিনাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের অনেক ভিড় থাকে। আর এই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে রোগী বেশে মহিলা চোরচক্র রোগী ও স্বজনদের ব্যাগ থেকে টাকা-পয়সা চুরি করে। আজ (গতকাল) এমই একটি চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুজন মহিলা চোরকে শনাক্ত করি। পরে হাপসাতালের কর্তব্যরত পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা শনাক্তকৃত মহিলা চোরদ্বয়কে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। তাদের নিকট থেকে রোগীদের চুরি হওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ‘আটককৃত নারী চোর চক্রের দুই সদস্যই খুবই ধূর্ত। তারা মূলত সাপুড়ে। নিজেদের বেদে পরিচয় দিয়ে এরা শহরের মধ্যে ঘুড়ে বেড়ায়, আর ভিড় দেখলে সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের ব্যাগ, টাকা, চুরি করে পালিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে ভিড় দেখে তারা আজ (গতকাল) হাপসাতালে রোগীদের টাকা ও ব্যাগ চুরির জন্য হাপসাতালের রোগীদের ভিড়ে মিশে যায়। তারা দুজন মিলে দুই রোগীর স্বজনের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে সক্ষমও হয়। চুরির অভিযোগ পেয়ে হাপসাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তাদের দুজনকে শনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এই চক্রের আরও একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটক দুজনের বিরুদ্ধে এর পূর্বে শেরপুরেও একটি মামলা রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বেদে পরিচয়ের আড়ালে চুরি করাই তাদের পেশা

আপলোড টাইম : ০৭:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের রোগী সেজে রোগীদের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় দুই নারী চোরকে আটক করেছে পুলিশ। এরা শহরের মধ্যে নিজেদেরকে বেদে সম্প্রদায় বলেও পরিচয় দিয়ে থাকে। বেদে পরিচয় দিলেও তারা আসলে নারী চোরচক্র। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে। আটককৃত দুই নারী চোরচক্রের সদস্য হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানাধীন হাড়গিলা গ্রামের রাসেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২২) ও রুবিনা (২৭)। বর্তমনে তারা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় বসবাস করছিলেন।

জানা যায়, গতকাল সকালে নিজ ছেলের চিকিৎসার জন্য সদর হাপসাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামের আসমা খাতুন ও ফুলবাড়ি গ্রামের জামেলা বেগম। দুজনেই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট ক্রয়ের জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় ভিড়ের মধ্যে চোর চক্রের সদস্য নিপা খাতুন ও রুবিনা তাঁদের মধ্যে একজনের ব্যাগ থেকে ৬ হাজার ও অপরজনের ব্যাগ থেকে ১ হাজার টাকা চুরি করে। নিজেদের টাকা চুরি হয়েছে বুঝতে পেরে দুজনেই হাপসাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্তকর্তার কক্ষে চুরির অভিযোগ করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরচক্রের সদস্য নিপা খাতুন ও রুবিনাকে শনাক্ত করা হয়। এসময় হাপসাতালের দায়িত্বরত পুলিশ টিম নিপা খাতুন ও রুবিনাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের অনেক ভিড় থাকে। আর এই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে রোগী বেশে মহিলা চোরচক্র রোগী ও স্বজনদের ব্যাগ থেকে টাকা-পয়সা চুরি করে। আজ (গতকাল) এমই একটি চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুজন মহিলা চোরকে শনাক্ত করি। পরে হাপসাতালের কর্তব্যরত পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা শনাক্তকৃত মহিলা চোরদ্বয়কে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। তাদের নিকট থেকে রোগীদের চুরি হওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ‘আটককৃত নারী চোর চক্রের দুই সদস্যই খুবই ধূর্ত। তারা মূলত সাপুড়ে। নিজেদের বেদে পরিচয় দিয়ে এরা শহরের মধ্যে ঘুড়ে বেড়ায়, আর ভিড় দেখলে সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের ব্যাগ, টাকা, চুরি করে পালিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে ভিড় দেখে তারা আজ (গতকাল) হাপসাতালে রোগীদের টাকা ও ব্যাগ চুরির জন্য হাপসাতালের রোগীদের ভিড়ে মিশে যায়। তারা দুজন মিলে দুই রোগীর স্বজনের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে সক্ষমও হয়। চুরির অভিযোগ পেয়ে হাপসাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তাদের দুজনকে শনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এই চক্রের আরও একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটক দুজনের বিরুদ্ধে এর পূর্বে শেরপুরেও একটি মামলা রয়েছে।’