ডিজিটাল সনদ এবং স্মার্ট-কার্ড সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ : ডিসি আমিনুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ মাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিলো বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই আমরা চুয়াডাঙ্গার মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। আজ এখানে যারা চুল-দাড়ি পাকা মানুষগুলো বসে আছি, সেদিন আমরা তরুণ ছিলাম। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকেই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ আমরা স্মার্ট কার্ড পাচ্ছি। ডিজিটাল হচ্ছি। আমারও ভালো লাগছে।’

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ডিজিটাল সনদ এবং স্মার্ট কার্ড সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। এটা যত্ন করে রেখে দিবেন। এটা একটা স্বীকৃতি, সম্মান তথা মর্যাদা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূঁইয়া।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দেয়া হবে। প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ২৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দেয়া হয়। পরে, বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের রুহের শান্তি কামনা করে এবং গেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।