ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বাড়ছে শীতের তীব্রতা, কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

নভেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে : আবহাওয়াবিদ সামাদুল হক

রুদ্র রাসেল: হেমন্ত ঋতুর প্রথম মাস কার্তিকের ৩০ তারিখ আজ। বাংলা বর্ষপঞ্জিকায় পৌষ ও মাঘ দুই মাস শীত ঋতু। তবে পৌষের আগে এক মাস হাতে রেখেই হেমন্ত ঋতুতে ঢুকে পড়েছে শীত। এরই মধ্যে প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে শীতের আমেজে। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, এ জেলা শহরের বাসীন্দাদেরও গতকাল দুপুরের পর থেকেই দেখা গেছে শীতের পোশাক পরিধান করতে। শহরের বিভিন্ন মোড় ও নিক্সন পট্টিগুলোতে ইতঃমধ্যেই শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ ক্রেতারা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

অবশ্য দিনের বেলা তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বাড়লেও বিকেল গড়াতে না গড়াতেই বইতে শুরু করেছে হালকা শীতল বাতাস, রাতভর অনুভূত হচ্ছে শীতের দাপট। রাতের বেলায় জড়াতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল। স্বচ্ছল ব্যক্তিরা শীত মোকাবিলায় লেপ-তোষক বানানো শুরু করেছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সংসার চালাবেন না শীতবস্ত্র কিনবেন, এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গ পৌর শহরের ভ্যানচালক আলামিন বলেন, ‘সংসারের প্রয়োজনে প্রতিদিন ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হয়। কিন্তু আজ (গতকাল) ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে বিপাকে পড়েছি। ভোর থেকেই ঠান্ডা লাগছে। ভ্যান চালানো কষ্টকর হয়ে উঠছে। চাল-ডালসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পরিবারের নতুন সদস্য ছোট মেয়েটির জন্য শীতের পোশাকও কিনতে হবে, সংসার চালাবো না শীতের কাপড় কিনব, বুঝতে পারছি না।’ সাদিকুর নামের এক যুবক বলেন, ‘রোববার ভার্সিটি থেকে ছুটি নিয়ে নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে এসেছি। ঢাকায় দিনে ঘেমে ঘুরেছি ও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়েছি। কিন্তু চুয়াডাঙ্গায় এসে দেখি এখানে মানুষ শীতের পোশাক পড়ে আছে। যখন আমার শরীরেও শীত লাগতে শুরু করে তখন বুঝেছি কেন এত আগেই সবাই শীতের পোশাক পরিধান করছে। এরই মধ্যে জানতে পারলাম দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ (গতকাল) আমাদের জেলাতে রেকর্ড হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার কোর্ট মোড় নিক্সন পট্টির শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী নিজাম বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে তবে এখনও সেভাবে বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। সারাদিনে কয়েকজন ক্রেতা এসেছিলেন, সন্ধ্যার পরে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে, তবে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। শীত আরও বাড়লে তার দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রি বাড়বে বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. সামাদুল হক বলেন, নভেম্বরের শুরু থেকেই এ জেলায় হালকা শীতের আমেজ আসতে শুরু করে। গতবছর এ সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার পূবেই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। তখন তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাড়ছে শীতের তীব্রতা, কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ

আপলোড টাইম : ১০:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

নভেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে : আবহাওয়াবিদ সামাদুল হক

রুদ্র রাসেল: হেমন্ত ঋতুর প্রথম মাস কার্তিকের ৩০ তারিখ আজ। বাংলা বর্ষপঞ্জিকায় পৌষ ও মাঘ দুই মাস শীত ঋতু। তবে পৌষের আগে এক মাস হাতে রেখেই হেমন্ত ঋতুতে ঢুকে পড়েছে শীত। এরই মধ্যে প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে শীতের আমেজে। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, এ জেলা শহরের বাসীন্দাদেরও গতকাল দুপুরের পর থেকেই দেখা গেছে শীতের পোশাক পরিধান করতে। শহরের বিভিন্ন মোড় ও নিক্সন পট্টিগুলোতে ইতঃমধ্যেই শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ ক্রেতারা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

অবশ্য দিনের বেলা তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বাড়লেও বিকেল গড়াতে না গড়াতেই বইতে শুরু করেছে হালকা শীতল বাতাস, রাতভর অনুভূত হচ্ছে শীতের দাপট। রাতের বেলায় জড়াতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল। স্বচ্ছল ব্যক্তিরা শীত মোকাবিলায় লেপ-তোষক বানানো শুরু করেছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সংসার চালাবেন না শীতবস্ত্র কিনবেন, এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গ পৌর শহরের ভ্যানচালক আলামিন বলেন, ‘সংসারের প্রয়োজনে প্রতিদিন ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হয়। কিন্তু আজ (গতকাল) ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে বিপাকে পড়েছি। ভোর থেকেই ঠান্ডা লাগছে। ভ্যান চালানো কষ্টকর হয়ে উঠছে। চাল-ডালসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পরিবারের নতুন সদস্য ছোট মেয়েটির জন্য শীতের পোশাকও কিনতে হবে, সংসার চালাবো না শীতের কাপড় কিনব, বুঝতে পারছি না।’ সাদিকুর নামের এক যুবক বলেন, ‘রোববার ভার্সিটি থেকে ছুটি নিয়ে নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে এসেছি। ঢাকায় দিনে ঘেমে ঘুরেছি ও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়েছি। কিন্তু চুয়াডাঙ্গায় এসে দেখি এখানে মানুষ শীতের পোশাক পড়ে আছে। যখন আমার শরীরেও শীত লাগতে শুরু করে তখন বুঝেছি কেন এত আগেই সবাই শীতের পোশাক পরিধান করছে। এরই মধ্যে জানতে পারলাম দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ (গতকাল) আমাদের জেলাতে রেকর্ড হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার কোর্ট মোড় নিক্সন পট্টির শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী নিজাম বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে তবে এখনও সেভাবে বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। সারাদিনে কয়েকজন ক্রেতা এসেছিলেন, সন্ধ্যার পরে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে, তবে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। শীত আরও বাড়লে তার দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রি বাড়বে বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. সামাদুল হক বলেন, নভেম্বরের শুরু থেকেই এ জেলায় হালকা শীতের আমেজ আসতে শুরু করে। গতবছর এ সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার পূবেই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। তখন তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।’