ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ফেসবুক নিয়ে দ্বন্দ্ব : কিশোরের ঘাড়ে কোপ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুকের দ্বন্দ্বে ফেরদৌস (১৬) নামের এক কিশোরকে ঘাড়ে কোপ মারাসহ কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলুকদিয়া মনিরামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। একই এলাকার মোনয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (১৭) একটি হাসুয়া দিয়ে ফেরদৌসের ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ফেরদৌসকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহত কিশোর মনিরামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে দাড়িয়ে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছিল ফেরদৌস। এসময় রাসেল সেখানে আসলে ফেরদৌসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাসেল তার বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া এনে ফেরদৌসের ঘাড়ে একটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। ফেরদৌসের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরদৌসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
আহত কিশোর ফেরদৌসের পিতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে দাড়িয়ে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছিল আমার ছেলে। এসময় প্রতিবেশি মোনয়ারের ছেলে রাসেল সেখানে আসে। তখন রাসেল ও ফেরদৌসের মধ্যে মোবাইলে ফেসবুক চালানোর সময় তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে তর্কা-তর্কি হয়। একপর্যায়ে রাসেল তার বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া নিয়ে এসে আমার ছেলের ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। ফেরদৌসের চিৎকার শুনে ছুটে যেয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
আলুকদিয়া চার নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় আমাদের বাড়ির পেছনে দাড়িয়ে থাকা ফেরদৌসকে একই এলাকার রাসেল নামের অন্য একটি হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরেছে। খবর পেয়েই ফেরদৌসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফেরদৌসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে ঠিক কি কারণে রাসেল এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে পারিনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফেরদৌস নামের একটি যুবককে তার পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যরা জানায় প্রতিবেশি একটি ছেলে ফেরদৌসের ঘাড়ে কোপ মেয়ে আহত করেছে। আমরা জরুরি বিভাগ থেকে জখম ফেরদৌসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেছি। ফেরদৌসের ঘাড়ে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ক্ষত স্থানে চারটি শেলায় দেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ফেসবুক নিয়ে দ্বন্দ্ব : কিশোরের ঘাড়ে কোপ!

আপলোড টাইম : ১০:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুকের দ্বন্দ্বে ফেরদৌস (১৬) নামের এক কিশোরকে ঘাড়ে কোপ মারাসহ কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলুকদিয়া মনিরামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। একই এলাকার মোনয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (১৭) একটি হাসুয়া দিয়ে ফেরদৌসের ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ফেরদৌসকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহত কিশোর মনিরামপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে দাড়িয়ে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছিল ফেরদৌস। এসময় রাসেল সেখানে আসলে ফেরদৌসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাসেল তার বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া এনে ফেরদৌসের ঘাড়ে একটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। ফেরদৌসের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরদৌসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
আহত কিশোর ফেরদৌসের পিতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে দাড়িয়ে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছিল আমার ছেলে। এসময় প্রতিবেশি মোনয়ারের ছেলে রাসেল সেখানে আসে। তখন রাসেল ও ফেরদৌসের মধ্যে মোবাইলে ফেসবুক চালানোর সময় তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে তর্কা-তর্কি হয়। একপর্যায়ে রাসেল তার বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া নিয়ে এসে আমার ছেলের ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। ফেরদৌসের চিৎকার শুনে ছুটে যেয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
আলুকদিয়া চার নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় আমাদের বাড়ির পেছনে দাড়িয়ে থাকা ফেরদৌসকে একই এলাকার রাসেল নামের অন্য একটি হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরেছে। খবর পেয়েই ফেরদৌসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফেরদৌসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে ঠিক কি কারণে রাসেল এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে পারিনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফেরদৌস নামের একটি যুবককে তার পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যরা জানায় প্রতিবেশি একটি ছেলে ফেরদৌসের ঘাড়ে কোপ মেয়ে আহত করেছে। আমরা জরুরি বিভাগ থেকে জখম ফেরদৌসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেছি। ফেরদৌসের ঘাড়ে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ক্ষত স্থানে চারটি শেলায় দেওয়া হয়েছে।’