ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পূজার ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না সৌরভের

চট্টগ্রামে জাহাহে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি আসতে চেয়েছিলেন সৌরভ কুমার সাহা। মোবাইলে বাবা-মাকে এমনটিই জানিয়ে বলেছিলেন তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে পূজার ছুটিতে। কিন্তু না, সবই ওলট-পালট করে দিল আগুন। ছুটি নেওয়ার আগেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমারের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা কবিরপুর গ্রামের মানিক সাহার ছেলে। সৌরভের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সৌরভ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা মানিক সাহা ছোট্ট একটা মুদি দোকান পরিচালনা করেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় সৌরভ। বাবা মানিক সাহা জানান, সৌরভ বরিশাল মেরিন একাডেমি থেকে পাস করে গত আগস্টে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন। তার চাকরির বয়স মাত্র দুই মাস। সব সামর্থ্য দিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে গেছে।
সৌরভের প্রতিবেশী নিপুণ বিশ্বাস বলেন, সৌরভ ছোটবেলা থেকেই অত্যান্ত মেধাবী ছিলেন। তার বাবা খুব কষ্ট করে তাকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছিলেন। সৌরভের দাদা শচীন সাহা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সে বলেছিল পূজার ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার আসা আর হলো না। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে নোঙ্গর করা ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’তে অগ্নিকাণ্ডের পর যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ঝিনাইদহের সৌরভ একজন।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পূজার ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না সৌরভের

চট্টগ্রামে জাহাহে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১২:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি আসতে চেয়েছিলেন সৌরভ কুমার সাহা। মোবাইলে বাবা-মাকে এমনটিই জানিয়ে বলেছিলেন তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে পূজার ছুটিতে। কিন্তু না, সবই ওলট-পালট করে দিল আগুন। ছুটি নেওয়ার আগেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমারের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা কবিরপুর গ্রামের মানিক সাহার ছেলে। সৌরভের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সৌরভ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা মানিক সাহা ছোট্ট একটা মুদি দোকান পরিচালনা করেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় সৌরভ। বাবা মানিক সাহা জানান, সৌরভ বরিশাল মেরিন একাডেমি থেকে পাস করে গত আগস্টে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন। তার চাকরির বয়স মাত্র দুই মাস। সব সামর্থ্য দিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে গেছে।
সৌরভের প্রতিবেশী নিপুণ বিশ্বাস বলেন, সৌরভ ছোটবেলা থেকেই অত্যান্ত মেধাবী ছিলেন। তার বাবা খুব কষ্ট করে তাকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছিলেন। সৌরভের দাদা শচীন সাহা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সে বলেছিল পূজার ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার আসা আর হলো না। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে নোঙ্গর করা ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’তে অগ্নিকাণ্ডের পর যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ঝিনাইদহের সৌরভ একজন।