ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: শুধু পদ্মার দুই পাড়েই নয়, স্বপ্নপূরণের আনন্দে গতকাল শনিবার দিনভর ভেসেছে গোটা দেশ; উৎসবে মেতেছে ১৭ কোটি মানুষ। পদ্মা সেতুর বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দিতে না পারলেও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ নিজেদের মতো করে নানা উৎসবের আয়োজন করেছে। এ মাহেন্দ্রক্ষণের স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেছে নানাভাবে। মিছিল-শোভাযাত্রা, দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, মিষ্টিমুখ ও সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানে সরগরম হয়ে ওঠে সারাদেশ।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে আনন্দ-উৎসবের ঢেউ আছড়ে পড়ে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে রাজপথে। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আনন্দ উৎসবে যুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহবাসী। খেটে খাওয়া মানুষও যোগ দেন উৎসব আনন্দে। গভীর রাত পর্যন্ত উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। টাউন ফুটবল মাঠে পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ মঞ্চ ও প্যান্ডেল থেকে সরাসরি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোটি বাঙালির স্বপ্নের সেতু আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক, সম্মানের প্রতীক, গর্বের প্রতীক। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মতো আমরা একটা উপকরণ পেয়েছি। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা তা প্রমাণ করেছি এবং ২০২২ সালে আবার প্রমাণ করলাম আমরা বাঙালি জাতি আমাদেরকে দাবায়ে রাখা যাবে না। গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটা মেগা প্রকল্পের কাজ সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। যখন বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিলেন তখন জাতির ক্রান্তিলগ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা পারি এবং আমরা যা বলি তা করে দেখায়।


তিনি আরও বলেন, এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে জড়িত। এই সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে যুক্ত করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বড় পবির্তন আনবে। ১৮ কোটি মানুষের দেশ এই বাংলাদেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ এই বাংলাদেশ। বন্যা খড়া লেগেই আছে। এতোকিছুর পরও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু তৈরি করা বিশ্বের এক বিষ্ময়।

সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু ও দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচি:
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, আতশবাজী ও ফানুস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি সেতু নির্মাণ করতে যাওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ করেও ঘুষ ও দুর্নীতির মতো মিথ্যা অভিযোগে তা প্রত্যাহার করেছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। স্বপ্নের এই সেতুকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। সোনালি স্বপ্ন এখন কল্পনা নয়, সত্যিই দৃশ্যমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পেলাম পদ্মা সেতু।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রথম কোনো সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এমনিতেই কৃষিতে উন্নত। এই সেতু হয়ে গেলে তাদের কৃষিপণ্য খুব সহজেই ঢাকায় চলে আসবে। মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ও বন্দরনগর চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পুরো দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এক দশমিক দুই শতাংশ বেড়ে যাবে। আর প্রতিবছর দারিদ্র্য নিরসন হবে শূন্য দশমিক ৮৪ ভাগ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতির সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি ও দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. আবু তালেব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিলন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আতশবাজি ও ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের অফিসার্স ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের উদ্যোগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণিল আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলায় উপজেলা প্রশাসন জয়লাভ করেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিান প্রমুখ।
সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও বর্ণিল আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা অফিসার্স ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের সভাপতি রনি আলম নুর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসন কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন।
আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি। আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ আল মামুন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা, সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর জামাল হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক প্রমুখ।

দামুড়হুদা:
পদ্মা সেতুা উদ্বোধন উপলক্ষে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যেভগে আনন্দ মিছিল, আলোচনা সভা ও জনগণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল শনিবার দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
পরে দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যেগে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দীন বগা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মদ রিংকুসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে এদিন বিকেলে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী চলতি পথের মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।

দর্শনা:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু শুভ উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে দর্শনায় আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দর্শনা রেল বাজার পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হতে আনন্দ মিছিল বের হয়। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবুর নের্তৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। আনন্দ মিছিলে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ, এইচ, এম লুৎফুল কবির, দর্শনা কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দর্শনা পৌর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ, দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন নফর, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ হোসেন, আশাদুল হক, দর্শনা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির সর্দার, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহসভাপতি মামুন শাহ, সহ-সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্ট, হিরণ, আয়নাল হক, হবা জোয়ার্দ্দার, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল মল্লিক, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, মিল্লাত হোসেন, লোমান, প্রভাত আলম, আলামিন, অপু সরকার, রায়হান, প্রমুখ।
এদিকে, পদ্ম সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি টিভি সম্প্রচার দর্শনায় দেখানো হয়েছে। দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার শহিদুল ইসলাম তাঁর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপভোগ করেন। এছাড়া দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ দর্শনা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইক লাগিয়ে সম্প্রচার করে। শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগারের ছবি সম্বলিত তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পায়। এছাড়া দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয়সহ দর্শনার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি টিভি সম্প্রচার দেখনো হয়। দর্শনা শহর ছিল এক উৎসবমুখর পরিবেশে। সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরণের আনন্দ বিরাজমান ছিল। দেশের সকলের চাওয়া বিশে^ মাথা উঁচু করে থাকবে বাংলার সর্ববৃহত্তম স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

জীবননগর:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা একটায় জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমানের আয়োজনে উপজেলা পরিষদে এ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই দিনে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডের ৯ মেম্বার ও ৩ মহিলা মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতৃত্বে কয়েক সহস্রাধিক নারী পুরুষের সমন্বয়ে শাখারিয়া পিচ মোড় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে সীমান্ত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। পরে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার বক্তব্য দেন সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ. মালেক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

আন্দুলবাড়ীয়া:
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রাণকেন্দ্র দোয়েল চত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধুর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বরে এসে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আশরাফুজ্জামান টিপু, শেখ আতিয়ার রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাবেক প্রচার সম্পাদক মোল্লা আলতাফ হোসেন ফেলা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হক রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শেখ আসাউল ইসলাম গোলাপ, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি মেম্বার বাহা উদ্দীন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ আরোজ আহাম্মেদ বিল্লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল খান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম নাসিম উদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী।

উথলী:
বাঙালির জাতির সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার বিকেলে উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপের নেতৃত্বে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। উথলী বাজার ফুটবল মাঠ থেকে শুরু করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে উথলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এসে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে উথলী বাসস্ট্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান। উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক মানুষ এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

হাসাদাহ:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে হাসাদাহ বাজারে এ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ^াস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন জালাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম নান্নুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

মেহেরপুর:
সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন আর বাদ্যের তালে তালে এ শোভাযাত্রাটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। পরে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহানগর উদ্যানে স্বপ্নের সেতুর বর্ণিল উদ্বোধন দেখানো হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম রসুল, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল আলম সরদার, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা, (রাজস্ব) লিংকন বিশ্বাস, (শিক্ষা ও আইসিটি) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, মেহেরপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট সাহাদাত হোসেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদ হোসেন, টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ তালুকদার, জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সাঈদ।
এছাড়াও মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড বি এম কলেজ, মেহেরপুর দারুল উলুম আহমেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মেহেরপুর বিএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফুল হাফিজ খান দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে, বর্ণিল আতশবাজির আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল মেহেরপুরের গোটা শহর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গৌরবের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে আয়োজন করে বর্ণিল আতশবাজি। মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি ফোটানো হয়। আতশবাজি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা, (রাজস্ব) লিংকন বিশ্বাস, (শিক্ষা ও আইসিটি) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সাঈদ, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেকসহ বিপুল পরিমান দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এসময় শহরের হাজার হাজার মানুষ এক সাথে এই বর্ণিল আয়োজনে শরীক হন।

মুজিবনগর:
‘আমার টাকায় আমার সেতু বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’ স্লোগানে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ করেছে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে এ আনন্দ-উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে আনন্দ-উৎসবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন ও বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গনা মণ্ডল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, যুবনেতা হাসানুজ্জামান লাল্টু, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কালাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব, ইউপি সদস্য আবু নঈম ডালিম, সিবাস্তিয়ান মল্লিক ঝড়ুসহ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে যেন উৎসবের আমেজ। চারিদিকে সাজ সাজ রব। ব্যানার-ফেস্টুন আর চোখ ধাধানো আলোকসজ্জায় সেজেছে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যায় আতশবাজী ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবর। মানুষের মুখে মুখে পদ্মা সেতুর জয়গান। আর এভাবেই ঝিনাইদহে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঝিনাইদহে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার সকালে শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক কনক কান্তি দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। এছাড়াও দিনভর নানা অনুষ্ঠানমালা, আতশবাজি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গ্রাম থেমে আসেন শহিদুল। তিনি সঙ্গে এনেছেন তাঁর ছোট মেয়েকে। ব্যাপারীপাড়ার কমলা বেগন তাঁর ছোট নাতিকে নিয়ে আলোকসজ্জা দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মুখে অস্ফুট হাসি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি প্রতীকী পদ্মা সেতু দেখতে শহরের পায়রা চত্বরে যান। এভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঝিনাইদহ শহরে ছুটে আসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উৎসবে পরিণত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন

আপলোড টাইম : ০৮:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: শুধু পদ্মার দুই পাড়েই নয়, স্বপ্নপূরণের আনন্দে গতকাল শনিবার দিনভর ভেসেছে গোটা দেশ; উৎসবে মেতেছে ১৭ কোটি মানুষ। পদ্মা সেতুর বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দিতে না পারলেও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ নিজেদের মতো করে নানা উৎসবের আয়োজন করেছে। এ মাহেন্দ্রক্ষণের স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেছে নানাভাবে। মিছিল-শোভাযাত্রা, দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, মিষ্টিমুখ ও সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানে সরগরম হয়ে ওঠে সারাদেশ।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে আনন্দ-উৎসবের ঢেউ আছড়ে পড়ে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে রাজপথে। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আনন্দ উৎসবে যুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহবাসী। খেটে খাওয়া মানুষও যোগ দেন উৎসব আনন্দে। গভীর রাত পর্যন্ত উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। টাউন ফুটবল মাঠে পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ মঞ্চ ও প্যান্ডেল থেকে সরাসরি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোটি বাঙালির স্বপ্নের সেতু আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক, সম্মানের প্রতীক, গর্বের প্রতীক। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মতো আমরা একটা উপকরণ পেয়েছি। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা তা প্রমাণ করেছি এবং ২০২২ সালে আবার প্রমাণ করলাম আমরা বাঙালি জাতি আমাদেরকে দাবায়ে রাখা যাবে না। গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটা মেগা প্রকল্পের কাজ সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। যখন বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিলেন তখন জাতির ক্রান্তিলগ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা পারি এবং আমরা যা বলি তা করে দেখায়।


তিনি আরও বলেন, এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে জড়িত। এই সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে যুক্ত করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বড় পবির্তন আনবে। ১৮ কোটি মানুষের দেশ এই বাংলাদেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ এই বাংলাদেশ। বন্যা খড়া লেগেই আছে। এতোকিছুর পরও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু তৈরি করা বিশ্বের এক বিষ্ময়।

সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু ও দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচি:
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, আতশবাজী ও ফানুস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি সেতু নির্মাণ করতে যাওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ করেও ঘুষ ও দুর্নীতির মতো মিথ্যা অভিযোগে তা প্রত্যাহার করেছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। স্বপ্নের এই সেতুকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। সোনালি স্বপ্ন এখন কল্পনা নয়, সত্যিই দৃশ্যমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পেলাম পদ্মা সেতু।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রথম কোনো সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এমনিতেই কৃষিতে উন্নত। এই সেতু হয়ে গেলে তাদের কৃষিপণ্য খুব সহজেই ঢাকায় চলে আসবে। মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ও বন্দরনগর চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পুরো দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এক দশমিক দুই শতাংশ বেড়ে যাবে। আর প্রতিবছর দারিদ্র্য নিরসন হবে শূন্য দশমিক ৮৪ ভাগ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতির সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি ও দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. আবু তালেব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিলন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আতশবাজি ও ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের অফিসার্স ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের উদ্যোগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণিল আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলায় উপজেলা প্রশাসন জয়লাভ করেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিান প্রমুখ।
সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও বর্ণিল আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা অফিসার্স ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের সভাপতি রনি আলম নুর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসন কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন।
আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি। আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ আল মামুন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা, সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর জামাল হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক প্রমুখ।

দামুড়হুদা:
পদ্মা সেতুা উদ্বোধন উপলক্ষে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যেভগে আনন্দ মিছিল, আলোচনা সভা ও জনগণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল শনিবার দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
পরে দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যেগে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দীন বগা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মদ রিংকুসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে এদিন বিকেলে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী চলতি পথের মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।

দর্শনা:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু শুভ উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে দর্শনায় আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দর্শনা রেল বাজার পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হতে আনন্দ মিছিল বের হয়। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবুর নের্তৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। আনন্দ মিছিলে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ, এইচ, এম লুৎফুল কবির, দর্শনা কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দর্শনা পৌর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ, দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন নফর, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ হোসেন, আশাদুল হক, দর্শনা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির সর্দার, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহসভাপতি মামুন শাহ, সহ-সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্ট, হিরণ, আয়নাল হক, হবা জোয়ার্দ্দার, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল মল্লিক, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, মিল্লাত হোসেন, লোমান, প্রভাত আলম, আলামিন, অপু সরকার, রায়হান, প্রমুখ।
এদিকে, পদ্ম সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি টিভি সম্প্রচার দর্শনায় দেখানো হয়েছে। দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার শহিদুল ইসলাম তাঁর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপভোগ করেন। এছাড়া দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ দর্শনা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইক লাগিয়ে সম্প্রচার করে। শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগারের ছবি সম্বলিত তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পায়। এছাড়া দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয়সহ দর্শনার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি টিভি সম্প্রচার দেখনো হয়। দর্শনা শহর ছিল এক উৎসবমুখর পরিবেশে। সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরণের আনন্দ বিরাজমান ছিল। দেশের সকলের চাওয়া বিশে^ মাথা উঁচু করে থাকবে বাংলার সর্ববৃহত্তম স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

জীবননগর:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা একটায় জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমানের আয়োজনে উপজেলা পরিষদে এ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই দিনে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডের ৯ মেম্বার ও ৩ মহিলা মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতৃত্বে কয়েক সহস্রাধিক নারী পুরুষের সমন্বয়ে শাখারিয়া পিচ মোড় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে সীমান্ত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। পরে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার বক্তব্য দেন সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ. মালেক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

আন্দুলবাড়ীয়া:
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রাণকেন্দ্র দোয়েল চত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধুর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বরে এসে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আশরাফুজ্জামান টিপু, শেখ আতিয়ার রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাবেক প্রচার সম্পাদক মোল্লা আলতাফ হোসেন ফেলা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হক রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শেখ আসাউল ইসলাম গোলাপ, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি মেম্বার বাহা উদ্দীন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ আরোজ আহাম্মেদ বিল্লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল খান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম নাসিম উদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী।

উথলী:
বাঙালির জাতির সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার বিকেলে উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপের নেতৃত্বে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। উথলী বাজার ফুটবল মাঠ থেকে শুরু করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে উথলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এসে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে উথলী বাসস্ট্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান। উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক মানুষ এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

হাসাদাহ:
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে হাসাদাহ বাজারে এ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ^াস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন জালাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম নান্নুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

মেহেরপুর:
সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন আর বাদ্যের তালে তালে এ শোভাযাত্রাটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। পরে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহানগর উদ্যানে স্বপ্নের সেতুর বর্ণিল উদ্বোধন দেখানো হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম রসুল, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল আলম সরদার, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা, (রাজস্ব) লিংকন বিশ্বাস, (শিক্ষা ও আইসিটি) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, মেহেরপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট সাহাদাত হোসেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদ হোসেন, টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ তালুকদার, জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সাঈদ।
এছাড়াও মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড বি এম কলেজ, মেহেরপুর দারুল উলুম আহমেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মেহেরপুর বিএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফুল হাফিজ খান দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে, বর্ণিল আতশবাজির আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল মেহেরপুরের গোটা শহর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গৌরবের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে আয়োজন করে বর্ণিল আতশবাজি। মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি ফোটানো হয়। আতশবাজি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা, (রাজস্ব) লিংকন বিশ্বাস, (শিক্ষা ও আইসিটি) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সাঈদ, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেকসহ বিপুল পরিমান দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এসময় শহরের হাজার হাজার মানুষ এক সাথে এই বর্ণিল আয়োজনে শরীক হন।

মুজিবনগর:
‘আমার টাকায় আমার সেতু বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’ স্লোগানে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ করেছে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে এ আনন্দ-উৎসব ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে আনন্দ-উৎসবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন ও বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গনা মণ্ডল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, যুবনেতা হাসানুজ্জামান লাল্টু, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কালাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব, ইউপি সদস্য আবু নঈম ডালিম, সিবাস্তিয়ান মল্লিক ঝড়ুসহ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে যেন উৎসবের আমেজ। চারিদিকে সাজ সাজ রব। ব্যানার-ফেস্টুন আর চোখ ধাধানো আলোকসজ্জায় সেজেছে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যায় আতশবাজী ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবর। মানুষের মুখে মুখে পদ্মা সেতুর জয়গান। আর এভাবেই ঝিনাইদহে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঝিনাইদহে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার সকালে শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক কনক কান্তি দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। এছাড়াও দিনভর নানা অনুষ্ঠানমালা, আতশবাজি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গ্রাম থেমে আসেন শহিদুল। তিনি সঙ্গে এনেছেন তাঁর ছোট মেয়েকে। ব্যাপারীপাড়ার কমলা বেগন তাঁর ছোট নাতিকে নিয়ে আলোকসজ্জা দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মুখে অস্ফুট হাসি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি প্রতীকী পদ্মা সেতু দেখতে শহরের পায়রা চত্বরে যান। এভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঝিনাইদহ শহরে ছুটে আসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উৎসবে পরিণত হয়।