ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

নোট নিয়ে ভোট না দেয়ায় বিপাকে ভোটাররা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদের এক ভোট একাধিক প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে মহাবিপাকে পড়েছেন বেশকিছু ভোটার। খবর পাওয়া গেছে, নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় টাকা ফেরত পেতে এবার একজোট হয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা। সদ্য অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে পরাজিত তিন প্রার্থী একত্রিত হয়ে টার্গেটেড ভোটারদের নিকট থেকে টাকা উদ্ধারে জোটবদ্ধ হয়েছেন এমনটাই খবর।
এ ব্যাপারে সূত্রের খবরে জানা যায়, এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা নিয়েও তাদের ভোট দেয়নি বলে অনেকটাই নিশ্চিত পরাজিত একাধিক প্রার্থী। তাই তারা টাকা উদ্ধারে একাট্টা হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থীরা একসাথে বসে একেকজন ভোটারের নিকট ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন টাকা নিয়ে কেন তাকে ভোট দেয়নি। ওই ভোটার কসম কেটে বলছেন যে, সে তাকে প্রতিশ্রুতি মতো ভোট দিয়েছেন। তখনই ওই প্রার্থী সাথে থাকা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মোবাইলটা ধরিয়ে দিচ্ছেন। তখন অপর দুই পরাজিত প্রার্থী ওই ভোটারকে বলছেন, তুইতো ওনাকে ভোট দিয়েছিস, তাহলে আমার টাকা ফেরত দে।
এদিকে, নোট নিয়ে ভোট না দেওয়ায় ভোট পরবর্তী টাকা উদ্ধারের এই অভিনব কৌশল গতকাল ছিল টক অব দ্য টাউন। এছাড়াও এভাবে পরাজিত প্রার্থীদের একজোট হয়ে ভোট পরবর্তী নোট উদ্ধার জনমনে আলোড়ন তুলেছে।
এদিকে, ভোট বাণিজ্যের এ বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল। তাঁরা বলেন, প্রত্যেকটি স্থানীয় সরকার পরিষদ ওই নির্দিষ্ট স্থানে শাসনকার্য পরিচালনা করার কথা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো যখন এভাবে ধ্বংস হয়, তখন আর এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না, বিশ্বাসযোগ্যতাও থাকে না। এমনকি জনকল্যাণে তারা কোনো ভূমিকা রাখবে- সেটা আশা করা যায় না। এটাতে পরিবর্তন না এনে আমরা নির্বাচনী বাণিজ্য করার সুযোগ তৈরি করে দিলাম। প্রার্থীর যোগ্যতা, ইমেজ, শিক্ষা-দীক্ষা, সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে কতোটুকু সক্ষম, এসব কিছুর মূল্যায়ন না করে টাকার অঙ্ক বিচারে রায় দিয়েছেন ভোটাররা। বিশেষ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নীতি-নৈতিকতার ধার না ধেরে যতজন প্রার্থী ততজনের কাছ থেকেই চুক্তি করে টাকা নিয়েছেন। এমনকি কসম খেয়ে টাকা নিয়েও ভোট দেননি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরাজুল ইসলাম কাবা উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩০ ভোট পান। এছাড়াও এই ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান (তালা প্রতিক) ১৫, মাফলুকাতুর রহমান (হাতি প্রতিক) ২৪ ও আব্দুর রউফ (টিউবওয়েল) ৩ ভোট পান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নোট নিয়ে ভোট না দেয়ায় বিপাকে ভোটাররা

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদের এক ভোট একাধিক প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে মহাবিপাকে পড়েছেন বেশকিছু ভোটার। খবর পাওয়া গেছে, নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় টাকা ফেরত পেতে এবার একজোট হয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা। সদ্য অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে পরাজিত তিন প্রার্থী একত্রিত হয়ে টার্গেটেড ভোটারদের নিকট থেকে টাকা উদ্ধারে জোটবদ্ধ হয়েছেন এমনটাই খবর।
এ ব্যাপারে সূত্রের খবরে জানা যায়, এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা নিয়েও তাদের ভোট দেয়নি বলে অনেকটাই নিশ্চিত পরাজিত একাধিক প্রার্থী। তাই তারা টাকা উদ্ধারে একাট্টা হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থীরা একসাথে বসে একেকজন ভোটারের নিকট ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন টাকা নিয়ে কেন তাকে ভোট দেয়নি। ওই ভোটার কসম কেটে বলছেন যে, সে তাকে প্রতিশ্রুতি মতো ভোট দিয়েছেন। তখনই ওই প্রার্থী সাথে থাকা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মোবাইলটা ধরিয়ে দিচ্ছেন। তখন অপর দুই পরাজিত প্রার্থী ওই ভোটারকে বলছেন, তুইতো ওনাকে ভোট দিয়েছিস, তাহলে আমার টাকা ফেরত দে।
এদিকে, নোট নিয়ে ভোট না দেওয়ায় ভোট পরবর্তী টাকা উদ্ধারের এই অভিনব কৌশল গতকাল ছিল টক অব দ্য টাউন। এছাড়াও এভাবে পরাজিত প্রার্থীদের একজোট হয়ে ভোট পরবর্তী নোট উদ্ধার জনমনে আলোড়ন তুলেছে।
এদিকে, ভোট বাণিজ্যের এ বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল। তাঁরা বলেন, প্রত্যেকটি স্থানীয় সরকার পরিষদ ওই নির্দিষ্ট স্থানে শাসনকার্য পরিচালনা করার কথা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো যখন এভাবে ধ্বংস হয়, তখন আর এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না, বিশ্বাসযোগ্যতাও থাকে না। এমনকি জনকল্যাণে তারা কোনো ভূমিকা রাখবে- সেটা আশা করা যায় না। এটাতে পরিবর্তন না এনে আমরা নির্বাচনী বাণিজ্য করার সুযোগ তৈরি করে দিলাম। প্রার্থীর যোগ্যতা, ইমেজ, শিক্ষা-দীক্ষা, সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে কতোটুকু সক্ষম, এসব কিছুর মূল্যায়ন না করে টাকার অঙ্ক বিচারে রায় দিয়েছেন ভোটাররা। বিশেষ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নীতি-নৈতিকতার ধার না ধেরে যতজন প্রার্থী ততজনের কাছ থেকেই চুক্তি করে টাকা নিয়েছেন। এমনকি কসম খেয়ে টাকা নিয়েও ভোট দেননি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরাজুল ইসলাম কাবা উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩০ ভোট পান। এছাড়াও এই ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান (তালা প্রতিক) ১৫, মাফলুকাতুর রহমান (হাতি প্রতিক) ২৪ ও আব্দুর রউফ (টিউবওয়েল) ৩ ভোট পান।