ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নেই মাস্ক, ভোটকেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে চোখে পড়েনি ভোটারদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। হাতে গোনা দু-একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও সিংহভাগ ভোটাররা মাস্ক ছাড়ায় ভোটকেন্দ্রে গেছেন। দেশব্যাপী করোনা মহামারি এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেন সে দৃশ্য ভুলতে বসেছে। করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে সম্পূর্ণরুপে স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করেই সম্পন্ন হয়েছে সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক ভোটের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে ভোট কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রাশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি, ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো নির্দেশনাও। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল নারী-পুরুষ ভোটাররা।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ‘অনেক দিন পর ভোট হচ্ছে। এখন করোনা চলে গেছে, তাই মানুষের ভিড়ের মধ্যে থাকলেও সমস্য নেই। তাই মাস্ক ছাড়ায় ভোট দিতে এসেছি। এখন আর মাস্ক লাগে না।’

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলুকদিয়া ইউনিয়নের পিতম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই দীর্ঘ নারী ভোটারদের লাইনে একজনের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দের সামনে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে ছিল একে অপরের মধ্যে কোনোরুপ সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই। তবে হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে দু-একজনকে মাস্ক পরতে দেখাও যায়।’

মারুফ হাসান নামে আরেক ভোটার জানান, ‘তাঁদের গ্রামে করোনা নেই। ভোট তো আর বারবার আসবে না। তাড়াহুড়ো করে ভোট দিতে এসছেন তিনি, তাই মাস্ক পড়তে ভুলে গেছেন। বাড়িতে তাঁর বেশ কয়েকটি মাস্ক আছে। বাড়িতে গেলে তিনি মাস্ক পড়বেন।’

কার্পাসডাঙ্গা  ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ. করিম, সংরক্ষিত নারী আসনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনেহার খাতুন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে দেলোয়ারা খাতুন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুমাইয়া খাতুন, সাধারণ আসনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুল ইসলাম মণ্টু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আ. রাজ্জাক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাবুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আ. ছালাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ ভগু ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাজিবার রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নেই মাস্ক, ভোটকেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে চোখে পড়েনি ভোটারদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। হাতে গোনা দু-একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও সিংহভাগ ভোটাররা মাস্ক ছাড়ায় ভোটকেন্দ্রে গেছেন। দেশব্যাপী করোনা মহামারি এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেন সে দৃশ্য ভুলতে বসেছে। করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে সম্পূর্ণরুপে স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করেই সম্পন্ন হয়েছে সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক ভোটের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে ভোট কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রাশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি, ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো নির্দেশনাও। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল নারী-পুরুষ ভোটাররা।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ‘অনেক দিন পর ভোট হচ্ছে। এখন করোনা চলে গেছে, তাই মানুষের ভিড়ের মধ্যে থাকলেও সমস্য নেই। তাই মাস্ক ছাড়ায় ভোট দিতে এসেছি। এখন আর মাস্ক লাগে না।’

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলুকদিয়া ইউনিয়নের পিতম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই দীর্ঘ নারী ভোটারদের লাইনে একজনের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দের সামনে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে ছিল একে অপরের মধ্যে কোনোরুপ সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই। তবে হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে দু-একজনকে মাস্ক পরতে দেখাও যায়।’

মারুফ হাসান নামে আরেক ভোটার জানান, ‘তাঁদের গ্রামে করোনা নেই। ভোট তো আর বারবার আসবে না। তাড়াহুড়ো করে ভোট দিতে এসছেন তিনি, তাই মাস্ক পড়তে ভুলে গেছেন। বাড়িতে তাঁর বেশ কয়েকটি মাস্ক আছে। বাড়িতে গেলে তিনি মাস্ক পড়বেন।’

কার্পাসডাঙ্গা  ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ. করিম, সংরক্ষিত নারী আসনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনেহার খাতুন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে দেলোয়ারা খাতুন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুমাইয়া খাতুন, সাধারণ আসনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুল ইসলাম মণ্টু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আ. রাজ্জাক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাবুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আ. ছালাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ ভগু ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাজিবার রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।