ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচনে জিতে যা বললেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু নির্বাচনে জয়ী হয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জিতে সত্যিই আবেগে আপ্লুত। আর আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবো, যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই সব জনপ্রতিধি ভোটারদের। এছাড়া যারা আমাকে বিজয়ী করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে গেছেন, তাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা রইল। এই বিজয়টা আমাদের নয়, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনর বিজয়। কারণ তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদের প্রার্থী বাছাইয়ে যারা মনোনয়ন বোর্ডে ছিলেন, আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘এই বিজয় আমার চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর। কারণ আমি এই জেলার সন্তান। আমি এই জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করছি এবং যতদিন বাঁচব করে যাব। এই বিজয় অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়। এই বিজয় সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোয়ন দেওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ করেছেন। এছাড়া দলের বাইরেও অনেকে ভালোবেসে আমাকে জেতাতে আমার কাছে এসেছেন এবং নির্বাচনে কাজ করেছেন। যার কারণে আমাদের দারুণ একটা টিম ওয়ার্ক হয়েছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হয়েছি। আমাদের এই ঐক্যবদ্ধতা আগামীতে আরও দৃঢ় হবে। আজকে যারা আমার এবং আমাদের বিরোধিতা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দলের বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিশ্চয় সুবুদ্ধির উদয় হবে। আগামীতে তারা আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের স্বার্থে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে আমার কাছে যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এই নির্বাচনের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন চাওয়া হয়, আমি নিশ্চয় সেই প্রতিবেদন পাঠাবো। আর সেই প্রতিবেদন এই নির্বাচনে যা যা হয়েছে এবং ঘটেছে, সবকিছু আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করব। কোনো ছাড় দেব না, কারণ একটা পক্ষ সুস্পষ্টভাবে দলের ঐক্য ভঙ্গ করেছে। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারপরও সর্বোপরি আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভোটাররা। আমি সেই সব ভোটারদের প্রতি মন থেকে কৃতজ্ঞ।’

মাহফুজুর রহমান মনজু আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ সাহেব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আমার স্নেহের জিপু চৌধুরী, যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, কৃষক লীগের গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, আমাদের অ্যাডভোকেট শফিসহ বেশ কিছু মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কারণ তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে একটা অপশক্তি হটিয়ে আমার জয় ছিনিয়ে এনেছে। বিশেষ করে এমপি টগর, জিপু ও নঈমের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এছাড়া সম্প্রতিকালে আপনারা জানেন যে, কেন্দ্রের থেকে আমাদের দুজন নেতা এসেছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি বাহাউদ্দীন নাসিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মল হক। এই দুজন ব্যক্তির ওপর আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আজকের বিজয় এবং আজকে আামাদের নির্বাচনের এই ফলাফল বা পরিস্থিতিকে তাঁরা অনেকখানি এগিয়ে দিয়ে গেছেন। তাদের পক্ষে যা যা করা দরকার, তারা তা করেছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করে শক্তি ও সাহস জুগিয়ে গেছেন। সে জন্য আমি তাদেরকে আবারো ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছি। তাই এই জেলা পরিষদ সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ধারণা আছে। আমি জেলা পরিষদে চেয়ারে বসেই এ জেলার জনগণের উন্নয়নে কাজ করব। আমাদের গ্রামীণ রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ছোটো-খাটো সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াব। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে ভাববো। আপনারা জানেন, অতীতেও আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি। মানুষের পাশে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। চুয়াডাঙ্গার মানুষ জানত না জেলা পরিষদের কী কাজ। আমি প্রশাসক থাকাকালে সেটা এই জেলার মানুষকে চিনিয়েছি এবং সার্বিক কাজ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। এবার আবার এই পরিষদে বসার সুযোগ পেলাম। আমি আবারও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদকে উন্নয়নের প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব। গতবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমি সেবার পরাজিত হয়েছিলাম। এবারে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। নিজেদের সংশোধন করেছি। এই ঐক্যবদ্ধতা আগামী আরও সুদৃঢ় হবে।’

মাহফুজুর রহমান মনজু আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে কিছু মানুষ আছে, যারা আমাদের দলের ভেতরে ঢুকে দলটাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এখনো করছে। আমি আশা করি, তারা তাদের এই চিন্তা থেকে এবার সরে যাবে। দল যদি করতে হয়, তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানতে হবে। শুধু জেলা পরিষদের নির্বাচন নয়, সব ক্ষেত্রেই এটা মেনে নিয়ে চলতে হবে। এর বাইরে যারা যাবে, আমি মনে করি তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তারা কখনও নৌকার মানুষও হতে পারে না। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হতে পারে না।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলব রঞ্জু আওয়ামী ঘরোনার মানুষ। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সাবেক নেতা। যেহেতু সে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল, তাই আমি বলব সে বিদ্রোহী প্রার্থী। কারণ সে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানেনি। যাহোক তারপর এই নির্বাচনের মধ্যে তার সাথে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমি তার সাথে হ্যান্ডশেক করেছি, বিভিন্ন কথাবার্তা হয়েছে। তবে যেহেতু সে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে, তাই আমি তার কাছে কখনোই যাব না। আর আমার যাওয়ার প্রয়োজনও পড়বে বলে মনে হয় না। তবে সে যদি আমার দলের না হয়ে অন্য দলের হতো, তাহলে আমি তার কাছে যেতাম। নির্বাচন পরবর্তী সান্তনা দিতাম।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নির্বাচনে জিতে যা বললেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজু

আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু নির্বাচনে জয়ী হয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জিতে সত্যিই আবেগে আপ্লুত। আর আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবো, যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই সব জনপ্রতিধি ভোটারদের। এছাড়া যারা আমাকে বিজয়ী করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে গেছেন, তাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা রইল। এই বিজয়টা আমাদের নয়, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনর বিজয়। কারণ তিনি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদের প্রার্থী বাছাইয়ে যারা মনোনয়ন বোর্ডে ছিলেন, আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘এই বিজয় আমার চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর। কারণ আমি এই জেলার সন্তান। আমি এই জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করছি এবং যতদিন বাঁচব করে যাব। এই বিজয় অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়। এই বিজয় সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোয়ন দেওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ করেছেন। এছাড়া দলের বাইরেও অনেকে ভালোবেসে আমাকে জেতাতে আমার কাছে এসেছেন এবং নির্বাচনে কাজ করেছেন। যার কারণে আমাদের দারুণ একটা টিম ওয়ার্ক হয়েছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হয়েছি। আমাদের এই ঐক্যবদ্ধতা আগামীতে আরও দৃঢ় হবে। আজকে যারা আমার এবং আমাদের বিরোধিতা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দলের বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিশ্চয় সুবুদ্ধির উদয় হবে। আগামীতে তারা আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের স্বার্থে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে আমার কাছে যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এই নির্বাচনের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন চাওয়া হয়, আমি নিশ্চয় সেই প্রতিবেদন পাঠাবো। আর সেই প্রতিবেদন এই নির্বাচনে যা যা হয়েছে এবং ঘটেছে, সবকিছু আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করব। কোনো ছাড় দেব না, কারণ একটা পক্ষ সুস্পষ্টভাবে দলের ঐক্য ভঙ্গ করেছে। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারপরও সর্বোপরি আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভোটাররা। আমি সেই সব ভোটারদের প্রতি মন থেকে কৃতজ্ঞ।’

মাহফুজুর রহমান মনজু আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ সাহেব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আমার স্নেহের জিপু চৌধুরী, যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, কৃষক লীগের গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, আমাদের অ্যাডভোকেট শফিসহ বেশ কিছু মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কারণ তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে একটা অপশক্তি হটিয়ে আমার জয় ছিনিয়ে এনেছে। বিশেষ করে এমপি টগর, জিপু ও নঈমের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এছাড়া সম্প্রতিকালে আপনারা জানেন যে, কেন্দ্রের থেকে আমাদের দুজন নেতা এসেছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি বাহাউদ্দীন নাসিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মল হক। এই দুজন ব্যক্তির ওপর আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আজকের বিজয় এবং আজকে আামাদের নির্বাচনের এই ফলাফল বা পরিস্থিতিকে তাঁরা অনেকখানি এগিয়ে দিয়ে গেছেন। তাদের পক্ষে যা যা করা দরকার, তারা তা করেছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করে শক্তি ও সাহস জুগিয়ে গেছেন। সে জন্য আমি তাদেরকে আবারো ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছি। তাই এই জেলা পরিষদ সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ধারণা আছে। আমি জেলা পরিষদে চেয়ারে বসেই এ জেলার জনগণের উন্নয়নে কাজ করব। আমাদের গ্রামীণ রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ছোটো-খাটো সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াব। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে ভাববো। আপনারা জানেন, অতীতেও আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি। মানুষের পাশে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। চুয়াডাঙ্গার মানুষ জানত না জেলা পরিষদের কী কাজ। আমি প্রশাসক থাকাকালে সেটা এই জেলার মানুষকে চিনিয়েছি এবং সার্বিক কাজ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। এবার আবার এই পরিষদে বসার সুযোগ পেলাম। আমি আবারও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদকে উন্নয়নের প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব। গতবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমি সেবার পরাজিত হয়েছিলাম। এবারে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। নিজেদের সংশোধন করেছি। এই ঐক্যবদ্ধতা আগামী আরও সুদৃঢ় হবে।’

মাহফুজুর রহমান মনজু আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে কিছু মানুষ আছে, যারা আমাদের দলের ভেতরে ঢুকে দলটাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এখনো করছে। আমি আশা করি, তারা তাদের এই চিন্তা থেকে এবার সরে যাবে। দল যদি করতে হয়, তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানতে হবে। শুধু জেলা পরিষদের নির্বাচন নয়, সব ক্ষেত্রেই এটা মেনে নিয়ে চলতে হবে। এর বাইরে যারা যাবে, আমি মনে করি তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তারা কখনও নৌকার মানুষও হতে পারে না। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হতে পারে না।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলব রঞ্জু আওয়ামী ঘরোনার মানুষ। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সাবেক নেতা। যেহেতু সে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল, তাই আমি বলব সে বিদ্রোহী প্রার্থী। কারণ সে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানেনি। যাহোক তারপর এই নির্বাচনের মধ্যে তার সাথে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমি তার সাথে হ্যান্ডশেক করেছি, বিভিন্ন কথাবার্তা হয়েছে। তবে যেহেতু সে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে, তাই আমি তার কাছে কখনোই যাব না। আর আমার যাওয়ার প্রয়োজনও পড়বে বলে মনে হয় না। তবে সে যদি আমার দলের না হয়ে অন্য দলের হতো, তাহলে আমি তার কাছে যেতাম। নির্বাচন পরবর্তী সান্তনা দিতাম।’