ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচনী সহিংসতায় ১৬ দিনে ৬ খুন, গ্রেপ্তার মাত্র ২০ জন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা যেন আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১৬ দিনে খুন হয়েছেন ৬ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে নাজেহাল হয়ে অনেকেই নিজ বাড়িঘর ছেড়েছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের অসহযোগিতা ও দূরদর্শীতার অভাবকেই দুষছেন নিহতের স্বজনরা। দ্রুত সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আর আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর। সচেতন মহল বলছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এ সহিংসতা ঘটছে। এসব রোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আর পুলিশ বিভাগের নিরপেক্ষতা।’

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা উপজেলায় ১৬ দিনে প্রাণ গেছে ৬ জনের। খুনের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ আটক করেছে মাত্র ২০ জন আসামিকে। ১৬ দিনে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৬ জন হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে স্বপন শেখ, কৃত্তিনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাস, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে জসিম হোসেন, বারইহুদা  গ্রামের  কল্লোল খন্দকার, কাতলাগাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম ও অখিল বিশ্বাস।

ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সায়েদুল আলম বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতার মাধ্যমে পুলিশের নিরপেক্ষ কঠোর হস্তক্ষেপেই সম্ভব এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। তা না হলে এ সংঘাত আরও অনেক প্রাণ কেড়ে নেবে।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সহিংসতা এড়াতে শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ কাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নির্বাচনী সহিংসতায় ১৬ দিনে ৬ খুন, গ্রেপ্তার মাত্র ২০ জন

আপলোড টাইম : ১০:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা যেন আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১৬ দিনে খুন হয়েছেন ৬ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে নাজেহাল হয়ে অনেকেই নিজ বাড়িঘর ছেড়েছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের অসহযোগিতা ও দূরদর্শীতার অভাবকেই দুষছেন নিহতের স্বজনরা। দ্রুত সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আর আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর। সচেতন মহল বলছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এ সহিংসতা ঘটছে। এসব রোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আর পুলিশ বিভাগের নিরপেক্ষতা।’

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা উপজেলায় ১৬ দিনে প্রাণ গেছে ৬ জনের। খুনের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ আটক করেছে মাত্র ২০ জন আসামিকে। ১৬ দিনে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৬ জন হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে স্বপন শেখ, কৃত্তিনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাস, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে জসিম হোসেন, বারইহুদা  গ্রামের  কল্লোল খন্দকার, কাতলাগাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম ও অখিল বিশ্বাস।

ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সায়েদুল আলম বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতার মাধ্যমে পুলিশের নিরপেক্ষ কঠোর হস্তক্ষেপেই সম্ভব এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। তা না হলে এ সংঘাত আরও অনেক প্রাণ কেড়ে নেবে।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সহিংসতা এড়াতে শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ কাজ করছে।