ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার এ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গন ও সামনের সড়কের আশপাশ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এ দেশে এখানে খুন, হত্যা, গুম, দাম বৃদ্ধি ও নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। এ দেশে কেবল মানুষের মূল্যই কমেছে; বাকি সবকিছুর দাম বেড়েছে। কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ১০ টাকায় চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও জনগণ ৭০ টাকায় চাল কিনে খাচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনে ভাড়া বেড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তারাও আজ দিশাহারা।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের পরিচালনা ও সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর জব্বার ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠণিক সম্পাদক গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, খাজা আবুল হাসনাত, রউফুন নাহার রীনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আব্দুর জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান খোকন, শাহজাহান কবির, আবু বকর সিদ্দীক আবু, মোকারম হোসেন, আজিজুর রহমান পিণ্টু, হাবিবুর রহমান বুলেট ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু অনুষ্ঠানের শুরু দিকে কিছু সময় সঞ্চালনা করেন ও পরে বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাবু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজীব খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক বকুল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, মাহাতুব উদ্দীন চুন্নু, রাফিতুল্লা মহলদার, মো. শাহাজাহান, আবুল কালাম আজাদ উথলী, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, আমিনুল হক রোকন, সালমা জাহান পারুল, আবুল হোসেন তোহা, নূরনবী সামদানী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভিন, যুগ্ম সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেফালি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন পারভিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু করোনাভাইরাসের কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে পারেননি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ সবাইকে এ তথ্য জানিয়ে বাবু খানের সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

মেহেরপুর:

চাল, ডাল, তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বৃদ্ধির প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণমানুষের দল। বাংলাদেশ যখন করোনায় আক্রান্ত তখনও কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। কিন্তু সরকার দলের নেতৃবৃন্দ তারা শুধু অর্থ লুট করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, গত দুই বছরে সরকার দলীয়রা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে এ দেশের জনগণ আজ নিপিড়ীত। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে। আমরা অজান্তেই নাকি বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। শুভঙ্করের ফাঁকি মানুষ এখন বোঝে। আজ দেশে শুধু লুট, লুট আর হরিলুট চলছে। এই করোনাকালীন সময়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করছেন, কোথায় সেই টাকা। আপনারা ভুলে যাবেন না। কোনো টাকার হিসাব না দিয়ে বর্ডার পর্যন্ত পার হতে পারবেন না। হিসাব আপনাদের দিতেই হবে। ভুলে গিয়েছেন হলমার্ক কেলেঙ্ককারীর চার হাজার কোট টাকার কথা। পদ্মা সেতু যে টাকায় তৈরি করার কথা ছিল, তার তিন গুন বেশি টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। যার ঋণ আমাদের ২০৫৭ সাল পর্যন্ত বহন করতে হবে। তাহলে কী চলছে এ দেশে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহসভাপতি আলমগীর খান ছাতু, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ফয়েজ মোহাম্মদ।

মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবাদুর রউফ, ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক রাজন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানিসহ মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা

ঝিনাইদহ:

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কিমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, দেশে-বিদেশে ভোট চোর হিসেবে পরিচিত এই সরকার গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করেছে। প্রতিবাদ করলেই খুন-গুম করেছে। ৫ হাজারেরও বেশি দেশপ্রেমিক জনগণকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে কুশিলবদের ষড়যন্ত্রে চোলাগলি পথ দিয়ে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা বিডিআরের ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করেছে। বন্দরগুলোতে প্রভূদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর সাংবাদিকরা এসব কথা যাতে লিখতে না পারে, সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে। সাগর-রুণির মতো দেশপ্রেমিক কৃতী সাংবাদিকদের হত্যা করে বিচারিক প্রক্রিয়া অচল করে রাখা হয়েছে।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। চাল, ডাল, তেল ও গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জনতার মুর্হুমুহু করতালির মধ্যদিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, সরকার এখন ভাতে মারার জন্য একের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করে। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দয়া-মায়া নেই, তারা ফ্যাসিস্ট। দেশের মানুষ আজ তেল, চিনি, চাল, ডাল কিনতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আর সরকার ব্যস্ত মেগা প্রকল্প নিয়ে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট করা যায়। জনগণ ও রাষ্ট্রের টাকা পাচার করা যায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের জনগণ যদি নাই বাঁচে, তবে পদ্মা সেতু আর মেট্রো রেল দিয়ে কী হবে? মানুষবিহীন এই দেশে কারা চড়বে এই রেলে?

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অ্যাড এম এ মজিদের পরিচালানায় সমাবেশে অন্যর মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, শাহানা রহমান রানী, জাহিদুজ্জামান মনা, অ্যাড. মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন আলম, সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল, আব্দুর রাজ্জাক, জিন্নাতুল হক, তহুরা খাতুন, কামরুন্নাহার লিজি, আব্দুল হামিদ, আহসান হাবিব রণক, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, পলি খাতুন, নার্গিস সুলতানা দিবা, সৌমেনুজ্জামান সোমেন, মুশফিকুর রহমান মানিকসহ ৬ উপজেলার বিএনপি, শ্রমিক দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন মোটা চাল ৪৮ টাকার উপরে। অথচ বিএনপির সময় মোটা চাল ছিল মাত্র ১৬ টাকা কেজি। তিনি বলেন, জনগণকে বাঁচানোর কোনো মাথা ব্যথা নেই হাসিনা সরকারের। তারা জানে জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়নি। রাতের বেলা প্রশাসনের লোকজন ভোট কেটে তাদের পাশ করিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে তার দলের লোকজন গণতন্ত্রের মানষকন্যা হিসেবে ডাকে। কিন্তু দেশের কোথায় আজ গণতন্ত্র বিদ্যমান তা আওয়ামী লীগ প্রমাণ করুন। অমিত বলেন, তাদের ম্লোগানের ‘সোনার বাংলা’ আজ শশ্মানে পরিণত হচ্ছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে প্রতিদিন মানুষ ফকির হচ্ছেন।

অমিত বলেন, শেখ মুজিবের ডাকে নয় বরং শহিদ জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এই জন্য আওয়ামী লীগে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। নেই বীরপ্রতিক, বীরবিক্রম ও বীরশ্রেষ্ঠ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য আওয়ামী লীগের ল্যাবরোটরিতে শতভাগ পরীক্ষিত আমলাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সিইসি বিতর্কিত ও আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত। অথচ এমন একজন ব্যক্তিকে সিইসি বানিয়ে জনগণের দাবির সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ফেরেস্তা দিয়ে নির্বাচন করালেও তা সুষ্ঠ হবে না বলে বিএনপির এই তরুণ নেতা মনে করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:

তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার এ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গন ও সামনের সড়কের আশপাশ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এ দেশে এখানে খুন, হত্যা, গুম, দাম বৃদ্ধি ও নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। এ দেশে কেবল মানুষের মূল্যই কমেছে; বাকি সবকিছুর দাম বেড়েছে। কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ১০ টাকায় চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও জনগণ ৭০ টাকায় চাল কিনে খাচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনে ভাড়া বেড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তারাও আজ দিশাহারা।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের পরিচালনা ও সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর জব্বার ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠণিক সম্পাদক গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, খাজা আবুল হাসনাত, রউফুন নাহার রীনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আব্দুর জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান খোকন, শাহজাহান কবির, আবু বকর সিদ্দীক আবু, মোকারম হোসেন, আজিজুর রহমান পিণ্টু, হাবিবুর রহমান বুলেট ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু অনুষ্ঠানের শুরু দিকে কিছু সময় সঞ্চালনা করেন ও পরে বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাবু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজীব খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক বকুল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, মাহাতুব উদ্দীন চুন্নু, রাফিতুল্লা মহলদার, মো. শাহাজাহান, আবুল কালাম আজাদ উথলী, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, আমিনুল হক রোকন, সালমা জাহান পারুল, আবুল হোসেন তোহা, নূরনবী সামদানী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভিন, যুগ্ম সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেফালি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন পারভিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু করোনাভাইরাসের কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে পারেননি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ সবাইকে এ তথ্য জানিয়ে বাবু খানের সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

মেহেরপুর:

চাল, ডাল, তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বৃদ্ধির প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণমানুষের দল। বাংলাদেশ যখন করোনায় আক্রান্ত তখনও কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। কিন্তু সরকার দলের নেতৃবৃন্দ তারা শুধু অর্থ লুট করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, গত দুই বছরে সরকার দলীয়রা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে এ দেশের জনগণ আজ নিপিড়ীত। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে। আমরা অজান্তেই নাকি বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। শুভঙ্করের ফাঁকি মানুষ এখন বোঝে। আজ দেশে শুধু লুট, লুট আর হরিলুট চলছে। এই করোনাকালীন সময়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করছেন, কোথায় সেই টাকা। আপনারা ভুলে যাবেন না। কোনো টাকার হিসাব না দিয়ে বর্ডার পর্যন্ত পার হতে পারবেন না। হিসাব আপনাদের দিতেই হবে। ভুলে গিয়েছেন হলমার্ক কেলেঙ্ককারীর চার হাজার কোট টাকার কথা। পদ্মা সেতু যে টাকায় তৈরি করার কথা ছিল, তার তিন গুন বেশি টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। যার ঋণ আমাদের ২০৫৭ সাল পর্যন্ত বহন করতে হবে। তাহলে কী চলছে এ দেশে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহসভাপতি আলমগীর খান ছাতু, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ফয়েজ মোহাম্মদ।

মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবাদুর রউফ, ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক রাজন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানিসহ মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা

ঝিনাইদহ:

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কিমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, দেশে-বিদেশে ভোট চোর হিসেবে পরিচিত এই সরকার গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করেছে। প্রতিবাদ করলেই খুন-গুম করেছে। ৫ হাজারেরও বেশি দেশপ্রেমিক জনগণকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে কুশিলবদের ষড়যন্ত্রে চোলাগলি পথ দিয়ে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা বিডিআরের ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করেছে। বন্দরগুলোতে প্রভূদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর সাংবাদিকরা এসব কথা যাতে লিখতে না পারে, সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে। সাগর-রুণির মতো দেশপ্রেমিক কৃতী সাংবাদিকদের হত্যা করে বিচারিক প্রক্রিয়া অচল করে রাখা হয়েছে।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। চাল, ডাল, তেল ও গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জনতার মুর্হুমুহু করতালির মধ্যদিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, সরকার এখন ভাতে মারার জন্য একের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করে। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দয়া-মায়া নেই, তারা ফ্যাসিস্ট। দেশের মানুষ আজ তেল, চিনি, চাল, ডাল কিনতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আর সরকার ব্যস্ত মেগা প্রকল্প নিয়ে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট করা যায়। জনগণ ও রাষ্ট্রের টাকা পাচার করা যায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের জনগণ যদি নাই বাঁচে, তবে পদ্মা সেতু আর মেট্রো রেল দিয়ে কী হবে? মানুষবিহীন এই দেশে কারা চড়বে এই রেলে?

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অ্যাড এম এ মজিদের পরিচালানায় সমাবেশে অন্যর মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, শাহানা রহমান রানী, জাহিদুজ্জামান মনা, অ্যাড. মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন আলম, সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল, আব্দুর রাজ্জাক, জিন্নাতুল হক, তহুরা খাতুন, কামরুন্নাহার লিজি, আব্দুল হামিদ, আহসান হাবিব রণক, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, পলি খাতুন, নার্গিস সুলতানা দিবা, সৌমেনুজ্জামান সোমেন, মুশফিকুর রহমান মানিকসহ ৬ উপজেলার বিএনপি, শ্রমিক দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন মোটা চাল ৪৮ টাকার উপরে। অথচ বিএনপির সময় মোটা চাল ছিল মাত্র ১৬ টাকা কেজি। তিনি বলেন, জনগণকে বাঁচানোর কোনো মাথা ব্যথা নেই হাসিনা সরকারের। তারা জানে জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়নি। রাতের বেলা প্রশাসনের লোকজন ভোট কেটে তাদের পাশ করিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে তার দলের লোকজন গণতন্ত্রের মানষকন্যা হিসেবে ডাকে। কিন্তু দেশের কোথায় আজ গণতন্ত্র বিদ্যমান তা আওয়ামী লীগ প্রমাণ করুন। অমিত বলেন, তাদের ম্লোগানের ‘সোনার বাংলা’ আজ শশ্মানে পরিণত হচ্ছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে প্রতিদিন মানুষ ফকির হচ্ছেন।

অমিত বলেন, শেখ মুজিবের ডাকে নয় বরং শহিদ জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এই জন্য আওয়ামী লীগে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। নেই বীরপ্রতিক, বীরবিক্রম ও বীরশ্রেষ্ঠ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য আওয়ামী লীগের ল্যাবরোটরিতে শতভাগ পরীক্ষিত আমলাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সিইসি বিতর্কিত ও আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত। অথচ এমন একজন ব্যক্তিকে সিইসি বানিয়ে জনগণের দাবির সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ফেরেস্তা দিয়ে নির্বাচন করালেও তা সুষ্ঠ হবে না বলে বিএনপির এই তরুণ নেতা মনে করেন।