ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নদী খননের ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ভৈরব নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুলপুর গ্রাম থেকে পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ থেকে অবৈধভাবে ভেকু বা বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সময়ের খরস্রোতা নদটি বর্তমানে খালে পরিণত হয়। নদটি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পুন:খনন কাজ চলছে। খননের সময় সুযোগ বুঝে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহা বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদার সীমানায় ২৮ কিলোমিটার ভৈরব নদ রয়েছে। এরমধ্যে সুবলপুর থেকে কানাইডাঙ্গা পর্যন্ত ১১কিলোমিটার নদ খননের কাজ পায় ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহা। আইনগতভাবে ভূ-গর্ভস্ত বা নদীর তলদেশ থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলেও আইনের তোয়াক্কা নাকরেই খননের একপর্যায়ে কার্পাসডাঙ্গার কোমরপুর ঈদগার দক্ষিণ পাশে, কোমরপুর শানকি ঘাট, জোড়াতলা গালা, কার্পাসডাঙ্গা খাবলি ঘাট, তেতুলতলা ঘাট নামক ৫টি স্থানে ভেকু বা বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে. তা স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। পরে রাতের আধারে ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব স্তুপ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ট্রলি দরে শত শত ট্রলি বালি ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে।
এবিষয়ে ভৈরব খননের ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, ‘ভৈরব নদী খননের সময় মাঝখানে গ্যাপ থাকায় ওখান থেকে বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া অন্য কোনো জায়গায় থেকে আমরা বালু উত্তোলন করিনি।’

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। বালু উত্তোলনের ফলে পানি দূষণসহ নদীগর্ভের গঠন প্রক্রিয়া বদলে যায়। এতে করে নদীর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে চাষাবাদের জমিও নষ্ট হতে থাকে। যারফলে প্রাণিকূলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যায়। তাই ফসলি জমি ও মৎস্য রক্ষায় আমাদের সকলের সচেতন হওয়া দরকার।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, ‘নদীগর্ভ থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো ব্যক্তি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করেন, তাহলে আইনভঙ্গকারি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নদী খননের ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ভৈরব নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০২:৩৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুলপুর গ্রাম থেকে পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ থেকে অবৈধভাবে ভেকু বা বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সময়ের খরস্রোতা নদটি বর্তমানে খালে পরিণত হয়। নদটি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পুন:খনন কাজ চলছে। খননের সময় সুযোগ বুঝে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহা বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদার সীমানায় ২৮ কিলোমিটার ভৈরব নদ রয়েছে। এরমধ্যে সুবলপুর থেকে কানাইডাঙ্গা পর্যন্ত ১১কিলোমিটার নদ খননের কাজ পায় ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহা। আইনগতভাবে ভূ-গর্ভস্ত বা নদীর তলদেশ থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলেও আইনের তোয়াক্কা নাকরেই খননের একপর্যায়ে কার্পাসডাঙ্গার কোমরপুর ঈদগার দক্ষিণ পাশে, কোমরপুর শানকি ঘাট, জোড়াতলা গালা, কার্পাসডাঙ্গা খাবলি ঘাট, তেতুলতলা ঘাট নামক ৫টি স্থানে ভেকু বা বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে. তা স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। পরে রাতের আধারে ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব স্তুপ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ট্রলি দরে শত শত ট্রলি বালি ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে।
এবিষয়ে ভৈরব খননের ঠিকাদার বিশ্বজিত চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, ‘ভৈরব নদী খননের সময় মাঝখানে গ্যাপ থাকায় ওখান থেকে বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া অন্য কোনো জায়গায় থেকে আমরা বালু উত্তোলন করিনি।’

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। বালু উত্তোলনের ফলে পানি দূষণসহ নদীগর্ভের গঠন প্রক্রিয়া বদলে যায়। এতে করে নদীর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে চাষাবাদের জমিও নষ্ট হতে থাকে। যারফলে প্রাণিকূলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যায়। তাই ফসলি জমি ও মৎস্য রক্ষায় আমাদের সকলের সচেতন হওয়া দরকার।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, ‘নদীগর্ভ থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো ব্যক্তি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করেন, তাহলে আইনভঙ্গকারি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’