ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দেশনেত্রী বেগম জিয়ার কিছু হলে তার দ্বায় সরকারকেই নিতে হবে : বিএনপি নেতা শরীফ

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবি

 

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির দিনব্যাপী গণঅনশন পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দিনব্যাপী সারা দেশে অনশনে বসেন নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়াজনীয় ব্যবস্থার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে এই গণঅনশন পালিত হয়। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে গণঅনশনে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই জুলুমবাজ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে বন্দী রেখেছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা থেকেও বিরত রাখছে। এই অন্যায় আচরণ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মেনে নিতে পারে না। রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি অধিকার হচ্ছে চিকিৎসা। অথচ আজ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই সেটি নিশ্চিত হচ্ছে না। তারা চাইছে দেশে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ধুঁকে-ধুঁকে মারা যাক। যদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয়, তবে তার দ্বায় এই বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারকেই নিতে হবে। আমরা তখন বসে থাকবো না। আল্টিমেটাম নয়, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

গণঅনশন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি, আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দামুরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী রউফউর নাহার লীনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও মহিলা দলের নেত্রী জাহানারা বেগম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু।

জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের উপস্থাপনায় গণঅনশনে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জীবননগর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান কবির, মাহাতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, তাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম ওরফে নাহারুল মাস্টার, দর্শনা পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি এনামুল হক মুকুল শাহ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রাফাতুল্লাহ মহলদার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, খাইরুল ইসলাম, ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল।

এছাড়া গণঅনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মহিলা দলের নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী বেগম, নাসরিন বেগম, সদর উপজেলার বিএনপির নেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন, মহাবুল হক মাহাবুব, মোশাররফ মাস্টার, টিটন মেম্বার, মুকুল হোসেন, আব্দুল মান্নান, রুহুল কুদ্দুস পঁচা, মিজানুর রহমান মিজান, হিমু জোয়ার্দার, মিলন মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, জিল্লুর রহমান ওল্টু, আঁইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন ওরফে মিনহাজ মাস্টার, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনাল হোসেন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ঝন্টু মালিতা, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজালাল ব্যানা, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সেলিম রেজা, হামিদুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মিল্টন, আশা খান, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদুজ্জামান বাবু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুনু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রব, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইাদ্রস আলী, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মাহাবুব, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, সহসভাপতি আবুল হোসেন তোয়া, আমিনুজ্জামান, আশরাফুল হক, নাসির উদ্দিন খেতু, জেলা যুবদলের গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল হক ইকরা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, অর্থসম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, হাবিবুর রহমান জোয়ারদার মানিক, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম এইস মোস্তফা, সদস্য সচিব মহলদার ইমরান রিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার খাইরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহাফুজুর রহমান মিল্টন, জীবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন ময়েন, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অপু মালিক, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, জীবনগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হজরত আলী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান মুক্ত, এহসানুল হক স্বরাজ, মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মতিউর রহমান মিশর, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আরিফ আহমেদ শিপ্লব, ইকবাল হোসেন, তানভীর ইনতিয়াজ জিতু, আমির হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুব আহমেদ মাহবুব, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশল আহমেদ রানা, সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাত, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্য সচিব আল ইমরান রাসেল, মাসুদ রানা, পৌর সদস্য সচিব মাহমুদুল হক তন্ময়, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব এম.ডি.কে সুলতান, জীবনগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্য সচিব মাজেদুল রহমান রিমন, জীবনগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, দর্শনা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল হুসাইন রিয়েল, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, দর্শনা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-মামুন। সর্বশেষ দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নুর গনি। এছাড়া কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

 

মেহেরপুর:

মেহেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের উপকর কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, আব্দুল্লাহ, নাসিরউদ্দিন প্রমুখ। কর্মসূচির পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। এই গণঅনশনে মেহেরপুর জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০ জন নেতা বক্তব্য দেন।

ঝিনাইদহ:

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঝিনাইদহে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গনঅনশন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান, জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, সদস্য এনামুল কবির মুকুল, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বায়ী থাকবেন। বিএনপি নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তি দাবি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দেশনেত্রী বেগম জিয়ার কিছু হলে তার দ্বায় সরকারকেই নিতে হবে : বিএনপি নেতা শরীফ

আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবি

 

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির দিনব্যাপী গণঅনশন পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দিনব্যাপী সারা দেশে অনশনে বসেন নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়াজনীয় ব্যবস্থার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে এই গণঅনশন পালিত হয়। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে গণঅনশনে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই জুলুমবাজ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে বন্দী রেখেছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা থেকেও বিরত রাখছে। এই অন্যায় আচরণ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মেনে নিতে পারে না। রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি অধিকার হচ্ছে চিকিৎসা। অথচ আজ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই সেটি নিশ্চিত হচ্ছে না। তারা চাইছে দেশে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ধুঁকে-ধুঁকে মারা যাক। যদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয়, তবে তার দ্বায় এই বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারকেই নিতে হবে। আমরা তখন বসে থাকবো না। আল্টিমেটাম নয়, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

গণঅনশন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি, আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দামুরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী রউফউর নাহার লীনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও মহিলা দলের নেত্রী জাহানারা বেগম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু।

জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের উপস্থাপনায় গণঅনশনে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জীবননগর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান কবির, মাহাতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, তাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম ওরফে নাহারুল মাস্টার, দর্শনা পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি এনামুল হক মুকুল শাহ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রাফাতুল্লাহ মহলদার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, খাইরুল ইসলাম, ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল।

এছাড়া গণঅনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মহিলা দলের নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী বেগম, নাসরিন বেগম, সদর উপজেলার বিএনপির নেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন, মহাবুল হক মাহাবুব, মোশাররফ মাস্টার, টিটন মেম্বার, মুকুল হোসেন, আব্দুল মান্নান, রুহুল কুদ্দুস পঁচা, মিজানুর রহমান মিজান, হিমু জোয়ার্দার, মিলন মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, জিল্লুর রহমান ওল্টু, আঁইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন ওরফে মিনহাজ মাস্টার, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনাল হোসেন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ঝন্টু মালিতা, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজালাল ব্যানা, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সেলিম রেজা, হামিদুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মিল্টন, আশা খান, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদুজ্জামান বাবু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুনু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রব, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইাদ্রস আলী, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মাহাবুব, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, সহসভাপতি আবুল হোসেন তোয়া, আমিনুজ্জামান, আশরাফুল হক, নাসির উদ্দিন খেতু, জেলা যুবদলের গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল হক ইকরা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, অর্থসম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, হাবিবুর রহমান জোয়ারদার মানিক, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম এইস মোস্তফা, সদস্য সচিব মহলদার ইমরান রিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার খাইরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহাফুজুর রহমান মিল্টন, জীবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন ময়েন, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অপু মালিক, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, জীবনগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হজরত আলী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান মুক্ত, এহসানুল হক স্বরাজ, মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মতিউর রহমান মিশর, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আরিফ আহমেদ শিপ্লব, ইকবাল হোসেন, তানভীর ইনতিয়াজ জিতু, আমির হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুব আহমেদ মাহবুব, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশল আহমেদ রানা, সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাত, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্য সচিব আল ইমরান রাসেল, মাসুদ রানা, পৌর সদস্য সচিব মাহমুদুল হক তন্ময়, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব এম.ডি.কে সুলতান, জীবনগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্য সচিব মাজেদুল রহমান রিমন, জীবনগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, দর্শনা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল হুসাইন রিয়েল, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, দর্শনা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-মামুন। সর্বশেষ দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নুর গনি। এছাড়া কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

 

মেহেরপুর:

মেহেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের উপকর কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, আব্দুল্লাহ, নাসিরউদ্দিন প্রমুখ। কর্মসূচির পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। এই গণঅনশনে মেহেরপুর জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০ জন নেতা বক্তব্য দেন।

ঝিনাইদহ:

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঝিনাইদহে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গনঅনশন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান, জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, সদস্য এনামুল কবির মুকুল, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বায়ী থাকবেন। বিএনপি নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তি দাবি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।