ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘ ৭ বছর পর উৎসবের আমেজে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে সম্মেলনে কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঢাকায় চলে গেছেন। সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নাম জানা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল, কাটেনি ধোঁয়াশা। মূলত সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতানৈক্যের সৃষ্টি হলে তাঁরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই ঢাকায় চলে যান। তবে বিশ্বস্তসূত্রের খবরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাাদুল ইসলাম আজাদের নামই শোনা যাচ্ছে। উৎসবমূখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলনস্থলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিসহ সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন সম্পন্ন হয়। তবে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৬জন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।


সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, বিএনপি সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। ১০ ডিসেম্বর গেল। শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়া বিএনপি কিছুই করতে পারেনি। ১০ দফা দাবি দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন কোনো দাবি নেই। আন্দোলনে হেরেছে, মানে নির্বাচনেও হারবে। বিএনপির সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমিফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা। সব খেলাই বিএনপি হারবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ জন্য চুয়াডাঙ্গায় আগত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে তদন্ত করে দেখতে বলেন তিনি। রিজার্ভ নিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে ৫ মাসের রিজার্ভ মজুদ আছে। তিন মাসের রিজার্ভ জমা থাকলেই দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে। সেখানে ৫ মাসের রিজার্ভ মানে দেশে কোনো সংকট নেই।


সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ‘মাত্র দুইদিন আগে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞে মেতেছিল। তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করার জন্য ধ্বংসলীলায় মেতেছিল। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে নষ্ট করে তারা বাংলাদেশকে গিলে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। আজকে তাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, যারা জাতির পিতার আদর্শকে পছন্দ করে, যারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে, যারা এ দেশের কল্যাণ চায়, তাদের বিজয় হয়েছে। গত ১০ তারিখে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। তার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুধামুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। শেখ হাসিনা প্রমাণ করতে পেরেছেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে একটি দেশকে কীভাবে আধুনিক দেশে পরিণত করা যায়। সেটাই তার ক্যারিশম্যাটিক নেতার পরিচয়। বিশ্বের নেতারা বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে উদাহরণ দেয়।’


তিনি আরও বলেন, ‘তারা ২০০১ সালে আমাদের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। এই অশুভ শক্তি এখনো তাদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ায়নি। তারা সন্ত্রাস করবে। তারা সন্ত্রাসীদের পক্ষের শক্তি। তারা অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তিকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া যাবে না। স্বাধীনতার চেতনা, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে গিলে খেয়ে ফেলতে চায় ওরা। আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার করবে।’ নাছিম বলেন, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আছে। যার দক্ষতা, সততা পরিক্ষিত। তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে হাঁটবে। উন্নতি করবে। আজ আমাদের শপথ হোক, আমরা শেখ হাসিনার নির্দেশে একযোগে এক হয়ে কাজ করব। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’


সম্মেলনের উদ্বোধক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, কারো ক্ষমতা নেই আওয়ামী লীগকে দমানোর। তারা জুজুর ভয় দেখিয়ে রেখেছিল একমাস ধরে। তিনি আরও বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় নয়। যদি কেউ সেই ভুল করে, তাহলে কিন্তু পস্তাতে হবে। ভুলের খেসারত দিতে হবে। আগামী বছরের নির্বাচন হবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। তারা খেলবে। দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। ঐক্যবদ্ধ হোন। দলের নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’


সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, ‘যারা নিজের আখের গোছানোর জন্য আওয়ামী লীগ করতে এসেছে, তাদের দিয়ে আওয়ামী লীগ হবে না। স্বার্থ উদ্ধারে আসা লোকদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ হবে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানেন না, যারা বাংলার মাটিকে বাংলাদেশ বলে মানেন না, তাদের আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে মানতে হবে। বঙ্গবন্ধু এই দেশের স্রষ্টা মানতে হবে। তা না হলে রাজনীতি করতে পারবেন না। আমি চিনি, কে রাস্তায় থেকে শত্রুর মোকাবিলা করবে। আমি ও আমরা দীর্ঘ ৬০ বছর দাঁড়িয়ে আছি। ২০০৮ সালের পর যারা স্বার্থ উদ্ধারে রাজনীতিতে এসেছে, তারা দেশের জন্য কিছুই করবে না। যারা সত্যিকারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করবেন, তারা থাকেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই জায়গা দিবেন। নেত্রী জেলখানায় যাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মিছিল করেছি নেত্রীর মুক্তির দাবিতে। ২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হারিয়ে ফেললাম, তখন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তখন কোনো মিয়াকে তো দেখিনি। রাইফেল আর পুলিশ নিয়ে আমাদের তাড়া করেছে। বিএনপির সাথে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা তো হারিয়ে যায়নি। আমরা পরীক্ষা দিয়ে এখানে এসেছি। কারো হাত-পা জামা ধরে আসিনি। অপশক্তিকে মোকাবিলা করার শক্তি আমাদের আগেও ছিল, এখনো আছে।’


সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এসময় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।

এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে যায় পুরো জেলা শহর। সম্মেলনস্থলে দেখা যায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড়। সমর্থনকারী নেতাদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে অনেকেই। সম্মেলনস্থলে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সকল স্লোগান দিতে নিষেধ করলেও কেউ তা মানতে রাজি হয়নি। বরং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা করেই সবাই স্লোগান দিতে থাকে।

মঞ্চে সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য শিরিন নাঈম পুনম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, আসাদুল হক বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীসহ জেলা কমিটির সকল নেতাকে দেখা যায়। এছাড়া সম্মেলনস্থলে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক, সাবেক মেয়র জিপু চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়।

এদিকে, বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সম্মেলনস্থলে মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আর উপস্থিত হননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এতে সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ পুনরায় নির্বাচিত হন বলেও বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়।

এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সাথে কথা হলে সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে গেছেন। কারো বিরোধিতা থাকলো কিনা, সেটা তাঁর তাঁর বিষয়। তবে এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির নাম ঘোষণা না করেই ঢাকায় চলে গেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি খুস্তার জামিলও বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি। তারা চলে গেছেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আজাদুল ইসলাম আজাদ পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দীর্ঘ ৭ বছর পর উৎসবের আমেজে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ১০:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে সম্মেলনে কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঢাকায় চলে গেছেন। সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নাম জানা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল, কাটেনি ধোঁয়াশা। মূলত সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতানৈক্যের সৃষ্টি হলে তাঁরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই ঢাকায় চলে যান। তবে বিশ্বস্তসূত্রের খবরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাাদুল ইসলাম আজাদের নামই শোনা যাচ্ছে। উৎসবমূখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলনস্থলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিসহ সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন সম্পন্ন হয়। তবে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৬জন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।


সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, বিএনপি সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। ১০ ডিসেম্বর গেল। শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়া বিএনপি কিছুই করতে পারেনি। ১০ দফা দাবি দিয়েছে, তার মধ্যে নতুন কোনো দাবি নেই। আন্দোলনে হেরেছে, মানে নির্বাচনেও হারবে। বিএনপির সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমিফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা। সব খেলাই বিএনপি হারবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ জন্য চুয়াডাঙ্গায় আগত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে তদন্ত করে দেখতে বলেন তিনি। রিজার্ভ নিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে ৫ মাসের রিজার্ভ মজুদ আছে। তিন মাসের রিজার্ভ জমা থাকলেই দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে। সেখানে ৫ মাসের রিজার্ভ মানে দেশে কোনো সংকট নেই।


সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ‘মাত্র দুইদিন আগে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞে মেতেছিল। তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করার জন্য ধ্বংসলীলায় মেতেছিল। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে নষ্ট করে তারা বাংলাদেশকে গিলে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। আজকে তাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, যারা জাতির পিতার আদর্শকে পছন্দ করে, যারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে, যারা এ দেশের কল্যাণ চায়, তাদের বিজয় হয়েছে। গত ১০ তারিখে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। তার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুধামুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। শেখ হাসিনা প্রমাণ করতে পেরেছেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে একটি দেশকে কীভাবে আধুনিক দেশে পরিণত করা যায়। সেটাই তার ক্যারিশম্যাটিক নেতার পরিচয়। বিশ্বের নেতারা বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে উদাহরণ দেয়।’


তিনি আরও বলেন, ‘তারা ২০০১ সালে আমাদের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। এই অশুভ শক্তি এখনো তাদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ায়নি। তারা সন্ত্রাস করবে। তারা সন্ত্রাসীদের পক্ষের শক্তি। তারা অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তিকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া যাবে না। স্বাধীনতার চেতনা, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে গিলে খেয়ে ফেলতে চায় ওরা। আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার করবে।’ নাছিম বলেন, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আছে। যার দক্ষতা, সততা পরিক্ষিত। তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে হাঁটবে। উন্নতি করবে। আজ আমাদের শপথ হোক, আমরা শেখ হাসিনার নির্দেশে একযোগে এক হয়ে কাজ করব। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’


সম্মেলনের উদ্বোধক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, কারো ক্ষমতা নেই আওয়ামী লীগকে দমানোর। তারা জুজুর ভয় দেখিয়ে রেখেছিল একমাস ধরে। তিনি আরও বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় নয়। যদি কেউ সেই ভুল করে, তাহলে কিন্তু পস্তাতে হবে। ভুলের খেসারত দিতে হবে। আগামী বছরের নির্বাচন হবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। তারা খেলবে। দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। ঐক্যবদ্ধ হোন। দলের নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’


সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, ‘যারা নিজের আখের গোছানোর জন্য আওয়ামী লীগ করতে এসেছে, তাদের দিয়ে আওয়ামী লীগ হবে না। স্বার্থ উদ্ধারে আসা লোকদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ হবে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানেন না, যারা বাংলার মাটিকে বাংলাদেশ বলে মানেন না, তাদের আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে মানতে হবে। বঙ্গবন্ধু এই দেশের স্রষ্টা মানতে হবে। তা না হলে রাজনীতি করতে পারবেন না। আমি চিনি, কে রাস্তায় থেকে শত্রুর মোকাবিলা করবে। আমি ও আমরা দীর্ঘ ৬০ বছর দাঁড়িয়ে আছি। ২০০৮ সালের পর যারা স্বার্থ উদ্ধারে রাজনীতিতে এসেছে, তারা দেশের জন্য কিছুই করবে না। যারা সত্যিকারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করবেন, তারা থাকেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই জায়গা দিবেন। নেত্রী জেলখানায় যাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মিছিল করেছি নেত্রীর মুক্তির দাবিতে। ২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হারিয়ে ফেললাম, তখন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তখন কোনো মিয়াকে তো দেখিনি। রাইফেল আর পুলিশ নিয়ে আমাদের তাড়া করেছে। বিএনপির সাথে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা তো হারিয়ে যায়নি। আমরা পরীক্ষা দিয়ে এখানে এসেছি। কারো হাত-পা জামা ধরে আসিনি। অপশক্তিকে মোকাবিলা করার শক্তি আমাদের আগেও ছিল, এখনো আছে।’


সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এসময় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।

এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে যায় পুরো জেলা শহর। সম্মেলনস্থলে দেখা যায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড়। সমর্থনকারী নেতাদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে অনেকেই। সম্মেলনস্থলে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সকল স্লোগান দিতে নিষেধ করলেও কেউ তা মানতে রাজি হয়নি। বরং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা করেই সবাই স্লোগান দিতে থাকে।

মঞ্চে সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য শিরিন নাঈম পুনম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, আসাদুল হক বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীসহ জেলা কমিটির সকল নেতাকে দেখা যায়। এছাড়া সম্মেলনস্থলে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক, সাবেক মেয়র জিপু চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়।

এদিকে, বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সম্মেলনস্থলে মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আর উপস্থিত হননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এতে সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ পুনরায় নির্বাচিত হন বলেও বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়।

এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সাথে কথা হলে সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে গেছেন। কারো বিরোধিতা থাকলো কিনা, সেটা তাঁর তাঁর বিষয়। তবে এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির নাম ঘোষণা না করেই ঢাকায় চলে গেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি খুস্তার জামিলও বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি। তারা চলে গেছেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আজাদুল ইসলাম আজাদ পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।