ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় ভুল বালাইনাশকে কৃষকের আলুখেত নষ্ট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: দামুড়হুদা উপজলার কুড়লগাছি গ্রামের এক চাষীকে ভুল বালাইনাশক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে আলুখেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বাজারের বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার দামুড়হুদা উপজলা কৃষি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলম।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুড়লগাছি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদেরের নিকট থেকে আলু বীজ ক্রয় করেন। পরে গ্রামের ২ নম্বর সেচ পাম্পের আওতায় ১০ কাঠা জমিতে আলু রোপন করেন। আলু গাছের বয়স ২৫দিন পার হলে আলুখেতে আগাছা দেখা দিলে চলতি মাসের ৬ তারিখ বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারে আগাছা নির্মুল করার ওষুধ কিনতে যান। তখন বীজ ভাণ্ডারের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল কাদের তাকে ‘এডাকা’ সিমকা লি. এর বালাইনাশক দেন। ওই বালাইনাশক ব্যবহার করার দুদিন পর খেতের আগাছাসহ আলু গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। পরে বিষয়টি আব্দুল কাদিরকে জানালে তিনি কোম্পানির লোক নিয়ে খেত দেখার কথা বললেও সে খেতে যায়নি। পরে ভুল ওষুধ দিয়ে তার খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আলু বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পরে আগাছানাশক প্রয়োগ করেছেন। এই আগাছা নাশকটি বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পূর্বে প্রয়োগ করতে হয়। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর প্রয়োগ করায় আগাছা ও অঙ্কুরিত আলু বীজ উভয় মরে গেছে।’
এ বিষয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলন, ‘সে যে আগাছা মরা বিষ ব্যবহার করেছে এটা আলুর চারা গজানোর আগে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বালাই নাশক বিক্রেতা কিভাব এটা ব্যবহার করতে দিলো, তা জানি না। হয়তো কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তাকে অফিসে ডেকে কথা বললে বোঝা যাবে কেন এমন হলো। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় ভুল বালাইনাশকে কৃষকের আলুখেত নষ্ট

আপলোড টাইম : ১২:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: দামুড়হুদা উপজলার কুড়লগাছি গ্রামের এক চাষীকে ভুল বালাইনাশক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে আলুখেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বাজারের বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার দামুড়হুদা উপজলা কৃষি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলম।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুড়লগাছি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদেরের নিকট থেকে আলু বীজ ক্রয় করেন। পরে গ্রামের ২ নম্বর সেচ পাম্পের আওতায় ১০ কাঠা জমিতে আলু রোপন করেন। আলু গাছের বয়স ২৫দিন পার হলে আলুখেতে আগাছা দেখা দিলে চলতি মাসের ৬ তারিখ বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারে আগাছা নির্মুল করার ওষুধ কিনতে যান। তখন বীজ ভাণ্ডারের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল কাদের তাকে ‘এডাকা’ সিমকা লি. এর বালাইনাশক দেন। ওই বালাইনাশক ব্যবহার করার দুদিন পর খেতের আগাছাসহ আলু গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। পরে বিষয়টি আব্দুল কাদিরকে জানালে তিনি কোম্পানির লোক নিয়ে খেত দেখার কথা বললেও সে খেতে যায়নি। পরে ভুল ওষুধ দিয়ে তার খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত বিশ্বাস বীজ ভাণ্ডারের মালিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আলু বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পরে আগাছানাশক প্রয়োগ করেছেন। এই আগাছা নাশকটি বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পূর্বে প্রয়োগ করতে হয়। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর প্রয়োগ করায় আগাছা ও অঙ্কুরিত আলু বীজ উভয় মরে গেছে।’
এ বিষয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলন, ‘সে যে আগাছা মরা বিষ ব্যবহার করেছে এটা আলুর চারা গজানোর আগে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বালাই নাশক বিক্রেতা কিভাব এটা ব্যবহার করতে দিলো, তা জানি না। হয়তো কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তাকে অফিসে ডেকে কথা বললে বোঝা যাবে কেন এমন হলো। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’