ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় বিভিন্ন এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে চোরের উৎপাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন-দুপুরে হরহামেশাই চুরি হচ্ছে পাওয়ারট্রিলার, পাখিভ্যান ও মোটরসাইকেল। গত  রোববার রাতে রেড ব্রিকস থেকে একটি নতুন পাওয়ারট্রিলার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে রেড ব্রিকস থেকে রাতের আধারে একটি পাওয়ারট্রিলার চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। পরদিন সকালে একটি মোবাইল ফোন থেকে ফোন আসে রেড ইটভাটার ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুসের ফোনে। অপরিচিত একজন বলেন, আপনার চুরি হওয়া  পাওয়ারট্রিলার ফেরত পেতে হলে ২৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে। ম্যানেজার বলেন, বিকাশে টাকা না সরাসরি টাকা দিবো কোথায় আসতে হবে বলেন আমি যাচ্ছি। পরে গালাগালি করে ফোন কেটে দেয়। এ মর্মে রেড ব্রিকসের ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার একটি অভিযোগ  দায়ের করেন। একই রাতে মোক্তারপুর গ্রামের হাসেম আলীর একটি বাইসাইকেল, একটি পাখিভ্যান ও একটি মাইকসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।

রেড ব্রিকসের মালিক ফজলুল বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি ভাটার ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু কোনো দিন এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি। এবার আমার ভাটায় থেকে একটি নতুন পাওয়ারট্রিলার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। পরদিন সকালে আমার ম্যানেজারের নিকট ফোন করে চাঁদা দাবি করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়। পরে ম্যানেজার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।’

উল্লেখ্য, পাঁচ মাস পূর্বে দামুড়হুদার দশমী পাড়ার হানার ছেলে মাসুম মোল্লার বাড়ি থেকে একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এক মাস পূর্বে দিনের বেলায়  কেশবপুর গ্রামের কালু মণ্ডলের ছেলে কালামের বাড়ির সামনে থেকে একটি পাখিভ্যান চুরি হয়। গত ১৭ মে হাউলি গ্রামের মিলন তাঁর ব্যবহৃত আরটিআর মোটরসাইকেল (চুয়াডাঙ্গা-ল-১১-৭৩৭২) নতুন বাস্তপুর গ্রামের যাওয়ার রাস্তার পাশে রেখে মাঠে কাজ করছিল। ফিরে এসে দেখে তার মোটরসাইকেলটি নেই। পরে দামুড়হুদা মডেল থানার একটি অভিযোগ দায়ের করে। এখন পর্যন্ত কোনো গাড়িই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে জনগণ কিছুটা হলেও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। সচতন মহলের দাবি, পুলিশের টহল জোরদারসহ চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধার করবেন পুলিশ এমনটিই চাওয়া ভুক্তভোগীদের।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিছু কিছু জায়গায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় বিভিন্ন এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে চোরের উৎপাত

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন-দুপুরে হরহামেশাই চুরি হচ্ছে পাওয়ারট্রিলার, পাখিভ্যান ও মোটরসাইকেল। গত  রোববার রাতে রেড ব্রিকস থেকে একটি নতুন পাওয়ারট্রিলার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে রেড ব্রিকস থেকে রাতের আধারে একটি পাওয়ারট্রিলার চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। পরদিন সকালে একটি মোবাইল ফোন থেকে ফোন আসে রেড ইটভাটার ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুসের ফোনে। অপরিচিত একজন বলেন, আপনার চুরি হওয়া  পাওয়ারট্রিলার ফেরত পেতে হলে ২৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে। ম্যানেজার বলেন, বিকাশে টাকা না সরাসরি টাকা দিবো কোথায় আসতে হবে বলেন আমি যাচ্ছি। পরে গালাগালি করে ফোন কেটে দেয়। এ মর্মে রেড ব্রিকসের ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার একটি অভিযোগ  দায়ের করেন। একই রাতে মোক্তারপুর গ্রামের হাসেম আলীর একটি বাইসাইকেল, একটি পাখিভ্যান ও একটি মাইকসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।

রেড ব্রিকসের মালিক ফজলুল বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি ভাটার ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু কোনো দিন এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি। এবার আমার ভাটায় থেকে একটি নতুন পাওয়ারট্রিলার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। পরদিন সকালে আমার ম্যানেজারের নিকট ফোন করে চাঁদা দাবি করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়। পরে ম্যানেজার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।’

উল্লেখ্য, পাঁচ মাস পূর্বে দামুড়হুদার দশমী পাড়ার হানার ছেলে মাসুম মোল্লার বাড়ি থেকে একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এক মাস পূর্বে দিনের বেলায়  কেশবপুর গ্রামের কালু মণ্ডলের ছেলে কালামের বাড়ির সামনে থেকে একটি পাখিভ্যান চুরি হয়। গত ১৭ মে হাউলি গ্রামের মিলন তাঁর ব্যবহৃত আরটিআর মোটরসাইকেল (চুয়াডাঙ্গা-ল-১১-৭৩৭২) নতুন বাস্তপুর গ্রামের যাওয়ার রাস্তার পাশে রেখে মাঠে কাজ করছিল। ফিরে এসে দেখে তার মোটরসাইকেলটি নেই। পরে দামুড়হুদা মডেল থানার একটি অভিযোগ দায়ের করে। এখন পর্যন্ত কোনো গাড়িই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে জনগণ কিছুটা হলেও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। সচতন মহলের দাবি, পুলিশের টহল জোরদারসহ চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধার করবেন পুলিশ এমনটিই চাওয়া ভুক্তভোগীদের।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিছু কিছু জায়গায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।