ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় জনগণের হাতে চোর পাকড়াও, থানায় সোপর্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দীর্ঘ এক বছর পূর্বে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করা চোরকে সনাক্ত করে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। চোর ইউসুফ (৩৫) উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশনে নাজমুলের দোকান থেকে তাকে আটক করে জনগণ।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর মোয়াজ্জেমের ছেলে জসিম উদ্দিন চকলার দোকান থেকে গত বছরের ২৪ জুলাই একটি নোকিয়া ৩৩১০ মডেলের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। ওই দিনই জসিম উদ্দিন চকলা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ৯৬৭, তারিখ ২৪/০৭/২১। মোবাইল চুরি হওয়ার সপ্তাহ খানেক পরে জসিম চকলাদারের আবারও ১৪ হাজার টাকা চুরি হয়।
জসিম চাকলা বলেন, ‘পুলিশের তথ্য মতে চুরি হওয়া মোবাইলটি আমি জয়রামপুর গ্রামের গোলজারের ছেলে নাজমুলের কাছ থেকে উদ্ধার করি। পরবর্তীতে চুরি যাওয়া নগদ ১৪ হাজার টাকার বিষয়ে আমি নাজমুলকে বলি আমার সেই মোবাইল চোর হাজির করো, না হয় আমার চুরি যাওয়া টাকা দাও। নাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। তখন নাজমুল আমাকে নগদ ১৪ হাজার টাকা ফেরত দেয়।’

নাজমুল বলেন, ‘আমি একটা নোকিয়া ৩৩১০ মোবাইল কিনেছিলাম স্টেশনের এক যাত্রীর কাছ থেকে। সে বিপদে পড়েছে বলে বিক্রি করে। তাকে আমি চিনি না। কিন্তু চকলা এসে যখন বলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ বলেছে চুরি হওয়া নোকিয়া ফোনটি তোমার কাছে আছে। তখন আমি সব বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে ফোনটি ফেরত দিয়। কিন্তু তার এক সপ্তাহ পরে এসে বলে আবারও আমার দোকান থেকে ১৪ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। যদি তুমি ওই চোর ধরে দিতে না পারো তাহলে আমার ১৪ হাজার টাকা তোমাকে ফেরত দিতে হবে। থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৪ হাজার টাকা নেয়। এই মর্মে ১৪ হাজার টাকা বুঝিয়া পাইয়া একটা কাগজে লিখে দেয়। আজ আমার দোকানে রাত ৮টার দিকে ওই চোর ঘুমের ওষুধ কিনতে আসলে আমি চোরকে আটক করে চকলাকে জানায়। এখন তো আমি চোর ধরে দিয়েছি, তাই আমার টাকা এখন ফেরত চাই।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এক বছর আগে জসিম চাকলাদার বাদী হয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনিই চোর সনাক্ত করে ইউসুফকে থানায় সোপর্দ করে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় জনগণের হাতে চোর পাকড়াও, থানায় সোপর্দ

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দীর্ঘ এক বছর পূর্বে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করা চোরকে সনাক্ত করে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। চোর ইউসুফ (৩৫) উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশনে নাজমুলের দোকান থেকে তাকে আটক করে জনগণ।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর মোয়াজ্জেমের ছেলে জসিম উদ্দিন চকলার দোকান থেকে গত বছরের ২৪ জুলাই একটি নোকিয়া ৩৩১০ মডেলের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। ওই দিনই জসিম উদ্দিন চকলা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ৯৬৭, তারিখ ২৪/০৭/২১। মোবাইল চুরি হওয়ার সপ্তাহ খানেক পরে জসিম চকলাদারের আবারও ১৪ হাজার টাকা চুরি হয়।
জসিম চাকলা বলেন, ‘পুলিশের তথ্য মতে চুরি হওয়া মোবাইলটি আমি জয়রামপুর গ্রামের গোলজারের ছেলে নাজমুলের কাছ থেকে উদ্ধার করি। পরবর্তীতে চুরি যাওয়া নগদ ১৪ হাজার টাকার বিষয়ে আমি নাজমুলকে বলি আমার সেই মোবাইল চোর হাজির করো, না হয় আমার চুরি যাওয়া টাকা দাও। নাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। তখন নাজমুল আমাকে নগদ ১৪ হাজার টাকা ফেরত দেয়।’

নাজমুল বলেন, ‘আমি একটা নোকিয়া ৩৩১০ মোবাইল কিনেছিলাম স্টেশনের এক যাত্রীর কাছ থেকে। সে বিপদে পড়েছে বলে বিক্রি করে। তাকে আমি চিনি না। কিন্তু চকলা এসে যখন বলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ বলেছে চুরি হওয়া নোকিয়া ফোনটি তোমার কাছে আছে। তখন আমি সব বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে ফোনটি ফেরত দিয়। কিন্তু তার এক সপ্তাহ পরে এসে বলে আবারও আমার দোকান থেকে ১৪ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। যদি তুমি ওই চোর ধরে দিতে না পারো তাহলে আমার ১৪ হাজার টাকা তোমাকে ফেরত দিতে হবে। থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৪ হাজার টাকা নেয়। এই মর্মে ১৪ হাজার টাকা বুঝিয়া পাইয়া একটা কাগজে লিখে দেয়। আজ আমার দোকানে রাত ৮টার দিকে ওই চোর ঘুমের ওষুধ কিনতে আসলে আমি চোরকে আটক করে চকলাকে জানায়। এখন তো আমি চোর ধরে দিয়েছি, তাই আমার টাকা এখন ফেরত চাই।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এক বছর আগে জসিম চাকলাদার বাদী হয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনিই চোর সনাক্ত করে ইউসুফকে থানায় সোপর্দ করে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।