ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গার স্কুলছাত্রের বিকাশ থেকে টাকা উধাও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বিকাশ থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা। বিত্তশালী থেকে শুরু করে গরীব-দিনমজুরেরাও ছাড় পাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। এবার এমন এক ঘটনা ঘটেছে দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র সানমুন হোসেনের সাথে। সে উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরের দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে বলে তুমি কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র নাম সানমুন হোসেন, সরকারিভাবে দেয়া তোমার উপবৃত্তির ১৮ হাজার টাকা তোমার বিকাশে যাচ্ছে না, তুমি তোমার নিজের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার ৩ শ টাকা বিকাশ করো। একসঙ্গে ৩৩ হাজার ৩ শ টাকা তুলে নিবা। একথা বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। পরবর্তী প্রায় ১০ মিনিট পর ফোন দিয়ে বলেন, তাড়াতাড়ি তোমার নম্বরে টাকা বিকাশ করো। আমরা লাইনে আছি। এ কথা শোনার পর বিকাশের দোকানে গিয়ে ১৫ হাজার ৩ শ টাকা আমার নিজের নাম্বারে বিকাশ করার সাথে সাথেই হ্যাক করে করে টাকা নিয়ে নেয় ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দুজন জানান, অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না কাস্টমার কেয়ারেগুলোতে। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে মোবাইল অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ।

একজন বিকাশ এজেন্ট জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হরহামেশাই এমন টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গার স্কুলছাত্রের বিকাশ থেকে টাকা উধাও

আপলোড টাইম : ০৮:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বিকাশ থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা। বিত্তশালী থেকে শুরু করে গরীব-দিনমজুরেরাও ছাড় পাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। এবার এমন এক ঘটনা ঘটেছে দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র সানমুন হোসেনের সাথে। সে উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরের দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে বলে তুমি কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র নাম সানমুন হোসেন, সরকারিভাবে দেয়া তোমার উপবৃত্তির ১৮ হাজার টাকা তোমার বিকাশে যাচ্ছে না, তুমি তোমার নিজের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার ৩ শ টাকা বিকাশ করো। একসঙ্গে ৩৩ হাজার ৩ শ টাকা তুলে নিবা। একথা বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। পরবর্তী প্রায় ১০ মিনিট পর ফোন দিয়ে বলেন, তাড়াতাড়ি তোমার নম্বরে টাকা বিকাশ করো। আমরা লাইনে আছি। এ কথা শোনার পর বিকাশের দোকানে গিয়ে ১৫ হাজার ৩ শ টাকা আমার নিজের নাম্বারে বিকাশ করার সাথে সাথেই হ্যাক করে করে টাকা নিয়ে নেয় ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দুজন জানান, অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না কাস্টমার কেয়ারেগুলোতে। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে মোবাইল অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ।

একজন বিকাশ এজেন্ট জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হরহামেশাই এমন টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।