ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় সুদের টাকার জন্য বিষপান করা সেই রুবেলের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদার দশমীপাড়ায় সুদের টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়ায় বিষপান করা সেই রুবেল হোসেন (৩৩) মারা গেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে রুবেলের লাশ বেলা তিনটার দিকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। রুবেল দামুড়হুদা উপজেলার দশমী পাড়ার এলাহী বক্সের ছেলে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে রুবেল মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার নামে তার একটি গ্যারেজ আছে।

রুবেলের পরিবারের অভিযোগ, দামুড়হুদা মডেল থানার অধীনস্থ চারুলিয়া ক্যাম্পে কর্মরত এএসআই মনজুর রহমানের কাছ থেকে নেওয়া টাকা শোধ করতে না পারায় গত বুধবার গ্যারেজে তালা লাগিয়ে দেন ওই এএসআই। এতে মানসিক চাপে রুবেল গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিষপান করেন। তবে এএসআই মনজুর গত বুধবার দাবি করে বলেন, ‘আমি রুবেলকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি। শুধু আমার টাকা নয়, বিভিন্ন জায়গার ঋণের চাপ তার মাথার ওপর আছে। রুবেল তার খালাতো ভাই দামুড়হুদা বদনপুরের আক্তার (আক্তারুজ্জামান) অ্যাডভোকেট সাহেবের কাছ থেকে ভুয়া দলিল দিয়ে তিন লাখ টাকা নেয়। তার টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য আক্তার অ্যাডভোকেট ১০-১২ দিন আগে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।’

এদিকে, এএসআই মনজুর মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, আত্মহত্যাকারী (রুবেল) ব্যক্তির নিকট থেকে আমি কোনো টাকা পাই না। এবং সে আমার কোনো আত্মীয় না। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এএসআই মনজুরকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে দামুড়হুদা উপজেলার ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী দাবি করেন, রুবেল প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ঋণগ্রস্ত ছিলেন। মনজুর দারোগা টাকার জন্য তাকে কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। তার কাছে শুধু পাওনা টাকা চেয়েছিলেন। তার দোকানে তালা মেরে দেওয়া ও চাপ প্রয়োগ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক উকিলও রুবেলের কাছে টাকা পায়। তার চাচী সাবেরা খাতুনও তার কাছে ৩ লাখ টাকা পায়। এছাড়াও বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে রুবেলকে টাকা ধার দিয়েছে।

গতকাল রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হযরত আলীকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, রুবেল এএসআই মনজুরের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন, এটা আপনি কবে থেকে জানেন। উত্তরে তিনি বলেন, বিষপানের ঘটনার পর জেনেছেন। আর দোকানে তালা মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলের এক চাচাতো ভাই সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, এএসআই মনজুর রুবেলের দোকানে তালা লাগিয়ে দেননি। এক উকিল রুবেলের কাছে টাকা পান এটাও তিনি লোকমুখে শুনেছেন। রুবেলকে কোন পরিচয় বা ডকুমেন্টে এএসআই মনজুর এক লাখ টাকা দিলো জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, এএসআই মনজুর রহমান সুদের টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়ায় রুবেল গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিষপান করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রেফার্ড করেন চিকিৎসক। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় ভর্তি রাখেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রুবেলের ছোট বোন শিরিনা বলেন, ‘আমার ভাই মঞ্জুর দারোগার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিল। এখন সেই টাকা মনজুর দারোগা ফেরত চাচ্ছে। আমার ভাই বিদেশ যাবে বলে টাকা খরচ করে ফেলেছে। দারোগাকে দেওয়ার মতো টাকা তার কাছে আপাতত নেই।‘ শিরিনা আরও বলেন, ‘আমার ভাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ আমাকে ফোন করে খোঁজখবর নেয়। পরে আমার কাছে এক লাখ টাকা ধার চায়। ভাই আমাকে জানায়, মঞ্জুর দারোগা (এএসআই মনজুর রহমান) আমার গ্যারেজে তালা মেরে দিয়েছে। আমি টাকা দিতে পারিনি। তারপর আমার ভাই বলল, আমি বাড়িতে আসছি। দোকান থেকে ফেরার পথে মানসিক চাপে আমার ভাই বিষপান করেছে।’

এ বিষয়ে এএসআই মনজুর রহমান বলেছিলেন, ‘বছর খানেক আগে আমার কাছ থেকে রুবেল এক লাখ টাকা নেয়। গত তিন-চার মাস ধরে টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাকে ঘুরাচ্ছে। আজ (গত বুধবার) টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আমি আজ গিয়েছিলাম টাকা নিতে। আমি ওর গ্যারেজে দুপুরে যেয়ে রুবেলকে বললাম, আজকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল টাকা ম্যানেজ হয়েছে? সে বলল আমি টাকা ম্যানেজ করতে পারিনি। আমি তাকে বললাম, আমাকে তো অনেকদিন ধরেই ঘুরাচ্ছো কবে দিবা বলো? সে বলল চলতি মাসের ১৩ তারিখে দেব। তার সাথে আমার আর কোনো কথা হয়নি। আমি চলে এসেছিলাম। আমি রুবেলকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি। শুধু আমার টাকা নয়, বিভিন্ন জায়গার ঋণের চাপ তার মাথার ওপর আছে। রুবেল এনজিও, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েছে। তার খালাতো ভাই দামুড়হুদা বদনপুরের আক্তার অ্যাডভোকেট সাহেবের কাছ থেকে ভুয়া দলিল দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নেয়। তার টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য আক্তার অ্যাডভোকেট ১০-১২ দিন আগে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। আবার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে দেড় মাস আগে রুবেলের বাড়ির জমির বায়না দিয়ে ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছে। তাকে এখন জমি দিচ্ছে না। এর মাঝেই তিনি কুয়েতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সম্ভবত আগামী ১৩ তারিখে তার ফ্লাইট।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় সুদের টাকার জন্য বিষপান করা সেই রুবেলের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৩:১৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদার দশমীপাড়ায় সুদের টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়ায় বিষপান করা সেই রুবেল হোসেন (৩৩) মারা গেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে রুবেলের লাশ বেলা তিনটার দিকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। রুবেল দামুড়হুদা উপজেলার দশমী পাড়ার এলাহী বক্সের ছেলে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে রুবেল মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার নামে তার একটি গ্যারেজ আছে।

রুবেলের পরিবারের অভিযোগ, দামুড়হুদা মডেল থানার অধীনস্থ চারুলিয়া ক্যাম্পে কর্মরত এএসআই মনজুর রহমানের কাছ থেকে নেওয়া টাকা শোধ করতে না পারায় গত বুধবার গ্যারেজে তালা লাগিয়ে দেন ওই এএসআই। এতে মানসিক চাপে রুবেল গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিষপান করেন। তবে এএসআই মনজুর গত বুধবার দাবি করে বলেন, ‘আমি রুবেলকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি। শুধু আমার টাকা নয়, বিভিন্ন জায়গার ঋণের চাপ তার মাথার ওপর আছে। রুবেল তার খালাতো ভাই দামুড়হুদা বদনপুরের আক্তার (আক্তারুজ্জামান) অ্যাডভোকেট সাহেবের কাছ থেকে ভুয়া দলিল দিয়ে তিন লাখ টাকা নেয়। তার টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য আক্তার অ্যাডভোকেট ১০-১২ দিন আগে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।’

এদিকে, এএসআই মনজুর মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, আত্মহত্যাকারী (রুবেল) ব্যক্তির নিকট থেকে আমি কোনো টাকা পাই না। এবং সে আমার কোনো আত্মীয় না। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এএসআই মনজুরকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে দামুড়হুদা উপজেলার ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী দাবি করেন, রুবেল প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ঋণগ্রস্ত ছিলেন। মনজুর দারোগা টাকার জন্য তাকে কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। তার কাছে শুধু পাওনা টাকা চেয়েছিলেন। তার দোকানে তালা মেরে দেওয়া ও চাপ প্রয়োগ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক উকিলও রুবেলের কাছে টাকা পায়। তার চাচী সাবেরা খাতুনও তার কাছে ৩ লাখ টাকা পায়। এছাড়াও বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে রুবেলকে টাকা ধার দিয়েছে।

গতকাল রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হযরত আলীকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, রুবেল এএসআই মনজুরের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন, এটা আপনি কবে থেকে জানেন। উত্তরে তিনি বলেন, বিষপানের ঘটনার পর জেনেছেন। আর দোকানে তালা মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলের এক চাচাতো ভাই সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, এএসআই মনজুর রুবেলের দোকানে তালা লাগিয়ে দেননি। এক উকিল রুবেলের কাছে টাকা পান এটাও তিনি লোকমুখে শুনেছেন। রুবেলকে কোন পরিচয় বা ডকুমেন্টে এএসআই মনজুর এক লাখ টাকা দিলো জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, এএসআই মনজুর রহমান সুদের টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়ায় রুবেল গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিষপান করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রেফার্ড করেন চিকিৎসক। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় ভর্তি রাখেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রুবেলের ছোট বোন শিরিনা বলেন, ‘আমার ভাই মঞ্জুর দারোগার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিল। এখন সেই টাকা মনজুর দারোগা ফেরত চাচ্ছে। আমার ভাই বিদেশ যাবে বলে টাকা খরচ করে ফেলেছে। দারোগাকে দেওয়ার মতো টাকা তার কাছে আপাতত নেই।‘ শিরিনা আরও বলেন, ‘আমার ভাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ আমাকে ফোন করে খোঁজখবর নেয়। পরে আমার কাছে এক লাখ টাকা ধার চায়। ভাই আমাকে জানায়, মঞ্জুর দারোগা (এএসআই মনজুর রহমান) আমার গ্যারেজে তালা মেরে দিয়েছে। আমি টাকা দিতে পারিনি। তারপর আমার ভাই বলল, আমি বাড়িতে আসছি। দোকান থেকে ফেরার পথে মানসিক চাপে আমার ভাই বিষপান করেছে।’

এ বিষয়ে এএসআই মনজুর রহমান বলেছিলেন, ‘বছর খানেক আগে আমার কাছ থেকে রুবেল এক লাখ টাকা নেয়। গত তিন-চার মাস ধরে টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাকে ঘুরাচ্ছে। আজ (গত বুধবার) টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আমি আজ গিয়েছিলাম টাকা নিতে। আমি ওর গ্যারেজে দুপুরে যেয়ে রুবেলকে বললাম, আজকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল টাকা ম্যানেজ হয়েছে? সে বলল আমি টাকা ম্যানেজ করতে পারিনি। আমি তাকে বললাম, আমাকে তো অনেকদিন ধরেই ঘুরাচ্ছো কবে দিবা বলো? সে বলল চলতি মাসের ১৩ তারিখে দেব। তার সাথে আমার আর কোনো কথা হয়নি। আমি চলে এসেছিলাম। আমি রুবেলকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি। শুধু আমার টাকা নয়, বিভিন্ন জায়গার ঋণের চাপ তার মাথার ওপর আছে। রুবেল এনজিও, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েছে। তার খালাতো ভাই দামুড়হুদা বদনপুরের আক্তার অ্যাডভোকেট সাহেবের কাছ থেকে ভুয়া দলিল দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নেয়। তার টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য আক্তার অ্যাডভোকেট ১০-১২ দিন আগে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। আবার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে দেড় মাস আগে রুবেলের বাড়ির জমির বায়না দিয়ে ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছে। তাকে এখন জমি দিচ্ছে না। এর মাঝেই তিনি কুয়েতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সম্ভবত আগামী ১৩ তারিখে তার ফ্লাইট।’