ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় বিদেশে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা

১৫ লাখ টাকা খুইয়ে নিঃস্ব চার ব্যক্তি

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের নেকবার আলীর ছেলে ফারজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদেশে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন কাদিপুর গ্রামের চার ব্যক্তি। ফারজুল তাদের কাছ থেকে মোট ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন আরামে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে, প্রতারণার শিকার চার ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইতে গেলে ফারজুল তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। হতাশায় তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ন্যায়বিচারের আশায়। শেষমেশ ভুক্তভোগীদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় ফারজুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী অন্য তিনজন হলেন- কাদিপুর গ্রামের আহার আলীর ছেলে জমির উদ্দিন, মৃত মখলেছের ছেলে আমিরুল ইসলাম, খলিল মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম এবং লাভলুর ছেলে হালিম উদ্দিন।

জানা গেছে, ফারজুলের মাধ্যমে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে গত বছরের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ওই চার ব্যক্তি। তবে সেখানে পৌঁঁছানোর পরই তাদের ওপর শুরু হয় অমানবিক অত্যাচার। বিদেশে যাওয়ার খরচ মেটাতে এরা জমি ও হালের গরু বিক্রি করে ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ফারজুলকে দেন। ফারজুল তাদের ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে কাজ না দিয়ে তিন-চার মাস নির্মম নির্যাতন করেন। শেষে তারা নিরুপায় হয়ে একই বছরের অক্টোবরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘নেকবার আলী ও তার ছেলে ফারজুল আমাদের যে অত্যাচার করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা লোন নিয়ে, জমি-গরু বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছিলাম বিদেশে যাওয়ার জন্য। এখন আমরা পথের ফকির হয়ে গেছি। আমাদের বিদেশে নিয়ে কাজ দেওয়া হয়নি। আমরা এখন আমাদের টাকা ফেরত চাই।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমি স্তম্ভিত হয়েছি। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে? এত টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজ না দিয়ে নির্যাতন করে দেশে পাঠানো হয়েছে। নেকবার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় বিদেশে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা

১৫ লাখ টাকা খুইয়ে নিঃস্ব চার ব্যক্তি

আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের নেকবার আলীর ছেলে ফারজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদেশে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন কাদিপুর গ্রামের চার ব্যক্তি। ফারজুল তাদের কাছ থেকে মোট ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন আরামে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে, প্রতারণার শিকার চার ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইতে গেলে ফারজুল তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। হতাশায় তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ন্যায়বিচারের আশায়। শেষমেশ ভুক্তভোগীদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় ফারজুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী অন্য তিনজন হলেন- কাদিপুর গ্রামের আহার আলীর ছেলে জমির উদ্দিন, মৃত মখলেছের ছেলে আমিরুল ইসলাম, খলিল মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম এবং লাভলুর ছেলে হালিম উদ্দিন।

জানা গেছে, ফারজুলের মাধ্যমে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে গত বছরের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ওই চার ব্যক্তি। তবে সেখানে পৌঁঁছানোর পরই তাদের ওপর শুরু হয় অমানবিক অত্যাচার। বিদেশে যাওয়ার খরচ মেটাতে এরা জমি ও হালের গরু বিক্রি করে ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ফারজুলকে দেন। ফারজুল তাদের ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে কাজ না দিয়ে তিন-চার মাস নির্মম নির্যাতন করেন। শেষে তারা নিরুপায় হয়ে একই বছরের অক্টোবরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘নেকবার আলী ও তার ছেলে ফারজুল আমাদের যে অত্যাচার করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা লোন নিয়ে, জমি-গরু বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছিলাম বিদেশে যাওয়ার জন্য। এখন আমরা পথের ফকির হয়ে গেছি। আমাদের বিদেশে নিয়ে কাজ দেওয়া হয়নি। আমরা এখন আমাদের টাকা ফেরত চাই।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমি স্তম্ভিত হয়েছি। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে? এত টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজ না দিয়ে নির্যাতন করে দেশে পাঠানো হয়েছে। নেকবার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।