ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনা পৌরসভার প্রকৌশলীর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:

দর্শনা পৌরসভার কাউন্সিলর তার সাঙ্গপাঙ্গ কর্তৃক সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের ওপর হামলা অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ১০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। ঘটনায় সপ্তাহ খানেক আগে মেয়র মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে আজও তা রেকর্ড হয়নি। আসামিরা প্রতিনিয়ত থানার সামনেই ঘুরছে। নিয়ে সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পৌর মেয়রের মামলা যদি রেকর্ড না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের দানা বেধেছে। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি মীমাংসার জন্য মামলা রেকর্ড হয়নি।

মেয়র মতিয়ার রহমানের থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা হতে ১২টার মধ্যে নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা নম্বর ওয়ার্ডের খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গ পুরাতন বাজারের আবুলের ছেলে জাহিদুল, আনোয়ারের ছেলে রাসেদুল, ইসলাম বাজারের কলিমের ছেলে সিজার দক্ষিণ চাঁদপুরের বিপ্লবের ছেলে মোস্তাকসহ ১০১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের অফিস কক্ষে ঢুকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে খুন জখমের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা টেবিলে রক্ষিত অফিসিয়াল কাগজপত্র তছরূপ করে পেপার ওয়েট দিয়া টেবিলের ওপর থাকা কাঁচ ভাঙচুর করে। ট্রেড লাইসেন্স দিতে না চাইলে প্রকৌশলীকে তারা শার্টের কলার ধরে টানাহেচড়া করে খুন করে লাশ গুম করে দেবে বলে হুমকি দেয়। পরে তারা অফিস কক্ষের মধ্যে ভয়ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অফিসের স্টিলের আলমারির ভেতর থেকে কাউন্সিলর মিকা খালেকুজ্জামান লাখ ১০ হাজার ৩৩৫ টাকা সরকারি কাগজপত্র তছনছ করে লুণ্ঠন করে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কাউন্সিলর মিকা খালেক পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে বাঁধা প্রদান, নতুন বাড়ি নির্মাণে নকশা অনুমোদন ব্যতিরেখে পৌরবাসীকে বাড়ি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আইন লঙ্ঘন করে থাকে।

ঘটনায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে পৌরসভার কর্মচারীরা গত ১৮ জুলাই বিকেলে মানববন্ধন করেন। তার পাল্টা জবাবে কাউন্সিলর মিকা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ঘটনায় পর পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ব্যাপারে মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুলের ওপর হামলা, অফিস ভাঙচুর টাকা লুটের ঘটনায় হামলাকরীদের বিরুদ্ধে এজাহারের জন্য দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও দর্শনা থানা অজ্ঞাত কারণে মামলা রেকর্ড করেনি। কী কারণে মামলা রেকর্ড করেননি আমি জানি না।

ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য মামলা রেকর্ড হয়নি। মীমাংসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা পৌরসভার প্রকৌশলীর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা

আপলোড টাইম : ১১:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

দর্শনা অফিস:

দর্শনা পৌরসভার কাউন্সিলর তার সাঙ্গপাঙ্গ কর্তৃক সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের ওপর হামলা অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ১০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। ঘটনায় সপ্তাহ খানেক আগে মেয়র মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে আজও তা রেকর্ড হয়নি। আসামিরা প্রতিনিয়ত থানার সামনেই ঘুরছে। নিয়ে সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পৌর মেয়রের মামলা যদি রেকর্ড না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের দানা বেধেছে। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি মীমাংসার জন্য মামলা রেকর্ড হয়নি।

মেয়র মতিয়ার রহমানের থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা হতে ১২টার মধ্যে নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা নম্বর ওয়ার্ডের খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গ পুরাতন বাজারের আবুলের ছেলে জাহিদুল, আনোয়ারের ছেলে রাসেদুল, ইসলাম বাজারের কলিমের ছেলে সিজার দক্ষিণ চাঁদপুরের বিপ্লবের ছেলে মোস্তাকসহ ১০১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের অফিস কক্ষে ঢুকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে খুন জখমের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা টেবিলে রক্ষিত অফিসিয়াল কাগজপত্র তছরূপ করে পেপার ওয়েট দিয়া টেবিলের ওপর থাকা কাঁচ ভাঙচুর করে। ট্রেড লাইসেন্স দিতে না চাইলে প্রকৌশলীকে তারা শার্টের কলার ধরে টানাহেচড়া করে খুন করে লাশ গুম করে দেবে বলে হুমকি দেয়। পরে তারা অফিস কক্ষের মধ্যে ভয়ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অফিসের স্টিলের আলমারির ভেতর থেকে কাউন্সিলর মিকা খালেকুজ্জামান লাখ ১০ হাজার ৩৩৫ টাকা সরকারি কাগজপত্র তছনছ করে লুণ্ঠন করে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কাউন্সিলর মিকা খালেক পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে বাঁধা প্রদান, নতুন বাড়ি নির্মাণে নকশা অনুমোদন ব্যতিরেখে পৌরবাসীকে বাড়ি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আইন লঙ্ঘন করে থাকে।

ঘটনায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে পৌরসভার কর্মচারীরা গত ১৮ জুলাই বিকেলে মানববন্ধন করেন। তার পাল্টা জবাবে কাউন্সিলর মিকা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ঘটনায় পর পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ব্যাপারে মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুলের ওপর হামলা, অফিস ভাঙচুর টাকা লুটের ঘটনায় হামলাকরীদের বিরুদ্ধে এজাহারের জন্য দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও দর্শনা থানা অজ্ঞাত কারণে মামলা রেকর্ড করেনি। কী কারণে মামলা রেকর্ড করেননি আমি জানি না।

ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য মামলা রেকর্ড হয়নি। মীমাংসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।