ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় শিক্ষিকার চড়ে শ্রবণ শক্তি হারালো শিশু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দর্শনা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত দর্শনা পৌর শিশু একাডেমির শিক্ষিকা নাজিরা বেগমের বিরুদ্ধে উমাইর আলেম নামের (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে চড় মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে শিশুটি তার ডান কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিশু উমাইর আলেম দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম মিঠুর ছেলে ও দর্শনা পৌর শিশু একাডেমি শিশু শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উমাইর আলেমর মা-বাবা জানান, গত ১৮ জানুয়ারি ক্লাস চলাকালীন সমেয় লিখতে ভুল করার অপরাধে শিক্ষকা নাজিরা বেগম উমাইরের মাথা ও কানে চড় মারেন। এতে উমাইর প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিক্ষিকা তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং বিষয়টি মা-বাবাকে বলতে নিষেধ করে। কিন্তু কান ও মাথায় ব্যথা বেশি হওয়ায় বাড়িতে আসার পরে উমাইর কান্নাকাটি শুরু করলে বাড়ির আশপাশের সহপাঠীরা তাকে শিক্ষিকা চড় মেরেছে বলে জানিয়ে দেয়। পরে তারা বিচার নিয়ে শিক্ষিকা নাজিরা বেগমের নিকট গেলে শিক্ষিকা শিশু উমাইরকে মারেননি বলে অস্বীকার করেন।
পরে শিশু উমাইরকে নিয়ে ডা. মো. ইয়াসিন আরাফাতের চেম্বারে দেখায়। ডা. পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বলেন শিশুটির ডান পাশের কানের ভেতর মাংস ফুলে গেছে এবং কানটি বন্ধ হয়ে আছে বলে জানায়। পরবর্তীতে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। শিশু উমাইর-এর মা শিরিন শিলা তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার আঘাতে আমার ছেলে উমাইর এক কানে শুনতে পাচ্ছে না। তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আমি ওই শিক্ষিকার বিচার চাই। আমার ছেলেকে নিয়ে ওই শিক্ষিকার কাছে গেলে সে আমাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বিচার দিলে অন্য ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দর্শনা পৌর শিশু একাডেমির পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম শিশুর কানে আঘাত লাগার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এসব তো পুরোনো কথা। নতুন করে বলার কী আছে? তা ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই বলে এসবের দায় প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না।’ দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় শিক্ষিকার চড়ে শ্রবণ শক্তি হারালো শিশু

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দর্শনা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত দর্শনা পৌর শিশু একাডেমির শিক্ষিকা নাজিরা বেগমের বিরুদ্ধে উমাইর আলেম নামের (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে চড় মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে শিশুটি তার ডান কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিশু উমাইর আলেম দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম মিঠুর ছেলে ও দর্শনা পৌর শিশু একাডেমি শিশু শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উমাইর আলেমর মা-বাবা জানান, গত ১৮ জানুয়ারি ক্লাস চলাকালীন সমেয় লিখতে ভুল করার অপরাধে শিক্ষকা নাজিরা বেগম উমাইরের মাথা ও কানে চড় মারেন। এতে উমাইর প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিক্ষিকা তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং বিষয়টি মা-বাবাকে বলতে নিষেধ করে। কিন্তু কান ও মাথায় ব্যথা বেশি হওয়ায় বাড়িতে আসার পরে উমাইর কান্নাকাটি শুরু করলে বাড়ির আশপাশের সহপাঠীরা তাকে শিক্ষিকা চড় মেরেছে বলে জানিয়ে দেয়। পরে তারা বিচার নিয়ে শিক্ষিকা নাজিরা বেগমের নিকট গেলে শিক্ষিকা শিশু উমাইরকে মারেননি বলে অস্বীকার করেন।
পরে শিশু উমাইরকে নিয়ে ডা. মো. ইয়াসিন আরাফাতের চেম্বারে দেখায়। ডা. পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বলেন শিশুটির ডান পাশের কানের ভেতর মাংস ফুলে গেছে এবং কানটি বন্ধ হয়ে আছে বলে জানায়। পরবর্তীতে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। শিশু উমাইর-এর মা শিরিন শিলা তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার আঘাতে আমার ছেলে উমাইর এক কানে শুনতে পাচ্ছে না। তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আমি ওই শিক্ষিকার বিচার চাই। আমার ছেলেকে নিয়ে ওই শিক্ষিকার কাছে গেলে সে আমাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বিচার দিলে অন্য ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দর্শনা পৌর শিশু একাডেমির পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম শিশুর কানে আঘাত লাগার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এসব তো পুরোনো কথা। নতুন করে বলার কী আছে? তা ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই বলে এসবের দায় প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না।’ দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’