ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

তিতুদহে বিধবা নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আ.লীগ নেতা আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহে বিধবা তিন সন্তানের জননীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদুর হক ঝণ্টু মিয়া। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে বেরসিক জনতা তাকে উত্তম-মাধ্যম দেয়। আটক সাজ্জাদুর রহমান ঝণ্টু তিতুদহ গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান টিপু মিয়ার ছোট ভাই ও মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

জানা গেছে, তিতুদহের মাদ্রাসাপাড়ার মিয়া বাড়ির ঝণ্টুর সাথে একই গ্রামের হুলিয়ামারি পাড়ার বিধবা আয়েশা খাতুনের (৫৫) অনেক আগে থেকে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। যার সূত্র ধরে প্রতিনিয়ত ওই বিধবা নারীর বাড়িতে রাতে চলাচল করত ঝণ্টু। যা স্থানীয় সবারই চোখে পড়ে নিত্যদিনই। তবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। তবে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ঝণ্টু আয়েশার ঘরে ঢুকে। বিষয়টি বাড়ির আশেপাশের কয়েকজনের নজরে পড়ে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শুকুর আলীকে জানায় কয়েকজন যুবক। পরে চেয়ারম্যান নিজে এসে ৬-৭ জনকে সাথে রুমে ঢুকে আয়েশার রুমে থাকা বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঝণ্টুকে টেনে বের করেন। পরে ১০-১২ জন যুবক তাকে উত্তম-মাধ্যম দেয়। পরে বিষয়টি তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ও চেয়ারম্যান শুকুর আলী নিয়ন্ত্রণে এনে ঝণ্টুর ছেলে আবির মিয়ার নিকট মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে আয়েশা খাতুন বলেন, ‘ঝণ্টু আমাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে এই কার্যকলাপ অনেক আগে থেকে করে আসছে। যা ভয়ে আমি কিছু বলতে বা করতে পারি না। তবে সে অনেকবার আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে। এবিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলীর কাছে ঝণ্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাজ্জাদুল হক ঝণ্টুর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, এলাকার নানা ধরণের অপকর্মের সাথে সর্বদা জড়িত থাকে এই ঝণ্টু। এই রকম একজন বয়স্ক মহিলার সাথে যে সে এরকম কাজ করতে পারে, এটা সকলের কাছে অসামান্য হলেও তার কাছে সাধারণ বিষয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আয়েশা একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে। তার বিচার আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তিতুদহে বিধবা নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আ.লীগ নেতা আটক

আপলোড টাইম : ০৮:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহে বিধবা তিন সন্তানের জননীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদুর হক ঝণ্টু মিয়া। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে বেরসিক জনতা তাকে উত্তম-মাধ্যম দেয়। আটক সাজ্জাদুর রহমান ঝণ্টু তিতুদহ গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান টিপু মিয়ার ছোট ভাই ও মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

জানা গেছে, তিতুদহের মাদ্রাসাপাড়ার মিয়া বাড়ির ঝণ্টুর সাথে একই গ্রামের হুলিয়ামারি পাড়ার বিধবা আয়েশা খাতুনের (৫৫) অনেক আগে থেকে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। যার সূত্র ধরে প্রতিনিয়ত ওই বিধবা নারীর বাড়িতে রাতে চলাচল করত ঝণ্টু। যা স্থানীয় সবারই চোখে পড়ে নিত্যদিনই। তবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। তবে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ঝণ্টু আয়েশার ঘরে ঢুকে। বিষয়টি বাড়ির আশেপাশের কয়েকজনের নজরে পড়ে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শুকুর আলীকে জানায় কয়েকজন যুবক। পরে চেয়ারম্যান নিজে এসে ৬-৭ জনকে সাথে রুমে ঢুকে আয়েশার রুমে থাকা বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঝণ্টুকে টেনে বের করেন। পরে ১০-১২ জন যুবক তাকে উত্তম-মাধ্যম দেয়। পরে বিষয়টি তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ও চেয়ারম্যান শুকুর আলী নিয়ন্ত্রণে এনে ঝণ্টুর ছেলে আবির মিয়ার নিকট মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে আয়েশা খাতুন বলেন, ‘ঝণ্টু আমাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে এই কার্যকলাপ অনেক আগে থেকে করে আসছে। যা ভয়ে আমি কিছু বলতে বা করতে পারি না। তবে সে অনেকবার আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে। এবিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলীর কাছে ঝণ্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাজ্জাদুল হক ঝণ্টুর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, এলাকার নানা ধরণের অপকর্মের সাথে সর্বদা জড়িত থাকে এই ঝণ্টু। এই রকম একজন বয়স্ক মহিলার সাথে যে সে এরকম কাজ করতে পারে, এটা সকলের কাছে অসামান্য হলেও তার কাছে সাধারণ বিষয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আয়েশা একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে। তার বিচার আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হবে।