ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য চুয়াডাঙ্গায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন চুয়াডাঙ্গার ধর্মপ্রাণ মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জেলা ওলামা পরিষদের আয়োজনে এই বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজে ইমামতি করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। এই বিশেষ নামাজে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল কাশেমী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি আজিজুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, কিছুদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়েছে।

জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। বিশেষ মোনাজাতে প্রার্থনা করেছি।
উল্লেখ্য, তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনসহ প্রাণীকুল অতিষ্ঠ। এই গরম ব্যাঘাত ঘটিয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জীবনযাত্রায়। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চুৃয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, এপ্রিলের শুরু থেকেই চুৃয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত চুৃয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৬ এপ্রিল চুৃয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সবোচ্র্চ তাপমাত্রা।

মেহেরাব্বিন সানভী, নিজস্ব প্রতিবেদক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য চুয়াডাঙ্গায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন চুয়াডাঙ্গার ধর্মপ্রাণ মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জেলা ওলামা পরিষদের আয়োজনে এই বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজে ইমামতি করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। এই বিশেষ নামাজে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল কাশেমী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি আজিজুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, কিছুদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়েছে।

জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। বিশেষ মোনাজাতে প্রার্থনা করেছি।
উল্লেখ্য, তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনসহ প্রাণীকুল অতিষ্ঠ। এই গরম ব্যাঘাত ঘটিয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জীবনযাত্রায়। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চুৃয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, এপ্রিলের শুরু থেকেই চুৃয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত চুৃয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৬ এপ্রিল চুৃয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সবোচ্র্চ তাপমাত্রা।

মেহেরাব্বিন সানভী, নিজস্ব প্রতিবেদক।